a অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব নারী পুরুষের কান্নার দায় নিতে হবে নাজরান বিডিকে
ঢাকা রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব নারী পুরুষের কান্নার দায় নিতে হবে নাজরান বিডিকে


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ০৮:২৯
অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব নারী পুরুষের কান্নার দায় নিতে হবে নাজরান বিডিকে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  পনের হাজার বিনিয়োগকারীর প্রায় ৮০০ কোটি টাকার লোপাট করে আত্মগোপনে আছেন নাজরান ফিশারিজ এন্ড এগ্রো বিডি প্রা: লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মৃধাসহ সকল কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে ভুক্তভোগী এই পরিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মালেক মিয়া হলে গতকাল ১৮ই মে বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনে কান্না ঝড়ানো কন্ঠে এই নারীরা ব্যক্ত করেছেন কিভাবে তারা পুঁজি হারিয়েছেন | ১৫ হাজার সদস্যরা কিভাবে তারা পুঁজি হারিয়েছেন, হয়েছেন নিঃস্ব। নাজরান ফিশারিজ এন্ড এগ্রো বিডি প্রা: লিমিটেড এর ৮০০ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার নাজরান বিডি প্রাইভেট লিঃ কোম্পানীর ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জনাব তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক- গণঅধিকার পরিষদ, বিশেষ অতিথি এস.এম.ইকবাল হোসেন, সভাপতি- ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেন্টর এসোসিয়েশন। মঞ্চে উপস্থিত আরো ছিলেন বিনিয়োগকারী আন্দোলন ঐক্য পরিষদের সভাপতি- জনাব মিজানুর রহমান। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অন্যন্য বক্তা ও ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ভাই ও বোনেরা। এছাড়া জনাব মোঃ নূরুল হক নূর, সভাপতি- গণঅধিকার পরিষদ ও সাবেক ভিপি- ডাকসু আসার কথা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি আসতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা এখন আমাদের পুঁজি উদ্ধারের জন্য রাজপথে নেমেছি। তাহলে আমাদের টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আজকে বাংলার মানুষ জানবে প্রতারক চক্রের গড ফাদার হলেন এই ০৪ (চার) জন ১। মোঃ মোশারফ হোসেন মৃধা, ২। আবুল হোসেন জীবন চৌধুরী, ৩। মোঃ আতাউর রহমান, ৪। মোঃ খান আসাদুজ্জামান লাভলু। এই ০৪ (চার) জন প্রতারক চক্রের গড ফাদার। নাজরান বিডি প্রাইভেট লিঃ কোম্পানী থেকে ১৫ হাজার মানুষের কাছ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। বন্ধুগণ ওনারা বর্তমানে দেশের ভেতরেই অবস্থান করিতেছে ও আত্মগোপনে রয়েছে। প্রতারকেরা গ্রহকদেরকে এমনভাবে মগজ ধোলাই করেছিলো তার ফলে প্রত্যেকটি সদস্যের সারা জীবনের যে যতটুকু টাকা কামাই করেছিলো সমস্ত টাকা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করে দেয়। কোম্পানীর সদস্য তখন নিস্ব্য হয়ে পড়ে। তারপর যখন সদস্যা শুনতে পায় আমাদের টাকা প্রতারণা হয়ে গেছ। এই খবর শোনার পর অনেক সদস্য স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করে। বন্ধুগন আমি আপনাদের বর্তমান হাল হকিকত জেনে, শুনে, বুঝে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। 

বাংলার মাটিতে কোন প্রতারকের ঠাই নাই। তাদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। র‍্যাব- ১ প্রতারণামূলক দুইটি মামলা হয়েছে । বর্তমানে আমাদের এই কয়টি মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতারক চক্র বার বার কিভাবে জামিন পায়? বর্তমান সরকারের কাছে সকল ভুক্তভোগী সদস্যদের চাওয়া-পাওয়া একটাই প্রতারকদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ও প্রয়োজনবোধে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্থ সদস্যদেরকে সুষ্ঠু বন্টন করে দেওয়া হোক। বন্ধুগন আমাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বর্তমানে সরকারের শরনাপন্ন হবো। প্রতারক চক্রকে এমন শাস্তি প্রদান করিতে হইবে তা যেন হয় বাংলাদেশে নজির বিহীন। উনারা যতদিন বেচে থাকবে মানুষের টাকার দিকে যেন দৃষ্টি না দেয়।
বাংলার মাটিতে এত বড় প্রতারণা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টদায়ক। এই সমস্ত বয়স্ক নারীদের কান্নার দায় কে নেবে? উপস্থিত অনেক নারী এবং পুরুষ তাদের দুঃখের কথা এবং কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। যারা এই ধরনের প্রতারণা করেছে তাদের বাংলার মাটিতে উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী


