a
ফাইল ছবি
গতকাল রাজধানীর গুলশান-২ এ অভিযান চালিয়ে তারকা দম্পতি ওমর সানি ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনের মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বার থেকে গতকাল ১৮ মে ১১ জনকে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ। অভিযানে সিসা ও সিসা সেবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। মন্টানা লাউঞ্জ নামে সিসা বারের মালিক তারকা দম্পতি ওমর সানি ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক অনলাইন গণমাধ্যমের কাছে স্বয়ং এ তথ্য স্বীকার করেন ওমর সানি।
তিনি জানান, মন্টানা লাউঞ্জ আসলে একটি খাবারের রেস্তোরাঁ। এর মালিক আমার ছেলে এবং তার দুই বন্ধু। খাবারের পাশাপাশি এখানে সিসা সেবনের ব্যবস্থা ছিল। এখানে কোনো বেআইনি বা অবৈধ কিছু ঘটছিল না। আমরা দেশের আইন অনুযায়ী চলেছি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ জানিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানা ওসি আবুল হাসান। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ তাই রেস্তোরাঁয় সিসা সেবনের ব্যবস্থা কেন ছিল? এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বাংলা সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েন, সিগারেট অবৈধ না হলে সিসা কেন অবৈধ?
তিনি যুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, গুলশান বনানীতে প্রায় ৪০টির মতো সিসা লাউঞ্জ আছে। যদি সরকার ঐগুলোসহ আমার ছেলেরটা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের রেস্তোরাঁয় শুধু খাবারের ব্যবস্থাই থাকবে।
সংগৃহীত ছবি
বুধবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সময়টা বন্ধ থাকবে ছোট-বড় সব সিনেমা হল। তবে ছয়টি বিশেষ শর্তে স্বল্প পরিসরে নাটক ও সিনেমার শুটিং চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনয় শিল্পীরা।
সিনেমার শুটিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে কেউ যদি শুটিং করতে চান তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এখন শুটিং না করাই ভালো বলে মনে করি।’
অন্যদিকে, নাটকের শুটিংয়ের বিষয়ে টিভি নাটকের পাঁচ সংগঠন এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লকডাউনে সব ধরনের শুটিংয়ের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার ব্যাপারে আন্তঃসংগঠন একমত পোষণ করলেও জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে ৬টি শর্তে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীরা।
ছয়টি শর্ত হলো-
১) আন্তঃসংগঠনের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে কাজ করতে হবে।
২) শুটিংয়ের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান শিল্পী-কলাকুশলীদের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অবহিত থাকবেন।
৩) করোনাভাইরাসের তীব্রতার মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে কোনো শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো শিল্পী সঙ্গত কারণ দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন।
৪) ঢাকা শহর অথবা ঢাকার বাইরে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের আনা-নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা করবেন।
৫) সদস্যবৃন্দের যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে নিজ নিজ সংগঠনে পরিচয়পত্র সাথে রাখবেন।
৬) যেহেতু প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, অতিব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। তাই জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হবেন।
এর আগে গত বছরের লকডাউনে প্রায় ছয় মাস সিনেমা হলের পাশাপাশি সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বল্প আয়ের মানুষরা, বিশেষ করে যারা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরাও। সেই দিক বিবেচনায় এবার শুটিংয়ের বিষয়ে কিছুটা নমনীয় পরিচালক ও শিল্পী নেতারা।
ফাইল ছবি
ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ৫১ পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান।
২০২০ সালে ইরাকের বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে ড্রোন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের শীর্ষ জেনারেলকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে তেহরান। খবর রয়টার্সের।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সন্ত্রাসবাদ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৫১ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি, হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন প্রমুখ।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানে থাকা মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পদ ইরানি কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। যদিও ইরানে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পদ না থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা প্রতীকী ব্যবস্থা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
তেহরানের স্থানীয় গণমাধ্যমে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে বলেছে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং তার সহযোগির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকায় সংশ্লিষ্টতা এবং সন্ত্রাসবাদ ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৫১ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি, যিনি এই বাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। পরে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তার নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী এবং মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্য কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তেহরান।
গত সপ্তাহে জেনারেল সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ট্রাম্পকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, নতুবা তেহরান নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিশোধ নেবে।