a
ফাইল ছবি
প্রয়াত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করার সময় তিনি মওদুদের দলবদল নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (মওদুদ) মুখে যাই বলুক তার লেখাগুলোর মধ্যে অনেক অনেক কন্ট্রভার্সি নিজের আপন মনের মাধুরী মিশিয়েও লিখেছেন। আর উনি দলবদল করতে পছন্দ করতেন। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার কথা, সেই সুযোগে ১৯৬৯ সালে মিশে গেলেন। পরবর্তী ১৯৭৫ সালে বিএনপিতে যোগ দিলেন। এর পর যখন এরশাদ এলেন তিনি (মওদুদ) একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন এরশাদ সাহেব তার সাজা মওকুফ করে দিয়ে তার মন্ত্রিপরিষদে আইনমন্ত্রী করলেন। এর পর আবার তিনি বিএনপিতে যোগদান দেন। রাজনীতিতে বারবার দলবদল করা তার একটা অভ্যাস ছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি যখন মারা গেলেন, আমি নিজে ফোন করেছিলাম হাসনাকে। কারণ হাসনার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল সবসময়। সিঙ্গাপুরেও ওর সঙ্গে কথা বলি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। শোক প্রস্তাবের পর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মওদুদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এসব কথা বলেন।
ফাইল ছবি
জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি বর্বোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদ এবং সেখানে ইসরায়েলি বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগে এক অমানবিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
এটা মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন এবং চুক্তি লঙ্ঘন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, “টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে জনগণের সার্বভৌম ও স্বাধীন স্বদেশ নিশ্চিতের অলঙ্ঘনীয় অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে যে রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা প্রতিষ্ঠিত হবে।”
ইসরায়েলের ‘জেরুজালেম দিবস’ পালনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আল আকসা মসজিদের আশেপাশে বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিদের উপর পুলিশ ব্যাপক হামলা চালিয়ে শত শত ফিলিস্তিনীকে গুলি করে আহত করেছে।
ফাইল ছবি: নবনির্মিত ডাক ভবন
নবনির্মত ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন ’ এর আগামীকাল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। ডাক বাক্সের মডেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে নিজে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ঢাকার আগারগাঁওয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে থাকছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা আরম্ভ হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ এখন সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরী। এ সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তাঁর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।