a গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট প্রনয়ণ করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩১ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট প্রনয়ণ করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫, ০৪:৪৮
গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট প্রনয়ণ করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  শ্রমিকদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট প্রনয়ণ করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল ৩ জুন ২০২৫ ইং তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারিক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকের এই বাজেট প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের জানাই ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সময়ে আপনাদের সামনে আমরা উপস্থিত হয়েছি। আপনারা জানেন, বিড়ি শিল্প উপহাদেশের একটি আদি ও পুরাতন শিল্প । এই উপমাহাদেশে যখন বেকার মানুষের কোন কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল না তখন বিড়ি শিল্পই ছিল একমাত্র কর্মসংস্থান। আজও দেশে এমন অঞ্চল রয়েছে যেখানে বিড়ি শিল্পই কর্মসংস্থানের একমাত্র অবলম্বন।

এটি বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। দেশের ৫৪তম বাজেট। বাজেটের মূল লক্ষ্য “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন”। সংকটের এই সময়ে এটি খুবই গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট। এই বাজেটে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৬২৬ আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের উপর শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সিদ্ধান্তে আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। সমতাভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও সময়োপযোগী প্রনয়ণ করায় বাংলাদেশের বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।

বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এই শিল্পের অবদান অপরিসীম। তবে বিভিন্ন সময়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রে বিড়ি শিল্পে বারবার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না এবং বিড়ি একটি কুটির শিল্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এদিকে বিড়ি ও সিগারেট একই গোত্রভূক্ত হওয়া শর্তেও এ দুটির মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। বিড়ির অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ। আর সিগারেটের অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ ছিল। কিন্তু শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলে সিগারেটের অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার। তবুও বিড়ি ও সিগারেটের অগ্রীম আয়করে ব্যাপক বৈষম্য বিরাজ করছে। সুতরাং শ্রমিক বান্ধব বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।

বিড়ি একটি দেশিয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প। পাকিস্থান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়াতে হাতে তৈরি বিড়িকে প্রণোদনা দেয়া হয়। এসব দেশে বিড়ি ফ্যাক্টরী প্রতিষ্ঠা না করলে সিগারেট ফ্যাক্টরী করার অনুমোদন দেওয়া হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে তার বিপরীত চিত্র। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে বারবার বিড়ি শিল্পের উপর মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হয়েছে। অসম শুল্কের ভারে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। শ্রমিকরাই দেশের মূল চালিকা শক্তি, শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতির ভিত। শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। একইসাথে দেশের উন্নয়ন এবং শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থে নিম্নতম মজুরী বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম। তারা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী বিএটি ও জেটিআই এ দেশের টোব্যাকো কোম্পানীর মার্কেট শোষণ করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বর্তমানে টোব্যাকো মার্কেটের ৮০ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে নিম্নস্তরের সিগারেট। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। নানাবিধ প্রতিকূলতার মাঝে টিকে থাকা বিড়ি শিল্পের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি । বিড়িতে ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নকল বিড়ি উৎপাদন করে। এছাড়া খুচরা বিক্রেতাগণও বেশি লাভের আশায় নকল বিড়ি বিক্রিতে উৎসাহিত হয়। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায় এবং প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিজি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সুতরা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে নকল বিড়ি বন্ধ করতে হবে। একইসাথে নকল বিড়ি ও সিগারেট উৎপাদান এবং বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

দেশীয় শিল্প, প্রান্তিক গরীব, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কর্ম রক্ষার্থে আমাদের দাবিসমূহ পেশ করছি। দাবীসমূহ-
১. বিড়ি শিল্পের উপর থেকে অগ্রীম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে।
২. বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করতে হবে।
৩. নূন্যতম মজুরী বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ,
জাতির জাগ্রত বিবেক হিসেবে আপনারা অতীতেও আমাদের পাশে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আপনাদের কলম আমাদের রুটি-রুজির সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাদের বক্তব্য শোনার জন্য পুনরায় আস্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। খোদা হাফেজ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:২২
যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক

ফাইল ছবি

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে বন্ধ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ব্যাংক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ব্যাংক বন্ধের ঘটনার দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম নজির।

যথারীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি) সিগনেচার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, সিগনেচার ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৬ কোটি ডলার এবং তাদের আমানত আছে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার।

তবে এই ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ঘাড়ে কোনো নতুন চাপ আসবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ। অর্থাৎ এসভিবি বা সিগনেচার ব্যাংককে বেইল আউট করা হবে না। আমানতকারীদের স্বার্থও রক্ষা করা হবে জানিয়েছে তারা।

এসভিবির মতো সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা অনেকটা আকস্মিকভাবেই আসে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও গতকাল রোববার সিগনেচার ব্যাংকের ম্যানহাটনের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। এমনকি ইতালীয় রেস্তোরাঁ কারমিন থেকে দুপুরের খাবারের অর্ডারও দিয়েছিলেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল স্টারবাকসের কফি। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা এক এক করে প্রধান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন।

এই ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ ও ফেডারেল রিজার্ভের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, মার্কিন অর্থনীতি সুরক্ষিত এবং মানুষের আস্থা ধরে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এফডিআইসি সিগনেচার ব্যাংকের সব হিসাব ফিফথ থার্ড ব্যাংক করপোরেশনে স্থানান্তর করেছে। আজ সোমবার থেকেই গ্রাহক করে তাঁর হিসাব ব্যবহার করতে পারবেন।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, শেয়ারহোল্ডার ও কিছু অরক্ষিত ঋণগ্রহীতা সুরক্ষার আওতায় আসবে না। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অরক্ষিত আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে এফডিআইসির যদি কোনো ক্ষতি হয়, তা সিগনেচার ব্যাংকের বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া হবে। আইনি ব্যাখ্যার আওতায় তা করা হবে।

যৌথ ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, দুটি ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত শক্তি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মূলত, ০০৮ সালের আর্থিক সংকটে পর যেসব সংস্কার করা হয়েছিল, সেগুলোই আজ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতের সুরক্ষা দিচ্ছে। তৎকালীন সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে বর্তমান কর্মসূচির সমন্বয়ের মাধ্যমে আমানতকারীরা সুরক্ষিত আছেন। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা-ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ০৩:০৫
গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা-ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি: ম্যাথিউ মিলার

 

নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বাংলাদেশের পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যে বিবৃতি দিয়েছে সে বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন আপত্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।
   
ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্নীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বিবৃতি জারি করেছে। যদিও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় এসব খবর গণমাধ্যমে খুব কমই প্রকাশিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ওসব দুর্নীতির খবর প্রায়শই উপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে। এর আগে একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তারা পরিচিত দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারছে না। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে। সূত্র: মানবজমিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - অর্থনীতি