a
সংগৃহীত ছবি
‘আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শপথ নিতে হবে, প্রয়োজনে আবার যুদ্ধে যেতে হবে। এ যুদ্ধ হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার’- বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে নুর বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলব, সব রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীকে নিয়ে আলোচনা করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। অন্যথায় দেশের যে পরিস্থিতি হয়, তার দায় আপনাকে নিতে হবে।’
এসময় নুর আরও বলেন, ‘গতকাল থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ, যাত্রাবাড়ী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গতকাল জাতিকে লাশ উপহার দিয়েছে। আমরা সরকারকে ধিক্কার জানাই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ দিয়ে বায়তুল মোকাররমে কী তাণ্ডব চালিয়েছে আপনারা দেখেছেন। একই তাণ্ডব চালানো হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে।’
এসময় কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘নারীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তারা সাংবাদিকদের ওপরও আক্রমণ চালিয়েছে।’
ফাইল ছবি: মেয়র তাপস
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বলেছিলেন—আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ১০০ বছরেও নামাইতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। আপনারা মনে হয় আয়নায় চেহারা দেখেন না, নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে মাঠে আইসেন।’
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ঢাকা-১০ সাংগাঠনিক টিম আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মেয়র তাপস বলেন, ‘২১ আগস্ট, ২০০৪ সালে শান্তি সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে তারা বড় বড় কথা বলে। তারা আইভী রহমানসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের সেই দুঃশাসনে এখনও অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, খাম্বা দিয়েছে। ৫ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আপনাদের জন্মই সংবিধানের বাইরে, গণতন্ত্রের বাইরে। আপনারা কোনোদিন গণতন্ত্র মানবেন না, এটাই স্বাভাবিক।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা-১০ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
কাজাখস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন অনেক বাংলাদেশি। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে দেশটি। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
কাজাখস্তান সরকার প্রতিবছর ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য এই বৃত্তি দেয়। কাজাখস্তান সরকার বছরে মোট ৫৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়। এর মধ্যে ওআইসিভুক্ত দেশের জন্য আছে ১০০ বৃত্তি।
লেখক কাজাখস্তানের আল ফারাবি কাজাখ ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নিয়ে স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিসে পড়াশোনা করছেন। দেশটিতে পড়াশোনার পদ্ধতি, পড়াশোনার মান, বৃত্তি, বৃত্তির আবেদনের পদ্ধতিসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি।
পড়াশোনার মান:
কাজাখস্তানের শিক্ষার মান সমৃদ্ধ। কাজাখস্তানে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কাজাখস্তানের উল্লেখযোগ্য দিক হলো তাদের শিক্ষা প্রণালি। কাজাখস্তানের সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উন্নত শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজাখস্তানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো সুযোগ দেয়। কাজাখস্তানের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আধুনিক ক্লাসরুম, স্বাস্থ্যসেবা, হোস্টেল ও আধুনিক গবেষণাগার।
কাজাখস্তানে মোট ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কাজাখস্তান সরকার এ বছর স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি পর্যায়ে মোট ৫৫০টি স্কলারশিপ দিচ্ছে। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৪৯০টি, মাস্টার্স পর্যায়ে ৫০টি ও পিএইচডি পর্যায়ে ১০টি।
পড়াশোনার মাধ্যম:
এখানে সাধারণত তিনটি ভাষায় পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে। রাশিয়ান, কাজাখ ও ইংরেজি। তবে এখানে এক বছর রাশিয়ান ভাষা প্রোগ্রাম করানো হয়ে থাকে চলাফেরা, চাকরি ও সংস্কৃতি বোঝার জন্য।
সুযোগ-সুবিধা:
১. সম্পূর্ণ টিউশন ফি ফ্রি।
২. প্রতি মাসে শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে। এটা ডিগ্রির ওপর নির্ভর করে।
৩. থাকার খরচ, ভিসা, যাতায়াত খরচ ও মেডিকেল ইনস্যুরেন্স কাভার করবে না।
৪. বাংলাদেশি ১০ টাকার বাস কার্ড দেওয়া হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১. আবেদন ফরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২. পাসপোর্ট।
৩. সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
৪. ২৫০ শব্দের একটা রচনা (যেটা লিখে দিতে হয়)।
৫. মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৬. দুটি রেকমেন্ডেশন লেটার।
৭. ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
৮. আইএলটিএসে ৫ দশমিক ৫ পেতে হবে।
৯. টোয়েফল আইবিটি: ৪৬১
১০. টোয়েফল পিবিটি: ৪৫৩
১১. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনভাইটেশন লেটার (যদি থাকে)।
** এখানে বলে রাখি অর্নাসের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতার কোনো সার্টিফিকেট লাগে না। অন্য ক্ষেত্রে লাগবে।
আবেদনের পদ্ধতি:
১. আবেদনকারীকে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে।
৩. একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি বিষয় বাছাই করতে হবে। আবেদন সফল হওয়ার পর একটা মেইল আসবে যে আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পরীক্ষার পদ্ধতি:
এখানে মূলত দুভাবে পরীক্ষা হয়ে থাকে। প্রথমটা সাইকোলজি টেস্ট, দ্বিতীয়টা অনলাইন ভাইভা।
১. সাইকোলজি টেস্ট: এখানে ৯০টা প্রশ্নের জন্য ৯০ মিনিট সময় থাকে। এ সময়ের মধ্যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে। এমসিকিউ ধরনের এ পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
২. অনলাইন ভাইভা: সাইকোলজি টেস্ট পাস করার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য মেইল পাঠাবে আপনাকে। ইন্টারভিউ ভাইভাতে পাস করতে পারলে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
সবশেষে সবার উদ্দেশে এটাই বলব, ইচ্ছা যদি এমন হয় যে আমি বাইরে পড়াশোনা করব বা করতে যাব, ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়ব, বিদেশি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করব, তাহলে জেনে–বুঝে আবেদন করুন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ধৈর্য, পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। আর কাজাখস্তান হবে আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য।
লেখক: মাহতাব আজমাইন রিফাত, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিস, আল ফারাবি কাজাখ ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়।
সূত্র: প্রথম আলো