a
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপটি মরক্কোর জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। ফিফা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করে দেয় আশরাফ হাকিমিরা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকা খচিত পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় করে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে মরক্কো। তাদের সেই ধারাবাহিকতা স্বপ্নের যাত্রা থামিয়ে দেয় ফরাসিরা।
বুধবার সেমিফাইনালে বিশ্বকাপের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হয় মরক্কোকে।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ভক্ত-সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন আশরাফ হাকিমিরা। সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হলেও বিশ্ব নেতাদের প্রশংসায় ভাসছে মরক্কো দল।
দল হেরে গেলেও মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে জাতীয় দল। মরক্কোর এমন অর্জনে এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, তোমাদের ধন্যবাদ সিংহ।
মরক্কো টিমের প্রশংসা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও। বিশ্বকাপে এমন ইতিহাস সৃষ্টি করায় মরক্কো টিমের প্রশংসা করে ম্যাক্রোঁ বলেন, আমাদের মরক্কোর বন্ধুদের এমন সুন্দর যাত্রার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা ফুটবল ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও নজর কেড়েছে মরক্কো টিম। জো বাইডেন বলেন, এই দলটি কতটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তা দেখতে অসাধারণ ছিল।
বুধবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স-মরক্কো। খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাঁ পায়ের দারুণ শটে ম্যাচের ৫ মিনিটে দলকে (১-০) এগিয়ে নেন হার্নান্দেজ। তার গোলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করল মরক্কো।
গোল খেয়ে পিছিয়ে পরলেও দারুণ খেলে যায় মরক্কো। ১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইর থেকে উনাহির দূরপাল্লার শট বা পাশে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস।
১৮ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। বৌফালের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেলেও বা পায়ের দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়েচ৷।
৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাকে মরক্কোর রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেয় এমবাপ্পে। তার গতির কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডার।
কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণভাবে একা বল পেয়ে গোলবারের বাইরে শট নেন জিরুড।
৪১ নিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের ওভার হেড কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়, ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল পরিশোধে আরো আক্রমণাত্মক খেলা খেলে মরক্কো। ৫৫ মিনিটে ফ্রান্সের রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেন মরক্কোর ফুটবলাররা। বৌফাল, এল নাসিরের দুই প্রচেষ্টা রুখে দেন ভারান ও থিও হার্নান্দেজ।
খেলার ৮০ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাক থেকে এমবাপ্পের একক নৈপুণ্যে ডিবক্সের ভেতর শট নিলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল যায় কোলো মুয়ানির কাছে। এমন সুযোগ আর তিনি মিস করেননি৷ বদলি হিসেবে নামার ২ মিনিটের ভেতরেই গোলটি করেন তিনি।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। ৯২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর উনাহির শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।
শেষ দিকে আরো কয়েকবার ফ্রান্স আক্রমণভাগে বল নিয়ে ঢুকলেও ফিনিশিংটাই করতে পারেনি। ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল আফ্রিকান প্রতিনিধি মরক্কোকে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইংলিশ লিগের আট ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ফিফা)।
চলতি আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে যাননি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা মূল দলের ৯ ফুটবলার। কেননা ক্লাবের হয়ে ফের খেলতে হলে আগে ১০ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেই ৯ ফুটবলারের আটজনকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।
ফলে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ৫ দিন ক্লাবগুলোর হয়ে মাঠে নামতে পারবেন না। আগামী ১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর কোনো ম্যাচ খেলতে পারবেন না তারা।
নিষিদ্ধ হওয়া আট খেলোয়াড় হলেন- রবার্তো ফিরমিনো, ফ্যাবিনিও, আলিসন বেকার, এডেরসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফ্রেড, থিয়াগো সিলভা, রাফিনিয়া। নিষেধাজ্ঞা না পাওয়া একমাত্র ফুটবলার হলেন এভারটনের রিচার্লিসন। টোকিও অলিম্পিক ফুটবলে খেলায় তার প্রতি নমনীয়তা দেখিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)।
লাল তালিকার অন্তর্ভুক্ত দেশের খেলোয়াড়দের শর্ত জুড়ে দিয়েছিল ক্লাবগুলো। তা উপেক্ষা করেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন চার আর্জেন্টাইন ফুটবলার। তবে নিজেদের ফুটবলাররা না আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছে সিবিএফ। তাই ফিফার কাছে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তারা আপিল করেছে।
ফিফা ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে।
৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। তাকে মারধর করা হচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ করে ফোন করেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান জাহানারা এহসান।
বৃহস্পতিবার ৯৯৯ থেকে বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম ডা. মুরাদের বাসায় যায়।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মুরাদ হাসানের স্ত্রী ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই সময় ডা. মুরাদ বাসায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকেই অভিযোগটি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন