a তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী


শামসুজ্জামান মেহেদী, লেখক ও রাজনীতিবিদ
সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৮:১৮
তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচ

ছবি সংগৃহীত

তারেক রহমানের একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা--যুগান্তকারী কর্মসূচী। 

কোন প্রকার লবিং নয়, উত্তরাধিকার সূত্রেও নয়, একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে অর্থাৎ বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য পদ গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় তিন দশক রাজনীতির মাধ্যমে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে আজকের পর্যায়ে এসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে তিনি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ছুঁটে গিয়ে গ্রামের অসচ্ছল, দরিদ্র, বন্যা পীড়িত অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন হাঁস-মুরগী, গবাদি পশু, শস্য বীজ। উন্মুক্ত জলাশয়ে ছেড়েছেন মাছের পোনা। সমাজ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থি হিসাবে আমি কেস স্টাডি করে দেখেছি কোন শিল্পপতি, ব্যবসায়ী কিংবা কোন ব্যক্তি যখন গ্রামের সহায় সম্বলহীন অসহায় মানুষের হাতে পাঁচশো টাকা তুলে দেন বেশির ভাগ মানুষই তা খরচ করে ফেলে। কিন্তু তারেক রহমান এ ধরনের সহযোগিতার প্যাটার্ণ চেইঞ্জ করে যখন কোন পরিবারের হাতে দশটা মুরগী কিংবা দশটা হাঁস, একটা ছাগল কিংবা গাভী তুলে দিয়েছেন তখন সাহায্য প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তা বিক্রি না করে লালন-পালন করে সম্পদ বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীলতার পথ খুঁজে পেয়েছে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রেখেছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করার এ এক বিশুদ্ধ আয়োজন, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন। উৎপাদন, উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রায়শই বলতেন, 'যে জাতি তার নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করে না, আল্লাহ সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।' তিনি বলতেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল, মৎস্য খামার গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে কাজ করতে হবে। কেউ বেকার থাকতে পারবে না। কর্মের মধ্য দিয়ে সম্পদ বাড়াতে হবে। পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে হবে। গ্রামের শত শত মাইল পায়ে হেঁটে তিনি এসব কর্মসূচি সরেজমিনে দেখেছেন। বলতেন, আই শ্যাল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান। তিনি একথা বলেই ক্ষান্ত হননি বরং ড্রইং রুমের রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর অলস হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি, স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছরে এদেশের জনসংখ্যা প্রায় আঠারো কোটি। প্রতিদিন আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ কমছে, বাড়ছে জনসংখ্যা, আবাদি জমিতে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। কাজেই উৎপাদন না বাড়াতে পারলে জনসংখ্যার খাদ্য ঘাটতি হবে। খাদ্য ঘাটতি হলে দেশ আমদানি নির্ভর হয়ে যাবে। নিকট অতীতে আমাদের মত বহু দেশ গরীব ছিল, নিরন্তর পরিশ্রম করে তারা ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। পরিশ্রম করেই আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। 

