a
ছবি-মুক্তসংবাদ প্রতিদিনঃ রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ কমিটির মো: সোহাগ মন্ডল কে সভাপতি এবং আমিনুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণে উপদেষ্টা এবং সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল সালাম ও সহকারী অধ্যাপক মো শরিফুল ইসলাম এবং অনান্য উপদেষ্টাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসাবে আছেন – রবিউল ইসলাম ও মোঃ সোহেল রানা; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ লাইচ মিয়া, রাফিউল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান আসিব মন্ডল; সাংগঠনিক সম্পাদক
টি এম নোমানী, মোঃ রানা হোসাইন সাগর, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ হিমেল, অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিশাত ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জামিল হোসেন সালমান, প্রচার সম্পাদক অনিক লাকড়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ লিমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী আশা, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ হাসান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলামিন হোসেন। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে পূণাঙ্গ করার র্নিদেশনা দেন উপদেষ্টারা।
দায়িত্ব গ্রহন করে সভাপতি মো: সোহাগ মন্ডল বলেন,”রংপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ একটি অরাজনৈতিক এবং ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। আমরা এই সংগঠনকে এবং সংগঠনের সকল সদস্য কে নিয়ে একত্রে কাজ করে জেলা ছাত্র কল্যাণকে রোল মডেল হিসাবে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ্। ”
সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন,”রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন, সংগঠনের সাথে জড়িত প্রতিটা মানুষ খুবই আন্তরিক। তাদের দীর্ঘদিনের ফসল আমাদের এই সুনামধন্য সংগঠন, তারা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে দায়িত্ব দিয়েছে, ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করবো সংগঠনের সাথে প্রতিটা কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার।”
ফাইল ছবি
প্রায় দীর্ঘ ছয় বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সভাপতি হিসেবে মোঃ আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা নিযুক্ত হয়েছেন। এছাড়া সি: সহসভাপতি মোঃ ইব্রাহিম কবির মিঠু, সি: যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সামছুল আরেফিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয় এবং ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী সামছুল আরেফিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। তবে তিনি মুঠোফোনে জানিয়েছেন, দল যা ভালো মনে করেছে আমি সেটি মেনে নিয়েছি। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
ছবি সংগৃহীত
নির্বিচার হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রায় ৩০,০০০ নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলের বাহিনী এবং দিনকে দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। অথচ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গাজার জনগণের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ করছে না।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউজেডও) জরুরি সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে নয়।’’
ড্যানিয়েল হ্যাগারি আরও বলেন, ‘‘এই যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল জিম্মিদের উদ্ধার করা। একই সঙ্গে গাজার নাগরিকদের হামাসের হাত থেকে মুক্তি নিশ্চিত করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা উত্তর থেকে দক্ষিণে হামাসের সামরিক কাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে হামাসের ২৪টির মধ্যে অন্তত ১৮টি ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করেছি। বাকিগুলো ধ্বংস করার কাজ চলছে। এর মধ্যে অন্তত চারটি ব্যাটালিয়ন রাফাহতে রয়েছে।’’
হ্যাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাহর ১৪ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
অথচ ইসরায়েল হামাসকে নির্মুলের নামে গাজার স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল এমনকি জাতিসংঘ কর্তৃক বিভিন্ন শরণার্থ শিবিরে বোমা মেরে শত শত নারী-শিশুকে হত্যা করেছে এবং বাড়ি-ঘর সব ধ্বংস করেছে। আর ইসরায়েলের এই সামরিক মুখপাত্র বর্তমানে তাদের নিজেদের অবস্থা বেগুতিক দেখে বলছে রাফাহর ১৪ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। ৩০ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যার আগে এসব তত্ত্বকথা তাদের মনে ছিলো না?
ইসরায়েল-আমেরিকার এসব ভন্ডামী দু’মুখো কথা বিশ্বের সকলে কম-বেশি জানে বলেই আস্তে আস্তে আমেরিকামুখী ছোট-বড় দেশগুলোর জনগণ ও সরকার আমেরিকা থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা রাশিয়া তথা অন্য বৃহৎ দেশগুলোর সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সামনে দিনগুলোতে চলার পথ খুঁচছে!
আমেরিকা আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশগুলো থেকে তাদের সেনাবাহিনী নিজ দেশে আনতে বাধ্য হয়েছে। নিকট অতীতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে সাহায্যের নামে ইউক্রেন থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আমেরিকা অন্য দেশের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ইসরায়েল তথা মধ্যপ্রাচ্য থেকেও তাদের গুটিয়ে নিয়ে নিজেদের দেশ রক্ষায় ব্যস্ত থাকতে বাধ্য হবে, এই সময় খুব একটা দূরে নয়!
লেখক: কলাম লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক
এবং নির্বাহী পরিচালক, হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)