a
ফাইল ছবি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে আরোপ করা বিধি-নিষেধ শিথিলের পর দুই বছর পর ফের পবিত্র নগরী মক্কা হাজিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। শুক্রবার সাদা পোশাক পরে, রোদ থেকে বাঁচতে হাতে ছাতা নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ কাবা প্রদক্ষিণ করেন। এর মাধ্যমে হজের প্রথম আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন তারা।
করোনার কারণে আরোপ করা বিধি-নিষেধের কারণে গত ২ বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ মানুষ হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাও শুধুমাত্র সৌদি আরবের জনগণ এ সুযোগ পেয়েছিলেন। এবার প্রায় প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিম পবিত্র হজ পালন করছেন।
২ বছর করোনার কারণে কোনো বিদেশি নাগরিককে হজ পালন করার সুযোগ পাননি। কিন্তু এবারই বিদেশিদের পবিত্র নগরী দেখার সুযোগ ও হজ করার সুযোগ দিয়েছে সৌদি সরকার।
তবে সৌদি আরব জানিয়েছে এবার শুধুমাত্র ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করতে পারবেন। সাধারণ সময়ের তুলনায় যা অর্ধেকেরও কম। সূত্র: আল আরাবিয়া
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা ইখলাস। এটি ইসলামের প্রাথমিক সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই সুরার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়া। আর এই মর্মার্থের ভিত্তিতেই সুরাটির নাম করা হয় ‘ইখলাস’।
কোরআন মাজিদের গুরুত্বপূর্ণ এই সুরা পাঠ করলে তিলাওয়াতকারীর জন্য রয়েছে বেশ কিছু পুরস্কারও। নিম্নে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
জান্নাতে বিশেষ প্রাসাদ নির্মাণঃ
মুআজ ইবনে আনাস জুহানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পড়বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। এ কথা শুনে উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক প্রাসাদের অধিকারী হয়ে যাব (অর্থাৎ অধিক হারে এই সুরা পাঠ করব। ফলে আল্লাহ আমাদের অনেক প্রাসাদ দান করবেন)।
রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ তাআলার দান আরো প্রশস্ত, আরো উৎকৃষ্ট। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৬১০)
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ সওয়াবের পুরস্কারঃ
একাধিক হাদিস শরিফে এসেছে, সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের তিন ভাগের এক ভাগের সমান মর্যাদা রাখে। যে ব্যক্তি একবার এই সুরা তিলাওয়াত করবে সে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সওয়াব লাভ করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন।
অতঃপর সকালে নবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবী (সা.) বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৩)
আল্লাহর ভালোবাসা লাভঃ
মুমিনের জীবনের সবচেয়ে বড় আরাধনা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করা। যারা সুরা ইখলাস বেশি বেশি পাঠ করবে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে। আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) কিছু সাহাবিকে যুদ্ধে পাঠালেন। তাদের একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। তিনি যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে শুধু সুরা ইখলাস দিয়ে নামাজ পড়িয়েছেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর সাহাবিরা নবী (সা.)-কে বিষয়টি জানান। তখন নবী (সা.) তাদের বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো—কেন সে এরূপ করেছে? সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলে সেনাপতি জবাব দিলেন, এ সুরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। তাই আমি এ সুরাকে ভালোবাসি। নবী (সা.) তখন সাহাবিদের বলেন, তোমরা তাকে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৩৭৫)
সুরা ইখলাস পাঠে ক্ষমার ঘোষণাঃ
আবুল হাসান মুহাজির (রহ.) বলেন, জনৈক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, তিনি নবীজির সঙ্গে এক সফরে ছিলেন। (একদিন তাঁর কাছে এমনভাবে বসা ছিলেন যে) তার হাঁটু দুটি নবীজির হাঁটুদ্বয়ের সঙ্গে লেগে ছিল। এ অবস্থায় এক লোককে শুনলেন, সুরা কাফিরুন তিলাওয়াত করছে। তা শুনে নবী (সা.) বললেন, সে শিরক থেকে পবিত্র হয়ে গেছে। আরেক লোককে শুনলেন, সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করছে। তখন তিনি বলেন, তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে। (সুনানে দারেমি, হাদিস : ৪৩৬৯)
সুরা ইখলাস পাঠে জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ
নবীজি (সা.)-এর যুগে এক সাহাবি মসজিদে কোবায় ইমামতি করার সময় প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়তেন। নবীজি তাকে ডেকে জানতে চাইলেন, প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়ার কারণ কী? সাহাবি জবাব দিলেন, আমি সুরা ইখলাসকে মহব্বত করি। তার জবাব শুনে নবী (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি তোমার এই মহব্বত তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯০১)
জান্নাত লাভের সুসংবাদঃ
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আমি নবীজির কাছে বসা ছিলাম। এক লোক এসে বলল, আমার এক ভাই এই সুরা (সুরা ইখলাস) পড়তে ভালোবাসে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমার ভাইকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ (আলকামেল, ইবনে আদি : ২/৩৯০)
জানাজায় ফেরেশতার আগমনঃ
মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া (রা.) ইন্তেকাল করলে ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ জিবরিল (আ.) নবীজির কাছে আগমন করেন। নবী (সা.) জিবরিল (আ.) ও এই সব ফেরেশতাকে নিয়ে তার জানাজায় শরিক হন। নামাজ শেষ হলে নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, হে জিবরিল! কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া মুজানি এই উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে?
জিবরিল (আ.) জবাবে বলেছেন, এই মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটে হেঁটে, সওয়ারিতে তথা সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করত। (মুজামে কাবির : ৮/১১৬)
আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি সুরা ইখলাস পাঠের তৌফিক দান করুন। আমিন
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশ পথে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে অনলাইনেও সতর্ক রয়েছেন বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের মৌচাক এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত কারো আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেই তাকে তল্লাশি করছে পুলিশ। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা প্রাইভেট কার, সিএনজি, মোটরসাইকেল, রিকশাসহ দূরপাল্লার বাসগুলোকে থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। দূর থেকে আশা যাত্রীদের করা হচ্ছে নানা প্রশ্ন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, কেউ যেন মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের এই তল্লাশি অভিযান চলছে। গাড়ি ভাঙচুর বা আগুন দেওয়ার মতো নাশকতা যেন কেউ না ঘটাতে পারে সেজন্য আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। আমাদের এ তল্লাশি চলতে থাকবে।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এবং শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় পুলিশ প্রতিটি গাড়ি ও যাত্রীদের তল্লাশি করছে। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতেও পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব যানবাহন কালিয়াকৈর হয়ে এবং ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জের যানবাহন শ্রীপুরের জৈনাবাজার দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল, পিকআপ, দূরপাল্লার বাস, ট্রাক গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করছে। যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, বস্তা, মোবাইল ফোন চেক করছে। এতে যাত্রী ও চালকরা অনেকেই অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে- ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর অঞ্চলের যাত্রীবাহী বাসগুলো থামিয়ে বাসের ভেতর ও পরিবহণ চালকদের কাগজপত্র তল্লাশি করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকামুখী পরিবহণে এসব তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। সূত্র: যুগান্তর