a
ফাইল ছবি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান মন্তব্য করেছেন জিনগত পরিবর্তনের কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
অপরদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি সেসব জায়গায় আংশিক লকডাউনের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
এদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সরকারের এ নির্দেশনা পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত তা ২ সপ্তাহ বলবৎ থাকবে।
ফাইল ছবি
এশিয়ার শীর্ষ ১০০ জন বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’। সেই তালিকায় নাম এসেছে তিন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর। তারা হলেন যথাক্রমে সালমা সুলতানা, ফেরদৌসী কাদরী ও সায়মা সাবরিনা। এক সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান ও গবেষণায় পূর্বেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন এই তিন নারী বিজ্ঞানী।
গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে ষষ্ঠবারের মত এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে কোভিড–১৯ এর মতো এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকরা এ বছর এ তালিকায় মনোনিত হয়েছেন। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় ও ছবি এবং তাদের গবেষণার বিষয় সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
সেই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, জাপান, হংকং, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীদের নাম এসেছে। তালিকায় যায়গা করে নেয়া বিজ্ঞানীরা বর্তমান সংকটময় সময়ে মলিকুলার ইমেজিং থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তিন বিজ্ঞানীর পরিচয় জেনে নেয়া যাক:
ড.ফেরদৌসী কাদরী,তিনি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তার প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে প্রশংসনীয়। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কলেরা মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এমন কয়েকজন মানুষের মধ্যে তিনি অন্যতম।
বিজ্ঞানী সায়মা সাবরিনা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। ন্যানোম্যাটেরিয়্যালের ব্যবহার নিয়ে গবেষণার জন্য ২০২০ সালে তিনি ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ের ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর আর্লি ক্যারিয়ার ওমেন সায়েন্টিস্ট ইন দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড পেয়েছিলেন।
আরেক বিজ্ঞানী সালমা সুলতানা হলেন মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এমএএলএফ) চেয়ারম্যান। বাংলাদেশে পশুচিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষাবিস্তারে তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি পশুর রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরিসহ একটি ভেটেরিনারি হাসপাতালও গড়ে তুলেছেন। যা গবাদিপশুর আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সহজ করতে সক্ষম হয়েছে।এদিকে তাদের এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ এই অর্জন যেমন তাদের তেমনি বাংলাদেশের।
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ মঙ্গলবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লুকা মডরিচদের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাঁচবারের মুখোমুখি দেখায় সমানে সমান দল দুটি। লে আলবিসেলেস্তেদের দুই জয়ের বিপরীতে ক্রোয়াটরাও জিতেছে দুটি ম্যাচ, ড্র হয়েছে একটি ম্যাচ।
জানা যাক, আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি দেখায় কেমন ছিল তাদের কৌশল-
আর্জেন্টিনার কৌশল: ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা খানিকটা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে একাদশ সাজায়। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ব্যাকলাইনে চারজন রেখে মাঝমাঠ তিনজন আবার কখনও চারজনকে নিয়ে ফরমেশন সাজানো হয়। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে দুই দলের হেড টু হেড ম্যাচ বিশ্নেষণ করলে দেখা যায়, আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়াকে আটকাতে শুরুতে বলের পজেশনটা ঠিক রাখে। এরপর দ্রুত আক্রমণ শানায়। লং পাসে খেলতে কমই দেখা যায় তাদের। মাঝমাঠ থেকে দুই উইং বা ডি বক্সের ভেতরে জটলা ভেঙে সাফল্য পেতে চায়।
ক্রোয়েশিয়া কৌশল: বল দখলে রাখার প্রতি বেশি মন নেই তাদের। মাঝমাঠে বলটা কিছুক্ষণ আটকে লং শটে বা কাউন্টার অ্যাটাকে রক্ষণ ভাঙতে চায়। সে ক্ষেত্রে আগের ম্যাচগুলোতে দেখা যায়, আর্জেন্টিনার গোলমুখে তেমন একটা শট না নিতে পারলেও অল্প শটেও দারুণ সফল দলটি। আর ম্যাচের লিড নেওয়ার পর রক্ষণ দেয়ালে নতুন কোনো সেনানী যোগ করে না। উল্টো পিছিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার ওপর আক্রমণের চাপ বাড়িয়ে দেয়। যেটা ক্রোয়েশিয়ার ভয়ংকর একটা রূপ। সূত্র: সমকাল