শামসুজ্জামান মেহেদী, লেখক ও রাজনীতিবিদ
সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৮:১৮
তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচ

ছবি সংগৃহীত

তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী। 

কোন প্রকার লবিং নয়, উত্তরাধিকার সূত্রেও নয়, একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে অর্থাৎ বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য পদ গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় তিন দশক রাজনীতির মাধ্যমে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে আজকের পর্যায়ে এসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে তিনি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ছুঁটে গিয়ে গ্রামের অসচ্ছল, দরিদ্র, বন্যা পীড়িত অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন হাঁস-মুরগী, গবাদি পশু, শস্য বীজ। উন্মুক্ত জলাশয়ে ছেড়েছেন মাছের পোনা। সমাজ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থি হিসাবে আমি কেস স্টাডি করে দেখেছি কোন শিল্পপতি, ব্যবসায়ী কিংবা কোন ব্যক্তি যখন গ্রামের সহায় সম্বলহীন অসহায় মানুষের হাতে পাঁচশো টাকা তুলে দেন বেশির ভাগ মানুষই তা খরচ করে ফেলে। কিন্তু তারেক রহমান এ ধরনের সহযোগিতার প্যাটার্ণ চেইঞ্জ করে যখন কোন পরিবারের হাতে দশটা মুরগী কিংবা দশটা হাঁস, একটা ছাগল কিংবা গাভী তুলে দিয়েছেন তখন সাহায্য প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তা বিক্রি না করে লালন-পালন করে সম্পদ বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীলতার পথ খুঁজে পেয়েছে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রেখেছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করার এ এক বিশুদ্ধ আয়োজন, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন। উৎপাদন, উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রায়শই বলতেন, 'যে জাতি তার নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করে না, আল্লাহ সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।' তিনি বলতেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল, মৎস্য খামার গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে কাজ করতে হবে। কেউ বেকার থাকতে পারবে না। কর্মের মধ্য দিয়ে সম্পদ বাড়াতে হবে। পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে হবে। গ্রামের শত শত মাইল পায়ে হেঁটে তিনি এসব কর্মসূচি সরেজমিনে দেখেছেন। বলতেন, আই শ্যাল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান। তিনি একথা বলেই ক্ষান্ত হননি বরং ড্রইং রুমের রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর অলস হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি, স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছরে এদেশের জনসংখ্যা প্রায় আঠারো কোটি। প্রতিদিন আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ কমছে, বাড়ছে জনসংখ্যা, আবাদি জমিতে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। কাজেই উৎপাদন না বাড়াতে পারলে জনসংখ্যার খাদ্য ঘাটতি হবে। খাদ্য ঘাটতি হলে দেশ আমদানি নির্ভর হয়ে যাবে। নিকট অতীতে আমাদের মত বহু দেশ গরীব ছিল, নিরন্তর পরিশ্রম করে তারা ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। পরিশ্রম করেই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। 

