a
ফাইল ছবি
তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর সেখানকার কারাগার থেকে বের হয়ে গেছেন তিন বাংলাদেশি কারাবন্দী। কারাগার থেকে বের হওয়া তিনজন হলেন- খুলনার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের কাওসার সুলতানা ও ফেনীর উবাইদুল্লাহ হারুন।
কাবুলে প্রবেশের পর তালেবান যোদ্ধারা সেখানকার কারাগারের প্রধান দরজা খুলে দেয়। যার ফলে এই তিন বাংলাদেশি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশি দূতাবাস।
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে আফগানিস্তানের দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি বলেন, দেশটিতে বাংলাদেশের মিশন না থাকায় পুরো দেশের তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই। আপাতত কাবুলে থাকা বাংলাদেশিদের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশের কোনো নাগরিক দেশটির অন্য কোথাও আছেন কি না, তা জানাতে আফগানিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে কোনো বাংলাদেশি যদি থেকে থাকেন, তাদের সহায়তার জন্য দুটি হটলাইন (+৯৯৮৯৭৪৪০২২০১ ও +৯৯৮৯০৩২৭৫১৫২) খোলা হয়েছে।
দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, আফগান কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া তিন বাংলাদেশি হলেন খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের (ভাষানটেক) কাওসার সুলতানা ও ফেনীর ফুলগাজীর উবাইদুল্লাহ হারুন।
বেরিয়ে যাওয়া তিন বাংলাদেশি কারাবন্দীর অপরাধ সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। কেউ বলছেন, তারা অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আবার কেউ বলছেন, ওই তিনজনসহ মোট চার বাংলাদেশিকে তালেবানকে সহায়তার অভিযোগে কয়েক বছর আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া মঈন আল মেজবাহ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তাকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়। দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র ত্যাগ করে ঘরে ফিরে যেতে বলেছেন। যে কোনো রক্তপাতের জন্য ইউক্রেন সরকারই দায়ী থাকবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া পুতিন বলেছেন, তার বিশ্বাস আছে রুশ সেনারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা সিএনএনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
তবে পুতিন বলেছেন, “ইউক্রেন দখল করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা নিজেদেরকে কারও ওপর চাপিয়ে দিতে চাই না।”
সংগৃহীত ছবি
মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় ঢাকার চারপাশের নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জসহ সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) শুরু হয়েছে। মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জও আছে এই লকডাউনের আওতায়।
এই লকডাউন বহাল থাকবে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। এতে ঢাকা প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা দূরপাল্লার বাসও বন্ধ রয়েছে। এই জেলাগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ট্রেন চলাচল করে, সেখানে বন্ধ থাকবে।
গত সোমবার রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) জানিয়েছে যে, কঠোর লকডাউন দেয়া ৭টি জেলার মধ্যে ছাড়াও ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সোমবার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার যে সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে, তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী জেলায় রেল যোগাযোগ রয়েছে। এই তিনটি জেলায় ট্রেনে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। এসব জেলায় ট্রেন থামবে না। গাজীপুরে ক্রসিংয়ে ট্রেন থামলেও যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। বাকি চারটি জেলা-মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জে ট্রেন যোগাযোগ নেই।
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করা হয়েছে।
লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় শুধু আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।