আমাদের দেশে একটা প্রবাদ শোনা যায় 'বাপকা বেটা সিপাইকা ঘোড়া। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে লাইক ফাদার লাইক সান এ কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নাই। দৈনিক দিনকাল ২ এপ্রিল ২০০৩ সালে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছিল। 'উত্তর জনপদে অবহেলিতদের মাঝে হাঁস মুরগী বিতরণ- বিধবা নপিজানের দু-চোখে পানি।' রিপোর্টে লেখা হয়েছে- 'ঝলমলিয়া বাজারে তারেক রহমানের হাত থেকে একটি ছাগল পেয়ে বিধবা নপিজান মহাখুশি। সত্তুর বছরের নপিজান যখন ছাগল নিচ্ছিলেন তখন তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছিল। নপিজান সাংবাদিকদের বলেন, আমি মহাখুশি। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩ তারিখে মাহবুব আলম রতনের "হীরার বাড়ী" শীর্ষক ফিচার ধর্মী খবর প্রকাশের পর তারেক রহমান ময়মনসিংহ থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছা উপজেলায় গ্রামের আঁকাবাকা পথ পেরিয়ে কান্দিগাঁও গ্রামে যান। সেখানে দেখলেন মরহুম নুরুজ্জামান হীরার দু'ছেলের একজন পুকুর কেটে মাছ চাষ, ভুট্টা চাষ, কলা, পেয়ারা, বরই, লেবু, কচু, শাক সবজির চাষ, আম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারি, লিচু, জলপাই, জাম্বুরা, বেল সহ নানা জাতের গাছ লাগিয়েছেন। ময়মনসিংহের অস্বচ্ছল যুবক নিজ চেষ্টায় স্বচ্ছলতার দৃষ্টান্ত গড়েছেন। স্থাপন করেছেন হীরা এন্ড সন্স মিশ্র খামার। তার এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য তারেক রহমান তাকে বিভিন্ন ফল, শাক সবজির বীজ একটা পাওয়ার টিলার ও শ্যালো মেশিন প্রদান করেন। (সূত্র দৈনিক প্রথম আলো ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩) শুধু তাই নয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকায় মোতালেবের 'আরবের  খেজুর বাগান পরিদর্শন করেন তারেক রহমান। ১৭ জুন ২০০৪ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শীর্ষক রিপোর্টে জানা যায়, দেশে বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া আব্দুল মোতালেব ১৯৯৭ সালে সৌদি আরব গিয়ে খেজুর বাগানে কাজ করেন। ২০০০ সালে বউ-বাচ্চা আত্মীয় স্বজনের জন্য কিছু না এনে ৩৫ কেজি খেজুর নিয়ে দেশে ফেরেন আরবের খেজুর বাগান করবেন বলে। দেশে ফিরে আত্মীয় স্বজনকে খেজুর খাইয়ে বিচি সংগ্রহ করেন খেজুর বাগান করার ইচ্ছায়। দীর্ঘদিন পর দেশে খালি হাতে ফেরায় মান অভিমানে যখন তুঙ্গে তখন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিমান করে বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে দেওয়া বিচির বস্তায় একদিন চারা গজিয়ে উঠে। পরবর্তীতে বাবার দেওয়া ৭০ শতাংশ জমিতে রোপনকৃত ৩০০ টা খেজুর গাছ আজ বিশাল বাগানে পরিণত হয়েছে। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সবজি চাষ করে মোতালেব আজ স্বাবলম্বী। মোতালেবের খেজুর বাগানের এক একটা চারার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ রিয়াল বলে মোতালেব জানান।

এবার আমি পত্রিকায় প্রকাশিত তারেক রহমানের 'একটি উদ্যোগ একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা শীর্ষক কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করবো। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যেমে জনাব তারেক রহমান রাজশাহীর পুঠিয়া দুর্গাপুরে ৬০০ পরিবারকে ২০০ ছাগল, ২০০ মুরগী ও ২০০ হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: ২ এপ্রিল ২০০২ দৈনিক প্রথম আলো) এবং রাজশাহীতে ২০০ ছাগল ২০০০ মুরগী, ৪৫০টা হাঁস ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ১০০০০ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। (সূত্র: দৈনিক আজকের কাগজ ৩ এপ্রিল ২০০৩) কক্সবাজারে ১০০ ছাগল ২০০০ মুরগী, ১৬০০ হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: ১৬ এপ্রিল ২০০৩ দৈনিক ইনকিলাব) বরিশালের আগৈলঝড়ায় ৪২ টি পরিবারের মধ্যে কয়েক হাজার মুরগী এবং ১২ টি পরিবারের মধ্যে ছাগল বিতরণ করেন। (সূত্র: ২৬ এপ্রিল ২০০৩ দৈনিক ইত্তেফাক) নোয়াখালীতে ৯৬ টি পরিবারে ১ টি করে ছাগল ৬০ টি পরিবারে ৮ টি করে মুরগী ৩০০ টি পরিবারে ১ টি করে উন্নত জাতের নারিকেলের চাড়া ও সবজি বীজ বিতরণ করেন। (সূত্র: ২৮ আগষ্ট ২০০৩ দৈনিক ইনকিলাব) ঝিনাইদহে ২৫০ টি পরিবারের মধ্যে ছাগল বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ৮মে  ২০০৩) শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দি উপজেলায় ২৫ টি ছাগল ১৫০ টি বিভিন্ন ফলজ গাছের চাড়া, ৩৩ ব্যাগ ব্রী ধান বীজ ও ৫০ ব্যাগ সবজি বীজ বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক ৫ জুন ২০০৩) জামালপুরের বকশিগঞ্জে ৫০০ ব্যাগ ধান বীজ, ৭৫ প্যাকেট সবজি বীজ, ২৯৫ টি বিভিন্ন ফলজ চারা, ৬৮ টি ছাগল, ১৫ টি গরু, ৩৪০ টি মুরগী, ৩২০ টি হাঁস বিতরণ করেন। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ৬ জুন ২০০৩) সিলেট জেলার রাজনগরের পাঁচ গাঁওয়ে ৪০০ এবং একটুনা বাজারে ৩৭৫ টি পরিবারের মধ্যে ধান ও সবজি বীজ এবং গাছের চাড়া ও হাঁস মুরগী বিতরণ করেন। (সূত্র: ২২ আগষ্ট ২০০৪ দৈনিক দিনকাল) এভাবে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার অস্বচ্ছল পরিবারকে সহযোগিতা করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখান। প্রতিটি রাজনৈতিক দল কিংবা সামাজিক সংগঠন চাইলে এভাবে প্রত্যেকটি গ্রামে অন্তত দশজন ব্যক্তিকে স্বচ্ছল ও সাবলম্বি করারা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। 

