ঢাকা বুধবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ মে, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৫৫
ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই

ফাইল ছবি

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯৬ বছর। ব্রিটিশ রাজপরিবারের বরাত দিয়ে বিবিসি ও সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন ৭০ বছর ধরে। চলতি বছরই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তার সমস্যা হচ্ছিল। এরপর থেকে বালমোরাল প্যালেসে রানিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা।

রানির মৃত্যুর পর তার পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত হয়েছেন বালমোরো প্যালেসে। সকাল থেকেই ব্রিটেনে রানির গুরুতর অসুস্থ সংবাদটি প্রচার হচ্ছিল। তারপরই তার পরিবারের সকল সদস্যদের ছুটে যাওয়া ও ব্রিটিশ গণমাধ্যমের শোকাবহ আয়োজন দেখে ধারণা করা হচ্ছিল খারাপ কোনো সংবাদ হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যুর সংবাদটি প্রচার করে বিবিসি।

এদিকে এই খবরটি প্রচার হওয়ার আগেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে বাকিংহাম প্যালেসের সামনে। ফুল দিয়ে শত শত মানুষ শোক জানাচ্ছেন, প্রার্থনা করছেন প্রিয় রানির জন্য। রানির মারা যাওয়ার সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফকির আলমগীর আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৩
ফকির আলমগীর আর নেই

ফাইল ছবি

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তখন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ফকির আলমগীরের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর।

তার ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে। ওই দিন থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসতো। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে রাতে আবারো অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গণসংগীতের এই শিল্পীকে মৃত্যু ঘোষণা দেয়া হয়।
 
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো: হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে ও ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।
 
জনপ্রিয় গান:
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।

সম্মাননা ও পদক:
সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’, ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’।

শোক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে রাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রণতরী এজিয়ান দ্বীপগুলোতে পাঠাল গ্রিস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:৫৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রণতরী এজিয়ান দ্বীপগুলোতে পাঠাল গ্রিস

ফাইল ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রণতরী নিরস্ত্রীকৃত এজিয়ান দ্বীপগুলোতে মোতায়েন করেছে গ্রিস, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে লেসবোস ও সামোস অঞ্চলে এসব রণতরী পাঠানো হয়েছে।আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে গ্রিসের এই কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণে করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা সূত্রের তথ্যমতে, তুর্কি আর্ম ফোর্স (টিএসকে) ড্রোন মিশন পরিচালনা করছে এবং এজিয়ানে দুটি গ্রিক রণতরী চিহ্নিত করেছে। যেগুলো লেসবোস ও সামোস অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে।

সূত্রে জানানো হয়, লেসবোসের দিকে যাওয়া রণতরীটি ২৩ ট্রাক্টিকাল অস্ত্রে সজ্জিত এবং সামোসের দিকে অগ্রসারমান রণতরীটি ১৮ ট্রাট্ক্যিাল অস্ত্রে সজ্জিত। এসব রণতরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলেক্সজান্দ্রপলি বন্দরের দিকে পাঠানো হয়েছে।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এইসব কর্মকাণ্ডগুলো ১৮ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে গ্রিস তার প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের কাছাকাছি দ্বীপাঞ্চলে রণতরী মোতায়েন করে আইন লঙ্ঘন করছে।

সূত্রের তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে অস্ত্রগুলো দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে। ন্যাটোভুক্ত দেশটির এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর এমন আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং প্রতিবেশী দেশের সাথে অবন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ‘কখনো গ্রহণযোগ্য’ হবে না। সূত্র : ডেইলি সাবাহ

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়