a
সংগৃহীত ছবি
আজ ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের এই দিনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই দলটির জন্ম হয়। শুরুতে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু করলেও পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে প্রসার ঘটে আওয়ামী লীগের। প্রতিষ্ঠার শুরুতে দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক।
দলটির জন্মের দুই দশক পর বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জন। আর তাই ‘বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ’ এই তিনটি নাম ইতিহাসে একই সূত্রে গাঁথা।
এ দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ভূমিকা অনবদ্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির ৬দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের যুগান্তকারী নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জয়ী হওয়ার গৌরব রয়েছে আওয়ামী লীগের।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সংগঠনের অগনিত নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য জাতীয় নেতাদের।
করোনা মহামারির কারণে দিবসটি পালনের জন্য আওয়ামী লীগ সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আজ সূর্যোদয়ের সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯টায় ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বিকেল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে রয়েছে আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং মির্জা আজম এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।
ফাইল ছবি: আহত গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান
শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ও দলের মুখপাত্র ফারুক হাসানের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ‘১০-১৫ জনকে’ দায়ী করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কর্মসূচি চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান অর্ন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করায় ১০-১৫ জন ছাত্র তার উপর নিশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের কিল-ঘুষি ও চেয়ার নিক্ষেপে গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। ফারুক হাসান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তবে হামলার পর ফেইসবুক লাইভে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছিলেন ফারুক হাসান। পরে অবশ্য সেই ভিডিও দ্রুত মুছে ফেলেন। ‘ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের’ দাবিতে শনিবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি ডাকে গত ১৬ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার বিকালে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ডাকা নাগরিক সমাবেশে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আহত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। “এক পর্যায়ে তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে যাওয়া সড়কে ফেলে মারধর করতে দেখা যায়।”
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “এই ঘটনায় আমরা শাহবাগ থানায় মামলা করেছি। ওসি বলেছেন প্রয়োজনীয় তদন্ত করে বিষয়টি দেখবেন। তাই আমরা ডিসির কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে।”
তার অভিযোগ, "অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিপ্লবী পরিষদের ১০-১৫ জন সদস্য ফারুক হাসানের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।”
হামলার পর মারধরের শিকার গণঅধিকার পরিষদের ফারুক ফেইসবুক লাইভে বলেন, "আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অনুষ্ঠানে আমাকে বিশেষ অতিথি বানিয়েছি তারা। আমি অতিথি হিসেবে সেখানে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। সেখানে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত ছিল। এদের আসলে ভালো বলার কোনো সুযোগ নেই এখন।”
তবে লাইভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভিডিওটি মুছে ফেলেন ফারুক।
৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। তাকে মারধর করা হচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ করে ফোন করেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান জাহানারা এহসান।
বৃহস্পতিবার ৯৯৯ থেকে বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম ডা. মুরাদের বাসায় যায়।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মুরাদ হাসানের স্ত্রী ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই সময় ডা. মুরাদ বাসায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকেই অভিযোগটি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন