a তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী


শামসুজ্জামান মেহেদী, লেখক ও রাজনীতিবিদ
সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৮:১৮
তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচ

ছবি সংগৃহীত

তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী। 

কোন প্রকার লবিং নয়, উত্তরাধিকার সূত্রেও নয়, একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে অর্থাৎ বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য পদ গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় তিন দশক রাজনীতির মাধ্যমে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে আজকের পর্যায়ে এসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে তিনি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ছুঁটে গিয়ে গ্রামের অসচ্ছল, দরিদ্র, বন্যা পীড়িত অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন হাঁস-মুরগী, গবাদি পশু, শস্য বীজ। উন্মুক্ত জলাশয়ে ছেড়েছেন মাছের পোনা। সমাজ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থি হিসাবে আমি কেস স্টাডি করে দেখেছি কোন শিল্পপতি, ব্যবসায়ী কিংবা কোন ব্যক্তি যখন গ্রামের সহায় সম্বলহীন অসহায় মানুষের হাতে পাঁচশো টাকা তুলে দেন বেশির ভাগ মানুষই তা খরচ করে ফেলে। কিন্তু তারেক রহমান এ ধরনের সহযোগিতার প্যাটার্ণ চেইঞ্জ করে যখন কোন পরিবারের হাতে দশটা মুরগী কিংবা দশটা হাঁস, একটা ছাগল কিংবা গাভী তুলে দিয়েছেন তখন সাহায্য প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তা বিক্রি না করে লালন-পালন করে সম্পদ বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীলতার পথ খুঁজে পেয়েছে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রেখেছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করার এ এক বিশুদ্ধ আয়োজন, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন। উৎপাদন, উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রায়শই বলতেন, 'যে জাতি তার নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করে না, আল্লাহ সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।' তিনি বলতেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল, মৎস্য খামার গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে কাজ করতে হবে। কেউ বেকার থাকতে পারবে না। কর্মের মধ্য দিয়ে সম্পদ বাড়াতে হবে। পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে হবে। গ্রামের শত শত মাইল পায়ে হেঁটে তিনি এসব কর্মসূচি সরেজমিনে দেখেছেন। বলতেন, আই শ্যাল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান। তিনি একথা বলেই ক্ষান্ত হননি বরং ড্রইং রুমের রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর অলস হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি, স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছরে এদেশের জনসংখ্যা প্রায় আঠারো কোটি। প্রতিদিন আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ কমছে, বাড়ছে জনসংখ্যা, আবাদি জমিতে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। কাজেই উৎপাদন না বাড়াতে পারলে জনসংখ্যার খাদ্য ঘাটতি হবে। খাদ্য ঘাটতি হলে দেশ আমদানি নির্ভর হয়ে যাবে। নিকট অতীতে আমাদের মত বহু দেশ গরীব ছিল, নিরন্তর পরিশ্রম করে তারা ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। পরিশ্রম করেই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। 

আমাদের দেশে একটা প্রবাদ শোনা যায় 'বাপকা বেটা সিপাইকা ঘোড়া। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে লাইক ফাদার লাইক সান এ কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নাই। দৈনিক দিনকাল ২ এপ্রিল ২০০৩ সালে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছিল। 'উত্তর জনপদে অবহেলিতদের মাঝে হাঁস মুরগী বিতরণ- বিধবা নপিজানের দু-চোখে পানি।' রিপোর্টে লেখা হয়েছে- 'ঝলমলিয়া বাজারে তারেক রহমানের হাত থেকে একটি ছাগল পেয়ে বিধবা নপিজান মহাখুশি। সত্তুর বছরের নপিজান যখন ছাগল নিচ্ছিলেন তখন তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছিল। নপিজান সাংবাদিকদের বলেন, আমি মহাখুশি। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩ তারিখে মাহবুব আলম রতনের "হীরার বাড়ী" শীর্ষক ফিচার ধর্মী খবর প্রকাশের পর তারেক রহমান ময়মনসিংহ থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছা উপজেলায় গ্রামের আঁকাবাকা পথ পেরিয়ে কান্দিগাঁও গ্রামে যান। সেখানে দেখলেন মরহুম নুরুজ্জামান হীরার দু'ছেলের একজন পুকুর কেটে মাছ চাষ, ভুট্টা চাষ, কলা, পেয়ারা, বরই, লেবু, কচু, শাক সবজির চাষ, আম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারি, লিচু, জলপাই, জাম্বুরা, বেল সহ নানা জাতের গাছ লাগিয়েছেন। ময়মনসিংহের অস্বচ্ছল যুবক নিজ চেষ্টায় স্বচ্ছলতার দৃষ্টান্ত গড়েছেন। স্থাপন করেছেন হীরা এন্ড সন্স মিশ্র খামার। তার এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য তারেক রহমান তাকে বিভিন্ন ফল, শাক সবজির বীজ একটা পাওয়ার টিলার ও শ্যালো মেশিন প্রদান করেন। (সূত্র দৈনিক প্রথম আলো ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩) শুধু তাই নয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকায় মোতালেবের 'আরবের  খেজুর বাগান পরিদর্শন করেন তারেক রহমান। ১৭ জুন ২০০৪ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শীর্ষক রিপোর্টে জানা যায়, দেশে বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া আব্দুল মোতালেব ১৯৯৭ সালে সৌদি আরব গিয়ে খেজুর বাগানে কাজ করেন। ২০০০ সালে বউ-বাচ্চা আত্মীয় স্বজনের জন্য কিছু না এনে ৩৫ কেজি খেজুর নিয়ে দেশে ফেরেন আরবের খেজুর বাগান করবেন বলে। দেশে ফিরে আত্মীয় স্বজনকে খেজুর খাইয়ে বিচি সংগ্রহ করেন খেজুর বাগান করার ইচ্ছায়। দীর্ঘদিন পর দেশে খালি হাতে ফেরায় মান অভিমানে যখন তুঙ্গে তখন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিমান করে বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে দেওয়া বিচির বস্তায় একদিন চারা গজিয়ে উঠে। পরবর্তীতে বাবার দেওয়া ৭০ শতাংশ জমিতে রোপনকৃত ৩০০ টা খেজুর গাছ আজ বিশাল বাগানে পরিণত হয়েছে। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সবজি চাষ করে মোতালেব আজ স্বাবলম্বী। মোতালেবের খেজুর বাগানের এক একটা চারার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ রিয়াল বলে মোতালেব জানান।

এবার আমি পত্রিকায় প্রকাশিত তারেক রহমানের 'একটি উদ্যোগ একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা শীর্ষক কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করবো। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যেমে জনাব তারেক রহমান রাজশাহীর পুঠিয়া দুর্গাপুরে ৬০০ পরিবারকে ২০০ ছাগল, ২০০ মুরগী ও ২০০ হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: ২ এপ্রিল ২০০২ দৈনিক প্রথম আলো) এবং রাজশাহীতে ২০০ ছাগল ২০০০ মুরগী, ৪৫০টা হাঁস ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ১০০০০ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। (সূত্র: দৈনিক আজকের কাগজ ৩ এপ্রিল ২০০৩) কক্সবাজারে ১০০ ছাগল ২০০০ মুরগী, ১৬০০ হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: ১৬ এপ্রিল ২০০৩ দৈনিক ইনকিলাব) বরিশালের আগৈলঝড়ায় ৪২ টি পরিবারের মধ্যে কয়েক হাজার মুরগী এবং ১২ টি পরিবারের মধ্যে ছাগল বিতরণ করেন। (সূত্র: ২৬ এপ্রিল ২০০৩ দৈনিক ইত্তেফাক) নোয়াখালীতে ৯৬ টি পরিবারে ১ টি করে ছাগল ৬০ টি পরিবারে ৮ টি করে মুরগী ৩০০ টি পরিবারে ১ টি করে উন্নত জাতের নারিকেলের চাড়া ও সবজি বীজ বিতরণ করেন। (সূত্র: ২৮ আগষ্ট ২০০৩ দৈনিক ইনকিলাব) ঝিনাইদহে ২৫০ টি পরিবারের মধ্যে ছাগল বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ৮মে  ২০০৩) শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দি উপজেলায় ২৫ টি ছাগল ১৫০ টি বিভিন্ন ফলজ গাছের চাড়া, ৩৩ ব্যাগ ব্রী ধান বীজ ও ৫০ ব্যাগ সবজি বীজ বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক ৫ জুন ২০০৩) জামালপুরের বকশিগঞ্জে ৫০০ ব্যাগ ধান বীজ, ৭৫ প্যাকেট সবজি বীজ, ২৯৫ টি বিভিন্ন ফলজ চারা, ৬৮ টি ছাগল, ১৫ টি গরু, ৩৪০ টি মুরগী, ৩২০ টি হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ৬ জুন ২০০৩) সিলেট জেলার রাজনগরের পাঁচ গাঁওয়ে ৪০০ এবং একটুনা বাজারে ৩৭৫ টি পরিবারের মধ্যে ধান ও সবজি বীজ এবং গাছের চাড়া ও হাঁস মুরগী বিতরণ করেন। (সূত্র: ২২ আগষ্ট ২০০৪ দৈনিক দিনকাল) এভাবে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার অস্বচ্ছল পরিবারকে সহযোগিতা করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখান। প্রতিটি রাজনৈতিক দল কিংবা সামাজিক সংগঠন চাইলে এভাবে প্রত্যেকটি গ্রামে অন্তত দশজন ব্যক্তিকে স্বচ্ছল ও সাবলম্বি করারা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। 

