a
ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য ৪ নির্বাচন কমিশনার হলেন বেগম রাশিদা সুলতানা-জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত), আহসান হাবীব খান-বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাে. আলমগীর- সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ও আনিছুর রহমান-সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)।
ইতিপূর্বে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেয় সার্চ কমিটির সদস্যরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘ দিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তারা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। করোনার পরিস্থিতি অনূকূলে এলে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সচিব সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় উপস্থিত এক সচিব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় দ্রুত সময়ে স্কুলগুলোও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
সভায় সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে, গাড়ি দেওয়া হয়েছে। আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। এখন দেশের জন্য আপনাদের দেওয়ার পালা। দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স আনতে হবে। কোনোভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
সচিব সভায় স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) চ্যালেঞ্জ, ডেল্টা প্ল্যান, সবার জন্য টিকা নিশ্চিতকরণ, খাদ্য নিশ্চিতে গবেষণা, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নিয়েও সভায় আলোচনা হয়।
সভায় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়নে সচিবদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড-১৯ ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও সচিব সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা আবারও আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভা শেষে এ ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুইটি আদালত ছাড়া বাকি আদালতে যাওয়া শুরু করেছিলাম। আমরা বিশ্বাস করি না তিনি মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ধরে নিয়েছি তিনি অপারগ। তাই তিনি বলতে পারছেন না। কিন্তু আইনজীবীরা তা মানতে পারছেন না। এ কারণে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, পুরাতন কাচারি এলাকায় সম্পদ সংরক্ষণ, দুই বিচারকের অপসারণ ও নাজির মোমিনের শাস্তির দাবি মানা না হলে আইনজীবীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
সর্বশেষ কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভা করে আইনজীবীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরণ না হলে ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে সব আদালত বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছিলো। সাধারণ সভায় উপস্থিত আইজীবীদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছেন উচ্চ আদালত। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বৈঠকের পর দুটি আদালত বাদে বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সূত্র: ইত্তেফাক