আমাদের দেশে একটা প্রবাদ শোনা যায় 'বাপকা বেটা সিপাইকা ঘোড়া। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে লাইক ফাদার লাইক সান এ কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নাই। দৈনিক দিনকাল ২ এপ্রিল ২০০৩ সালে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছিল। 'উত্তর জনপদে অবহেলিতদের মাঝে হাঁস মুরগী বিতরণ- বিধবা নপিজানের দু-চোখে পানি।' রিপোর্টে লেখা হয়েছে- 'ঝলমলিয়া বাজারে তারেক রহমানের হাত থেকে একটি ছাগল পেয়ে বিধবা নপিজান মহাখুশি। সত্তুর বছরের নপিজান যখন ছাগল নিচ্ছিলেন তখন তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছিল। নপিজান সাংবাদিকদের বলেন, আমি মহাখুশি। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩ তারিখে মাহবুব আলম রতনের "হীরার বাড়ী" শীর্ষক ফিচার ধর্মী খবর প্রকাশের পর তারেক রহমান ময়মনসিংহ থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছা উপজেলায় গ্রামের আঁকাবাকা পথ পেরিয়ে কান্দিগাঁও গ্রামে যান। সেখানে দেখলেন মরহুম নুরুজ্জামান হীরার দু'ছেলের একজন পুকুর কেটে মাছ চাষ, ভুট্টা চাষ, কলা, পেয়ারা, বরই, লেবু, কচু, শাক সবজির চাষ, আম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারি, লিচু, জলপাই, জাম্বুরা, বেল সহ নানা জাতের গাছ লাগিয়েছেন। ময়মনসিংহের অস্বচ্ছল যুবক নিজ চেষ্টায় স্বচ্ছলতার দৃষ্টান্ত গড়েছেন। স্থাপন করেছেন হীরা এন্ড সন্স মিশ্র খামার। তার এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য তারেক রহমান তাকে বিভিন্ন ফল, শাক সবজির বীজ একটা পাওয়ার টিলার ও শ্যালো মেশিন প্রদান করেন। (সূত্র দৈনিক প্রথম আলো ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩) শুধু তাই নয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকায় মোতালেবের 'আরবের  খেজুর বাগান পরিদর্শন করেন তারেক রহমান। ১৭ জুন ২০০৪ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শীর্ষক রিপোর্টে জানা যায়, দেশে বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া আব্দুল মোতালেব ১৯৯৭ সালে সৌদি আরব গিয়ে খেজুর বাগানে কাজ করেন। ২০০০ সালে বউ-বাচ্চা আত্মীয় স্বজনের জন্য কিছু না এনে ৩৫ কেজি খেজুর নিয়ে দেশে ফেরেন আরবের খেজুর বাগান করবেন বলে। দেশে ফিরে আত্মীয় স্বজনকে খেজুর খাইয়ে বিচি সংগ্রহ করেন খেজুর বাগান করার ইচ্ছায়। দীর্ঘদিন পর দেশে খালি হাতে ফেরায় মান অভিমানে যখন তুঙ্গে তখন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিমান করে বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে দেওয়া বিচির বস্তায় একদিন চারা গজিয়ে উঠে। পরবর্তীতে বাবার দেওয়া ৭০ শতাংশ জমিতে রোপনকৃত ৩০০ টা খেজুর গাছ আজ বিশাল বাগানে পরিণত হয়েছে। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সবজি চাষ করে মোতালেব আজ স্বাবলম্বী। মোতালেবের খেজুর বাগানের এক একটা চারার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ রিয়াল বলে মোতালেব জানান।

