a
ফাইল ছবি
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুটি জায়গা থেকে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর একটি বাজার এবং অন্যটি গণপরিবহন। সংস্থাটির ভাষ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।
৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের ৬১ শতাংশের বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হওয়া ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ জনসমাগমস্থল (সভা–সেমিনার) এবং উপাসনালয়ে গিয়েছিলেন।
ওই সাড়ে আট হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন ২৬ শতাংশ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ শতাংশ। এ ছাড়া আন্ত:বিভাগ ভ্রমণ করেছিলেন ১৩ শতাংশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ শতাংশ।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সাথে নিতে হবে টিকা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসার নির্দেশনা আছে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও বদ্ধ জায়গায় বাজার হলে সেখানে যাতে জনসমাগম বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র:ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধ করতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে লকডাউন দিয়েছে সরকার। তবে আগামী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর করবে সরকার। আর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন থাকবে দেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে, ২৪ জুন কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’- এর সুপারিশ করা হয়।
ফাইল ছবি
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে খুতবা পাঠ পৌঁছে দিতে সৌদি আরব সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এবার আরাফার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে হাজিদের উদ্দেশ্যে হজের যে খুতবা পাঠ করা হবে সেখানে বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
সেখানে দু’টি প্লাটফর্মে সেটি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদির পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।
যে সকল ভাষায় সম্প্রচারিত হবে সেগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা। শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস, ইসলামের সুমহান বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম কর্তৃক গৃহীত হারামাইন শরীফাইন ও আরাফা'র খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ প্রকল্পের অংশ হিসেবে, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী পরিচালনা পরিষদ (আর রিয়াসা আল আম্মা) জানিয়েছে, উক্ত খুতবা বিশ্বের এই দশটি ভাষায় সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার করা হবে।
চলতি বছরে আরাফার দিনের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শেখ ড. বন্দর বিন আবদুল আজিজ বালিলা। রাজকীয় এক ডিক্রির মাধ্যমে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান এই নির্দেশ জারি করেন।
গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামের দায়িত্ব ছাড়াও শেখ বন্দর কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সেরও সদস্য। আরাফার দিনে খুতবার দায়িত্ব দেয়ার পর সৌদি বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ বন্দর বালিলা।
করোনাকালে দ্বিতীয় বারের মতো সীমিত সংখ্যক হাজিদের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে তাওয়াফ শুরু করেছেন। এবারের জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। সূত্র: দ্যানিউজগ্লোরি।