a
ফাইল ছবিঃ এমানুয়েল ম্যাকরন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরন। প্রতিদিনই সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে। শুক্রবারও দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩২ হাজার।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সুতরাং আগামী কয়েক সপ্তাহ তার দেশকে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।”
ইংরেজি নতুন বছর শুরুর আগে সন্ধ্যায় শুক্রবার দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্রান্স এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে পার পেয়ে যেতে পারবে, তবে সাধারণ মানুষ যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন।
ম্যাকরন বলেন, তার দেশ করোনা মোকাবিলার জন্য গত এক বছর আগের চেয়ে এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। কেননা, ইতোমধ্যে দেশটির জনসাধারণের একটি বড় অংশই এই ভাইরাসের টিকা নিয়েছে।
ফ্রান্সে যারা এখনও করোনাভাইরাসের টিকা নেয়নি তাদের টিকা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
এমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, নতুন করে বিধিনিষেধ যাতে আরোপ করতে না হয় এজন্য তার সরকার যেকোনও ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
এদিকে ফ্রান্সে গত তিন দিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দুই লাখের বেশি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন বছর বরণের অনেক অনুষ্ঠান কাছ ছাট করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপের অন্যতম এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে ফ্রান্স। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সেখানে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। সূত্র: রয়টার্স, বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ভারতের জম্মু বিমানবন্দরের বিমানবাহিনী স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এতে ২ জন আহত হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে আজ রবিবার এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
জম্মু বিমানবন্দরের রানওয়ে ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভারতীয় বিমানবাহিনী অধীনে রয়েছে। সেখান থেকে যাত্রীবাহী বিমানও চলাচল করে। সেই জায়গায় প্রযুক্তি বিভাগের কাছে রবিবার রাতে বিস্ফোরণ দু’টি ঘটে। রাত ১টা ৩৭ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণটি একটি ভবনের ছাদে ঘটে এবং দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে খোলা জায়গায় রাত ১টা ৪২ মিনিটে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ততটা তীব্র না হলেও, দু’কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটাতে ৪ কেজি ৭০০ গ্রাম মতো আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ছুড়ে এই হামলা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।
বিস্ফোরণে দু’টি বারাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিমানবাহিনীর কোনও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফরেনসিক দল এবং বোম্ব স্কোয়াড। এই ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
ফাইল ফটো:বিক্ষোভকারীদের দমাতে গুলি, কাঁদানে গ্যাস
লাখো জনতার বিক্ষোভ দমাতে গুলি ছুড়ছে পুলিশ। সারা রাত নিরাপত্তা রক্ষীদের অভিযান সত্ত্বেও মিয়ানমারের রাজপথে লাখো জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। রোববার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কিছু এলাকায় কঠোর হতে থাকে নিরাপত্তা রক্ষীরা এবং ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করে।
ঐতিহাসিক মন্দিরের শহর বাগানে আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী। অবশ্য কয়েকটি শহরে এখনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে মান্দালয়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করে রাজপথে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এরআগে রাতভর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতেও সকালের দিকে রাজপথে জড়ো হন বিক্ষুব্ধরা। এই এলাকায় সকালের দিকে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। পরে অন্তত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে আবার কাউকে বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭শ’র বেশি মানুষকে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং একজন পুলিশ সদস্যও প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।