এবার আমি পত্রিকায় প্রকাশিত তারেক রহমানের 'একটি উদ্যোগ একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা শীর্ষক কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করবো। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যেমে জনাব তারেক রহমান রাজশাহীর পুঠিয়া দুর্গাপুরে ৬০০ পরিবারকে ২০০ ছাগল, ২০০ মুরগী ও ২০০ হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: ২ এপ্রিল ২০০২ দৈনিক প্রথম আলো) এবং রাজশাহীতে ২০০ ছাগল ২০০০ মুরগী, ৪৫০টা হাঁস ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ১০০০০ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। (সূত্র: দৈনিক আজকের কাগজ ৩ এপ্রিল ২০০৩) কক্সবাজারে ১০০ ছাগল ২০০০ মুরগী, ১৬০০ হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: ১৬ এপ্রিল ২০০৩ দৈনিক ইনকিলাব) বরিশালের আগৈলঝড়ায় ৪২ টি পরিবারের মধ্যে কয়েক হাজার মুরগী এবং ১২ টি পরিবারের মধ্যে ছাগল বিতরণ করেন। (সূত্র: ২৬ এপ্রিল ২০০৩ দৈনিক ইত্তেফাক) নোয়াখালীতে ৯৬ টি পরিবারে ১ টি করে ছাগল ৬০ টি পরিবারে ৮ টি করে মুরগী ৩০০ টি পরিবারে ১ টি করে উন্নত জাতের নারিকেলের চাড়া ও সবজি বীজ বিতরণ করেন। (সূত্র: ২৮ আগষ্ট ২০০৩ দৈনিক ইনকিলাব) ঝিনাইদহে ২৫০ টি পরিবারের মধ্যে ছাগল বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ৮মে  ২০০৩) শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দি উপজেলায় ২৫ টি ছাগল ১৫০ টি বিভিন্ন ফলজ গাছের চাড়া, ৩৩ ব্যাগ ব্রী ধান বীজ ও ৫০ ব্যাগ সবজি বীজ বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক ৫ জুন ২০০৩) জামালপুরের বকশিগঞ্জে ৫০০ ব্যাগ ধান বীজ, ৭৫ প্যাকেট সবজি বীজ, ২৯৫ টি বিভিন্ন ফলজ চারা, ৬৮ টি ছাগল, ১৫ টি গরু, ৩৪০ টি মুরগী, ৩২০ টি হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ৬ জুন ২০০৩) সিলেট জেলার রাজনগরের পাঁচ গাঁওয়ে ৪০০ এবং একটুনা বাজারে ৩৭৫ টি পরিবারের মধ্যে ধান ও সবজি বীজ এবং গাছের চাড়া ও হাঁস মুরগী বিতরণ করেন। (সূত্র: ২২ আগষ্ট ২০০৪ দৈনিক দিনকাল) এভাবে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার অস্বচ্ছল পরিবারকে সহযোগিতা করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখান। প্রতিটি রাজনৈতিক দল কিংবা সামাজিক সংগঠন চাইলে এভাবে প্রত্যেকটি গ্রামে অন্তত দশজন ব্যক্তিকে স্বচ্ছল ও সাবলম্বি করারা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। 

কর্মের মধ্য দিয়ে এরকম হাজারো দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন আমাদের আদর্শের জনক স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন প্রায় এক দশক গৃহবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। তাঁর একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা আজ দেশ বিদেশে প্রশংসিত। আসুন আমরা সকলে মিলে জনাব তারেক রহমানের এই মহতি উদ্যোগে শামিল হই এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সময়ের দাবি পরিশোধ করি। আত্মনির্ভরশীল হই, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ি।

Photo credit : Rumon Rahman

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি সম্পূর্ণভাবে নজরদারিতে: আইআরজিসি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শনিবার, ০১ মে, ২০২১, ০১:১৫
পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি সম্পূর্ণভাবে নজরদারিতে: আইআরজিসি

ফাইল ছবি

ইরানের ইসলামী বিপ্লব গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি নৌ শাখার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি বলেছেন, পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো সম্পূর্ণভাবে নজরদারিতে আছে।

তিনি বলেন, শত্রুদের সকল বিষয় নজরদারিতে রয়েছে এবং কোনো জাহাজ পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করছে এবং বের হয়ে যাচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণে আছে। তিনি আরও বলেন, হরমুজ প্রণালীর ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোল কোড অনুসারে এসব জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

আলী রেজা তাংসিরি বলেন, এ অঞ্চলে আইআরজিসি'র উপস্থিতি শুধুমাত্র সামরিক কারণে নয় বরং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর উপস্থিতি রয়েছে। তিনি পারস্য উপসাগরকে উন্নয়নের ইঞ্জিন বলেও মন্তব্য করেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় এবং এ এলাকায় ভৌগলিক বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ায় পাশ্চাত্যের কিছু দেশ ও শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবৈধ উপস্থিতি বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘পারস্য উপসাগরে আইআরজিসি’র পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের উপস্থিতির কারণে বাড়তি জনশক্তি যুক্ত হয়েছে। এখন আমরা ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রো-অপটিক সিস্টেম ব্যবহার করে পারস্য উপসাগরের সমস্ত গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।’ সূত্র : পার্সটুডে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - অর্থনীতি