কর্মের মধ্য দিয়ে এরকম হাজারো দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন আমাদের আদর্শের জনক স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন প্রায় এক দশক গৃহবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। তাঁর একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা দেশে আসবে স্বনির্ভরতা আজ দেশ বিদেশে প্রশংসিত। আসুন আমরা সকলে মিলে জনাব তারেক রহমানের এই মহতি উদ্যোগে শামিল হই এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সময়ের দাবি পরিশোধ করি। আত্মনির্ভরশীল হই, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ি।

Photo credit : Rumon Rahman

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

এনবিআরের বিশেষ আদেশ, যেসকল সরকারি কর্মচারীদের ই–রিটার্ন প্রদান বাধ্যতামূলক


অর্থনীতি ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:৪২
এনবিআরের বিশেষ আদেশ, যেসকল সরকারি কর্মচারীদের ই–রিটার্ন প্রদান বাধ্যতামূলক

ছবি সংগৃহীত: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবন, সেগুন বাগিচা

 

নিউজ ডেস্ক: চার সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকার, মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও ছয়টি বড় কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত এনবিআরের বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চার ধরনের ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর দাখিল বাধ্যতামূলক করল।

তালিকার প্রথমে রয়েছেন ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলসমূহের অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তৃতীয়ত, দেশের সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরও অনলাইনে রিটার্ন প্রদান করতে হবে।

এ ছাড়া ছয়টি বড় বিদেশি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এই কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি।

এর আগে গত সোমবার দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন দাপ্তরিক লেনদেনে ডিজিটাল প্রযুক্তি চালুর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সব সরকারি কর্মকর্তাদের ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া বড় শিল্প গ্রুপগুলোকেও ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের এক দিন পর এনবিআর বিশেষ আদেশ জারি করল।

২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম গত ৯ সেপ্টেম্বর করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ২ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আয়করের ই-রিটার্ন জমার সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সরকার আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১০ লাখ করদাতা অনলাইনে আয়কর নথি বা রিটার্ন জমা দেবেন।

অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাচ্ছে। আবার এই সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারছেন। এ ছাড়া দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

১৪ এপ্রিল থেকে মুভমেন্ট পাস ছাড়া বের হওয়া যাবে না


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:২০
১৪ এপ্রিল থেকে মুভমেন্ট পাস ছাড়া বের হওয়া যাবে না

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। এই লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে, পুলিশের কাছ থেকে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হবে।

এ জন্য অনলাইনে ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। মঙ্গলবার এই ‘মুভমেন্ট পাস’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। 

পুলিশ প্রধান বলেন, অতি প্রয়োজনে বাইরে যাতায়াতের জন্য অবশ্যই মুভমেন্ট পাস প্রদর্শন করতে হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক একটি মুভমেন্ট পাস ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা বাইরে  থাকতে পারবেন। প্রতিটি গন্তব্যে যাওয়া ও ফিরে আসার জন্য দুটি মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে হবে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অর্থনীতি