a
ছবি: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৪০১ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৪৪১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯০ হাজার ৫২১ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৩৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৩১ জন।
ফাইল ছবি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি সেসব জায়গায় আংশিক লকডাউনের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
আজ সোমবার রাজধানীতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে জুমে কানেক্ট হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ রোধে সরকারকে আমরা পরামর্শের একটি বড় লিস্ট দিয়েছি। আমরা আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে দুই একদিনের মধ্যে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ আরও বাড়লে মৃত্যু বাড়বে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাসপাতালের যত বেড আছে, দেওয়া হয়েছে। আমরা চাইলেই রাতারাতি আইসিইউয়ের ম্যানপাওয়ার বাড়াতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি কক্সবাজার, বান্দরবানের মতো বিনোদনমূলক জায়গাগুলো বন্ধ করা বা লোক সমাগম সীমিত করার। পিকনিক, বিয়ে, ওয়াজ বন্ধ বা সীমিত করা, রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া সীমিত করা ও যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক নামিয়ে আনা বা সীমিত করা, অফিসে জনবল সীমিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসের টিকা আমরা পাইনি। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কেনা টিকার বিষয়ে বলেছেন। কোভ্যাক্সের টিকা পেতে মে, জুন মাস সময় লাগবে। টিকা পেতে দেরি হলে, আমাদের অন্য প্ল্যান করতে হবে।’
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
অতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দিয়ে দ্রুততম সময়ে ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ ২৯ মে (শনিবার) দুপুর সোয়া এগারোটা নাগাদ এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা সকল শিক্ষার্থীদের জোর দাবি ছিলো সরকারি নীতিনির্ধারণী এবং শিক্ষামন্ত্রীর নিকট অবিলম্বে ক্যাম্পাস খোলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের বাতি আবার ফিরিয়ে দিতে। দীর্ঘসময় ধরে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সকল শিক্ষার্থীরা আজ হতাশায় নিমজ্জিত এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ পড়াশোনা থেকে বাহিরের জগতে চলে গেছে। মানসিক শক্তি হারিয়ে অনেকে পরিবারের মাঝে থেকেই আজ নানা সমস্যার মধ্যে জর্জরিত। তাই সকল শিক্ষার্থীদের একটা দাবি ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া।
এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মানববন্ধনে। এক এক করে কয়েকজনের বক্তব্য ফুটে উঠে জ্বালাময়ী ক্ষোভ। বক্তব্যের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের আরিফ আহমেদ বলেন, আমাদের একটা দাবি অবিলম্বে আপনারা ক্যাম্পাস খুলে দেন। ক্যাম্পাসে যারা আছে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা শুধু ভ্যাকসিন পাবে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা পাবে না বিষয়টা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিন্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই।
১৪তম ব্যাচের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান রাসেল বলেন, দেশে সবকিছু চলে শুধু আমাদের ক্লাস চলতে পারে না। খেলা চলতে পারে স্টেডিয়ামে, বাস চলতে পারে রাস্তায়, সবকিছু খোলা রয়েছে, শুধুমাত্র আমরা ঘরে বসে লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি আপনাদের মতো কিছু অযোগ্য লোকের জন্য।
১৩ তম ব্যাচের বোটানি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ বিভিন্ন গেম, টিকটিক, পাবজিসহ অপ্রয়োজনীয় কাজে আজ লিপ্ত। একের পর এক লকডাউনে শিক্ষার্থীরা আজ মানসিক ভাবে বির্পযয়। আমাদের সরকারি কর্মকর্তার সন্তানেরা তো আর আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো পড়াশোনা করে না, করলে আপনাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু চিন্তা করতেন।
আজ যারা গ্রামে বসে এই সমস্ত বাজে অভ্যাসে আসক্ত হয়েছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কোন টিকা দিবেন, কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবেন, কোন মেডিসিনে মুক্ত করবেন তাঁদের সমস্যা।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোলার তারিখ শুনতে শুনতে আজ বিরক্ত। আমরা আর এই সমস্ত তারিখ শোনাতে চাই না। আড়ংয়ের সামনে লাইন দিয়ে মানুষ ঈদের কেনাকাটা করলে সেখানে করোনা নাই। মাছের বাজারে ভিড় করে মাছ কিনলে করোনা নেই। শুধু আমাদের বেলায় করোনা। শিক্ষামন্ত্রী নিজে আজ জানে না অনলাইনে কবে যে ক্লাস বন্ধ হয়েছে আদৌ চলে কিনা। যত দ্রুত আমাদের দাবি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দিতে হবে।
গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, আমাদের রাস্তাঘাট, বাজারে, দোকানে নিয়ে ক্লাস নেওয়া হোক। হাটে - বাজারে করোনা নেই, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা। আমাদের প্রয়োজনে গার্মেন্টেসে নিয়ে পরীক্ষা নেন, কারণ সেখানে করোনা নেই। অনলাইনে যে পরীক্ষা নিবেন গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের কি হবে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে এসমস্ত বিষয়ে ক্লাস বা পরীক্ষা দিতে অনাগ্রাহী।
এই সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা সকলের দাবি বিশ্বিবদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম খুলে আমাদের বাঁচান। আমাদের আজ করেনার ভ্যাকসিন থেকে বেশি প্রয়োজন পরীক্ষায় দেওয়া। মানববন্ধনের শেষে বক্তরা বলেন, আমাদের দাবি না মানা হলে কোনো ছাত্র আর ঘরে বসে থাকবেনা। কঠোর আন্দোলন ডাক দেওয়া হবে। তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এসময় আলটিমেটাম দিয়ে বলেন" স্বল্প সময়ে ক্যাম্পাস না খোললে যথাযথ জবাব দিবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।