a
ফাইল ছবি: আশরাফুল, ছাত্রলীগ, খিলক্ষেত
নিউজ ডেস্ক: অটোরিকসা চলাচলে হাইকোর্টের আদেশের পর পরই রাজধানীজুড়ে সেই আদেশ প্রত্যাহারে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তারা এই দাবিকে যৌক্তিক আন্দোলনে রূপ দিতে ১১ দফা দাবি নিয়ে এক প্রকার মাঠ গরম করেছে। এই সুযোগে ছাত্রলীগসহ শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন মুখে মাস্ক পরে জঙ্গি মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল আন্দোলনের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মুখে মাস্ক পরে ছদ্মবেশে তারা জঙ্গি মিছিল করেছে। কোথাও কোথাও তাদের দেখে সন্দেহ হলে তাদের মুখ খুলতে বললে তারা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়ছে।
বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন গোপনে রিকসাওয়ালাদের সাথে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাঝে দু'জন ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিকদের হাতে ধরা পড়ে। মাস্ক খুলতে না চাওয়ায় তাদের একজন ছাত্রলীগের কর্মী, নাম আশরাফুল। সে খিলক্ষেত ৪৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে জানা যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনদের মতে, রিকসাচালকেদের দেখলেই বুঝা যায়। অপরদিকে, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের অন্যান্য সংগঠনের লোক লেখলেই বুঝতে পারা যায় এবং আন্দোলনে অধিকাংশ লোকজন ছাত্রলীগসহ তাদের বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পায়তারা করছে।
ফাইল ফটো: লিপি আক্তার
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছেলেকে মৃত ঘোষণার পর বাবা-মা অন্যত্র সরিয়ে নিচেত চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আনসার সদস্যরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মা লিপি আক্তারকে এবং বাবা লিটন মিয়া মারধর করেন আনসার সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত লিপিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা স্থানান্তর করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা মো. লিটন মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল তার ছেলে আমির হামজা। সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি। এ সময় আমি আমির হামজাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।
জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে বের হতেই আনসার সদস্যরা বাধা দেন এবং চার দিকের গেট আটকে দেন। এ সময় এনিয়ে তাদের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন আনসার সদস্য আমার স্ত্রী লিপিকে তাদের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করাসহ কিল-ঘুষি মারেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারধর করেন আনসার সদস্যরা।
আহত লিপি আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যাবো, আনসার সদস্যরা কেন বাধা দেবে? এটা বলাতে তারা আমাকে মারধর করেছেন। আমার স্বামী ছাড়াতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আমি এর বিচার চাই।
জরুরি বিভাগে থাকা কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, একজন নারীর গায়ে হাত তুলেছেন আনসার সদস্যরা। এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। একে তো তার ছেলে মারা গেছে, এতে তার মাথা ঠিক থাকার কথা না। মা-তো পাগলামী করতেই পারেন। তাই বলে একজন নারীর গায়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন এভাবে হাত দেবে!
মৃত শিশুর বাবা মো. লিটন মিয়া আরও জানান, তাদের বাসা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল কুনিপাড়া এলাকায়। তার একমাত্র ছেলে আমিরহামজা গত ১৯ মার্চ সকালের দিকে পূর্ব নাখালপাড়া এলাকায় একটি কারখানার টিনের ছাদে তার ঘুড়ি আনেত যায়। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পরে যায়। এতে তার মাথায় আঘাত পায়। সেই দিনই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ঢামেক হাসপাতালের আনসার কমান্ডার (পিসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগের মৃত শিশুর স্বজনদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যদি কোনো আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে নারীকে মারধর করার প্রমাণ মেলে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, শুধু আনসার সদস্য কেন? অন্য কেউ-ই কোনো নারীর গায়ে হাত দিতে পারেন না। এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত
অতীতে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে হারালেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের নজির ছিল না বাংলাদেশের। রোববার মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটের দাপুটে জয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সিরিজে হারায় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় পায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। টাইগারদের এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফি লিখেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এবার ইংল্যান্ড। দেশের মাঠে বড় তিনটি দলকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারালো বাংলাদেশ।
তবে এই জয়টা একটু আলাদা। কারণ, তরুণদের নিয়ে যেভাবে দলটা গড়েছে, সেটা এক কথায় অসাধারণ। টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজানো দরকার ছিলো, হাতুরুসিংহে এবং সাকিব দারুণভাবে সেই কাজটা করেছে। ভালো উইকেটে এই দলটারও কঠিন সময় আসবে, কিন্তু সবার ধৈর্য রাখা জরুরী।
তরুণদেরকে এই ফরম্যাটে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে এবং এর মধ্য দিয়েই আস্তে আস্তে দারুণ একটা দল হবে ইনশাআল্লাহ। অনেক দেরিতে হলেও এই পরিবর্তনটা টি-টোয়েন্টিতে খুব প্রয়োজন ছিল। যদিও এটা একান্তই আমার মতামত। সূত্র:যুগান্তর