a
ফাইল ছবি
কঠোর লকডাউনের ৭ম দিনে সরকারি নির্দেশনা ও বিধি-নিষেধ অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওযার কারণে রাজধানীতে ১১০২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এছাড়াও ২৪৫ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করেছে। অন্যদিকে ৮০৪টি গাড়িকে জরিমানা করা হয় ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।
বুধবার কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনে রাজধানীতে ডিএমপির ৮টি বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযানের মাধ্যমে এই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বুধবার বিকালে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, লকডাউনের সপ্তম দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপির ৮টি বিভাগের রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে বাইরে বের হওয়ার কারণে ১ হাজার ১শ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৪৫ জনকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করেছে।
এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৮০৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ টাকা।
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যকে ‘ঘৃণ্য মন্তব্য’ দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে যাওয়া এই স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক)।
শনিবার রাত ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, 'আমার কথা আমাকে বিএনপি কেন দাঁড়িয়ে দিবে? তাহলে তো আমি বিএনপির সাইনবোর্ড নিয়ে ভোট করতাম। ভোটকেন্দ্রে দেখছেন বিএনপির কোন নেতা আমাকে সাহায্য করেছে। তারা কি মাঠে আমার পাশে ছিল? ছিলনা। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছি। আমাকে কিন্তু বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দেয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'ওবায়দুল কাদের বলেছেন হিরো আলম জিরো হয়েছেন। এটা তিনি ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কোনদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। কারণ আমাকে জিরো কেউ বানাতে পারেনি, পারবেও না। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে তারাই জিরো হয়েছে।'
বিএনপির কাঁধে ভর করে হিরো আলম এসেছেনে এ কথাও ওবায়দুল কাদেরের ভুল বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, হিরো আলম কারো কাঁধে ভর করে চলে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, 'এই সরকার অসহায় হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। কিন্তু হিরো আলম অসহায় হয়েছে।'
হিরো আলম বলেন, 'আমার যে ভোট, ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেওয়া হল সেই বিচার আমি কার কাছে দিবো? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার দিলাম, আমার ভোট সুষ্ঠুভাবে হলো কিন্তু আমার ভোটের ফলাফল সুষ্ঠুমতো দেওয়া হলো না কেন।'
তিনি বলেন,'অনেকে বলছেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে, হিরো আলম নির্বাচন করলে...। তাহলে পার্লামেন্টে যেতে হলে কিছু আইন করতে হবে। যার যোগ্যতা নেই সে যেতে পারবে না। যার লেখাপড়া নেই সে সংসদে যেতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'আর একটা বিষয়ে আইন করছেন। যারা ভোট করবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকা লাগবে। যদি তাই হয়, তাহলে দলীয়ভাবে যারা করবে তাদের ১ শতাংশ লাগে না কেন? আইন সবার জন্য সমান। তাহলে আইন চেঞ্জ করতে হবে। যারা দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের সবার ১ শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে হবে। না হলে ১ শতাংশ তুলে দিতে হবে।'
লাইভে হিরো আলম সবার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্রামেরা দেন। ইভিএম দিবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমের টিপি মারলে একটায় যায় আরেকটায়।’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সাথে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দিবেন না আমাকে নিয়ে।’ সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
‘কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা’র খবরকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলরা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাই ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জরুরি ঘোষণায় তিনি এই আহ্বান জানান।
জরুরি ঘোষণায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত একটি খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশে কেউ যদি এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না।
প্রসঙ্গত, এর আগে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে রাস্তার পাশে নির্মিত একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের উপরে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে প্রাতঃভ্রমণকারী লোকজন বিষয়টি দেখে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে হনুমানের পায়ের উপর থেকে একখানা পবিত্র কোরআন শরীফ উদ্ধার করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, ‘আমরা পবিত্র কোরানের মর্যাদা বুঝি। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা আমাদের বলেছেন, পূজা বন্ধ রাখতে। আমরা তাদের পূজা চালিয়ে যেতে বলেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলামেও কারও ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার বিধান নেই।’
এ বিষয়ে কুমিল্লাহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। সূত্র: ইত্তেফাক