a
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘লকডাউন’ বা বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
‘আজ (৩ মে) থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেবো’- বলেও জানান তিনি।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রোজার আগেই নির্বাচন করা যেতে পারে বলে ড. ইউনুস জনাব তারেক রহমানকে বলেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে যৌথ বিবৃতি দেন। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান।
যৌথ বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।
সূত্র : বাসস
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে "অপরাধপ্রবণ ব্যক্তির হাতের লিখার বৈশিষ্ট্য" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাতের লেখার মধ্যে মানুষ তার অজান্তেই নিজের চেতন ও অবচেতন মনের আচরণ বা অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক বা গ্রাফোলজিস্ট হাতের লেখার গঠনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে মানুষ এর আচরণ বা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলতে পারে।
"হ্যান্ড রাইটিং ট্রেইটস অফ ক্রিমিনাল টেন্ডেন্সিস" - এই শিরোনামে ১২ই জুন (সোমবার) রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর সহযোগিতায় একটি তথ্যবহুল ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মনিরা নাজমি জাহান।
উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশ ক্রিমিনোলজি অ্যাসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর সভাপতি ফারিয়া আনজুম খান ধ্রুবা, সহ -সভাপতি তানভির হাসান তালুকদার শাওনসহ অন্যান্য সদস্য।
আজকের প্রোগ্রামের ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মিরাজ হোসাইন। তিনি একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক। এর পাশাপাশি তিনি একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবেও কর্মরত আছেন।
হাতের লেখার ধরণ পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে কিভাবে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত করা যায় তা ছিল আজকের কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য। মোঃ মিরাজ হোসাইন বলেন, "প্রায় ৫০ এর বেশি হাতের লেখার বৈশিষ্ট্যের চিহ্নিত করা হয়েছে অপরাধীদের হাতের লেখা গবেষণা করে। এরমধ্যে কারো কারো হাতের লেখায় যখন ৭-৮ টি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে গ্রাফোলজিস্টরা শনাক্ত করেন"।
মনিরা নাজমি জাহান বলেছেন, "প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন করে গ্রাফোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন যাতে করে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ ও মানসিক অবস্থা শনাক্ত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কর্মচারী নিয়োগ এর ক্ষেত্রে হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিত্ব অনুধাবন করে নিয়োগ দিলে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে"।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা বাংলা হাতের লেখার উপর গবেষণা করা এবং দেশে গ্রাফোলজিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া আরো জোরদার করার আহবান জানায়। অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে একাংশ পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এবং আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে প্রধান অতিথি ও আজকের ট্রেইনার কে ক্রেস্ট দ্বারা সম্মান জানানোর মাধ্যমে।