a প্রতি মাসে ১৮ হাজার লিটার তেল চুরি হতো সরকারি গাড়ি থেকে!
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রতি মাসে ১৮ হাজার লিটার তেল চুরি হতো সরকারি গাড়ি থেকে!


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১০ আগষ্ট, ২০২২, ১০:১৪
প্রতি মাসে ১৮ হাজার লিটার তেল চুরি হতো সরকারি গাড়ি থেকে!

ফাইল ছবি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ি থেকে জ্বালানি তেল চুরি করে বিক্রি করা হচ্ছিলো। তিনটি দোকানে গোপনে তেল বিক্রি হতো। ৫০টি গাড়ি থেকে মাসে প্রায় ১৮ হাজার তেল চুরি হয়েছে। এই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবু কালাম (৫৬), সুমন (৪০), বাবু (২১), শাহিন (১৯)। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রোল উদ্ধার করা হয়েছে।  

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, তেল বিক্রির সঙ্গে গাড়িচালকসহ সংশ্লিষ্টরাও জড়িত। চক্রটি প্রতিদিন অন্তত ৫০টি সরকারি গাড়ি থেকে তিন থেকে চার লিটার করে তেল সংগ্রহ করত। এভাবে একটি দোকানেই সরকারি গাড়ি থেকে চুরি করা প্রায় ২০০ লিটার তেল কিনতো। একটি দোকানে ছয় হাজার লিটার এবং তিনটি দোকানে ১৮ হাজার লিটার তেল বিক্রি হয়েছে।

বুধবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনে কয়েকটি দোকান সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি করে বিক্রি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে তেজগাঁও জোনের এসি মাহমুদ খানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তিনটি দোকান থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রোল উদ্ধার করা হয় এ সময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, প্রতি লিটার অকটেন ১০০ টাকায় কিন খোলা বাজারে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করত। প্রতি লিটার পেট্রোল ১১০ টাকায় কিনে খোলা বাজারে ১৩০ টাকায় এবং প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকায় কিনে খোলা বাজারে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। সূত্র: কালের কন্ঠ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবারও উত্তেজনা, বাসস্ট্যান্ডে বাস ভাঙচুর


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৩৮
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবারও উত্তেজনা, বাসস্ট্যান্ডে বাস ভাঙচুর

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা তিনটি বাস ও একটি অফিস ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পালিয়ে যায় তারা।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উপজেলায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার ড্রিম লাইন বাসগুলো বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখে বাস মালিক সমিতি। রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বাসস্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস, কার্যালয় ভাঙচুর করে।

জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ অভিযোগ করেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমার তিনটি বাস ও অফিস ভাঙচুর করেছে।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে অপরিচিত ব্যক্তি রিসিভ করে জানায় স্যার বিশ্রামে আছেন। কথা বলতে চাইলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাজিম উদ্দিন মিকনের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুরসহ কোম্পানীগঞ্জের সব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজ এর সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থিত ২০-২৫ জন মির্জা বিরোধী শ্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেটে চলে যায়।

এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবলো


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
সোমবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২১, ১১:০২
অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবলো

ফাইল ছবি

আজ শেরেবাংলায় ৫ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ শুরুতেই চমক দিয়ে ইনিংস শুরু করেন নাইম-মাহাদি জুটি। প্রথম দিকে ভালো খেলতেছিল বাংলাদেশ। শুরুর দিকে সেই ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। নিয়মিত ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুড়তে থাকা সৌম্য সরকারের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করেও আজকে ১৬ রানের বেশি করতে পারেনি। 

বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ১০০ পার করলেও শেষের দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২২ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন নাইম শেখ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভবেই খেলতেছিলো অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। দলীয় ৩ রানের মাথায় আঘাত করেন নাসুম, সাঝঘরে ফিরান গত ম্যাচে ৫ ছক্কা হাকানো ক্রিসচিয়ানকে। এরপর আর কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে মাত্র ৬২ রানে অল আউট হয় অজিরা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর সাকিব আল হাসানে কাছেই মূলত দিশেহারা হয়ে হারলো অস্ট্রেলিয়া। 

অজিরা শেষ ম্যাচে ২৪ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারায়, যার মধ্যে এই দুই বোলার ৭ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। ১৩তম ওভারে অ্যাগারকে বোল্ড করেন সাইফ। এর আগের ওভারে জোড়া আঘাত করেন। পরের ওভারে এসেই আবারো দুটি উইকেট তুলে নেন সাকিব, প্রথম তিন ওভারে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

এই দুই বোলারের কাছেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া ১৩.৪ ওভারে অলআউট হয় ৬২ রানে। বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৬০ রানে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে অজিদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৭৯, ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ এ জিতে শেষ করল বাংলাদেশ। 

গত ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৫০ রান দেওয়া সাকিব এবার চার উইকেট নিয়েছেন। ৩.৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৯ রান দেন তিনি। তিনটি উইকেট সাইফের। ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিবের হাতে।

বাংলাদেশ: ১২২/৮ (২০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া: ৬২/১০ (১৩.৪ ওভার)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - অপরাধ