a
ফাইল ছবি
পবিত্র কোরআন শরিফ থেকে ২৬টি আয়াত অপসারণ চেয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি রিট দায়ের করেছিলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ওয়াসিম রিজভী। তার এই রিট আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য উক্ত রিট পিটিশনটি দাখিল করার ব্যয় হিসেবে আবেদনকারীকে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি আরএফ নরিমনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রিট আবেদনটিকে ‘বাজে’ বলে আখ্যায়িত করেন মাননীয় বিচারক। সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম
ফাইল ফটো:
ভারতে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীর কুড়িলে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রগতি সরণির বসুন্ধরা গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত একটি সমাবেশে বলেন, ভারতের সুপ্রিমকোর্টে পবিত্র কোরআন শরিফ সংশোধনের দাবিতে মামলা দায়েরকারী ওয়াসিম রিজভিকে গ্রেফতার করা হোক। ওয়াসিম রিজভির ছবি পদদলিত করার পাশাপাশি পোস্টারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মতো বাংলাদেশেও বিক্ষোভ চলছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান রিজভির অভিযোগ করে বলেন, কোরআন শরিফের ২৬টি আয়াতে নাকি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
ওয়াসিম রিজভির ওই আবেদন বাতিল চেয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা মাহমুদ দরিয়াবাদী।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৪০০ বছর ধরে পবিত্র কোরআন শরিফ অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। এই ঐশী গ্রন্থের একটি শব্দও পরিবর্তন করার অপচেষ্টা কেউ করেনি। কোরআন শরিফের কোনো আয়াতেই সহিংসতাকে সমর্থন করা না।
ভারতের শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— কোরআনের প্রত্যেকটি আয়াত চিরন্তন সত্য। এর সত্যতা নিয়ে কোনো বিতর্ক চলতে পারে না। প্রখ্যাত শিয়া আলেম মাওলানা কালবে জাওয়াদ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভারতের আইনশৃঙ্খলা খারাপ করার জন্য এবং মুসলিমদের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই চেষ্টা নিন্দনীয়।
ওয়াসিম রিজভির বিরুদ্ধে অন্যসব বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ মারণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তে মারা গেছেন। আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভোর ৪টা ১৪ মিনিটে তিনি মারা যান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পিআরও মো. রিয়াজুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ ২০১৯ সালের ২২ মে মহাপরিচালক হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরে যোগদান করেন। ড. আহাম্মেদ ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন এবং গত ২৭ বছরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি দুবাইয়ের বাংলাদেশের কনসুলেট জেনারেলের বাণিজ্যিক পরামর্শদাতা হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া তিনি তৎকালীন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। ড. আহাম্মেদ ২০১৪ সালে পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন) হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরেও কাজ করেছিলেন।
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক (অনার্স) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।