কর্মের মধ্য দিয়ে এরকম হাজারো দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন আমাদের আদর্শের জনক স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন প্রায় এক দশক গৃহবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। তাঁর একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা আজ দেশ বিদেশে প্রশংসিত। আসুন আমরা সকলে মিলে জনাব তারেক রহমানের এই মহতি উদ্যোগে শামিল হই এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সময়ের দাবি পরিশোধ করি। আত্মনির্ভরশীল হই, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ি।

Photo credit : Rumon Rahman

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র ৩৭% শুল্ক আরোপ করেছে বাংলাদেশি পণ্যের উপর


আরাফাত, আন্তর্জাতিক নিউজ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭
যুক্তরাষ্ট্র ৩৭% শুল্ক আরোপ করেছে বাংলাদেশি পণ্যের উপর 

ছবি সংগৃহীত

 
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, যাকে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।


হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে আমেরিকান পণ্যের উপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এখন থেকে বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা দেশটি প্রধানত রফতানি নির্ভর, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রফতানি দেশ।  

হোয়াইট হাউস জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীনের মতো ‘সবচেয়ে বেশি অপরাধী’ দেশগুলোর পণ্যের ওপর আরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, এটি দেশের অন্যায্য বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মুক্ত বাণিজ্যনীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। দেশটির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়বে।

হোয়াইট হাউস জানায়, ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ শুরু হবে ৫ এপ্রিল থেকে। এরচেয়েও বেশি হারে শুল্ক কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে।  

চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সিএনবিসিকে জানায়, চীনের উপর নতুন পাল্টা শুল্ক আগের ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে, যার ফলে ট্রাম্পের এই মেয়াদে বেইজিংয়ের উপর প্রকৃত শুল্ক হার দাঁড়াবে ৫৪ শতাংশ। আর জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ হারে শুল্ক বসবে। বাংলাদেশি পণ্যের উপর নতুন করে শুল্ক বসছে ৩৭ শতাংশ।

কিছু কিছু ছোট দেশের ওপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে। যেমন; দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ লেসোথোর পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ, আর ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ শুল্ক বসবে।

হোয়াইট হাউসের একটি তথ্যানুযায়ী, বেসলাইন (মূল মান) শুল্ক ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যকর হবে, এর মধ্যে প্রায় ৬০টি দেশ উচ্চমাত্রার ‘পাল্টা’ শুল্কের আওতায় পড়বে।-আল-জাজিরা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কলকাতা প্রেসক্লাবে বিচারকের লেখা বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত


ইকবাল দরগাই, কলকাতা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৮
কলকাতা প্রেসক্লাবে বিচারকের লেখা বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

ইকবাল দরগাই, কলকাতা প্রতিনিধি: আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে  জেলা জজ বিপ্লব রায়ের লেখা গ্রন্হ "গলি থেকে রাজপথ "- এর প্রকাশনা বা মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রীঅসিম কুমার রায়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রীপ্রচেত গুপ্ত,নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পৌত্রি জয়ন্ত রক্ষিত,ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তর পুরুষ অভিজাত বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট লেখক ঋতি ভট্টাচার্য, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক পিস এম্বাসেডর এটিএম,মমতাজুল করিম ও বইয়ের লেখক বিপ্লব রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সেক্রেটারী ডঃ আদম শফি খান, কোষাধ্যক্ষ মন্জু লস্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুচন্দন মৃধা, পারুল বই প্রকাশনিরপার্থ সাহা ও পম্পা সাহা সহ অনেক কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকরাও  ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিপ্লব রায়  একজন বিচারক হিসেবে আইন - আদালতে সততার সঙ্গে কাজ করেও  মানবিক মানুষ হিসেবে তার কর্মজীবনে দেখা নানা ঘটনাকে লেখনির মাধ্যমে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - অর্থনীতি