a
ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য ৪ নির্বাচন কমিশনার হলেন বেগম রাশিদা সুলতানা-জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত), আহসান হাবীব খান-বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাে. আলমগীর- সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ও আনিছুর রহমান-সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)।
ইতিপূর্বে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেয় সার্চ কমিটির সদস্যরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বর্তমান সংকটে সরকারের উদ্যোগগুলো সঠিক, কিন্তু পর্যাপ্ত নয় বলে উল্লেখ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সমস্যা মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি হলেও সংকট সমাধানে সরকার স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ নিচ্ছে। বর্তমানে জ্বালানি সংকট, বিদ্যুত্ সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট পরবর্তীকালে আরো অন্যান্য খাতেও দেখা দিতে পারে। এর প্রভাবে দেশে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক সংকটে রূপ নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস এবং বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলা হয়। ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, সেটি যৌক্তিক কথা। কারণ বিশ্ববাজারে খাদ্য একটি রাজনৈতিক পণ্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যপণ্য কেনায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, নিজের মজুত নিশ্চিত না করে কোনো দেশ পণ্য রপ্তানি করতে চাইবে না। তাই ভবিষ্যতে ডলার থাকলেও বিশ্ববাজারে পর্যাপ্ত খাদ্যপণ্য না-ও থাকতে পারে।
বাংলাদেশের মতো যারা খাদ্য আমদানি নির্ভর দেশ, মূলত তারাই খাদ্যের ঝুঁকিতে রয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে—সরকারের এই মোহ ভঙ্গ হওয়া প্রয়োজন।
খাদ্যসংকট, জ্বালানিসংকট, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আগামী দিনে প্রলম্বিত হবে কর্মসংস্থানে। এর ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে, বেকারত্বের আশঙ্কাও রয়েছে। যদি সেটি হয়. তাহলে রাজনৈতিক সংকটে পরিণত হবে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সরকারের উদ্যোগগুলো ঢেলে সাজাতে হবে।
মূল উপস্থাপনায় ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের অত্যাবশ্যকীয় সব খাদ্যপণ্যসহ সার্বিক খরচ ছিল ১৭ হাজার ৫৩০ টাকা। জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসরত চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসে খাদ্য খাতে ব্যয় করতে হচ্ছে গড়ে ২২ হাজার ৪২১ টাকা। মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্য তালিকা। মূল্যস্ফীতির লাগামহীন অবস্থা। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্য নয়, দেশে উত্পাদিত পণ্যের মূল্যও বেশি। এটা কমার কোনো লক্ষণ নেই। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কাছাকাছি অবস্থান করছে। তবে বাজারের চিত্রে দেখা যায় পণ্যমূল্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। এজন্য প্রকৃত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা উচিত।
তিনি বলেন, ২৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে কর হার অনেক বেশি। এজন্য এটার প্রভাব পড়ছে মূল্যস্ফীতির ওপর। এটা কমানো গেলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমত। মূল্যস্ফীতির সমাধানে সব শিল্পে ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। এছাড়া ব্যক্তি খাতেও যারা কাজ করছেন, তাদের জীবনমানে এত ধস নেমেছে যে, এ আয় দিয়ে তারা চলতে পারছেন না। তাদের বেতনও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সরকার ওএমএসসহ যেসব পণ্য দিয়েছে, তা সারা দেশে সহজলভ্য করতে হবে। এখানে দুর্নীতি যেন না হয়, সেটাও দেখতে হবে। তিনি আরো বলেন, একেবারেই দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ কমপক্ষে ১ হাজার টাকা করতে হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
জ্বালানি সংকট সমাধানে সিপিডি বিভিন্ন কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনে মনোযোগী হওয়া, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সুপারিশ করেছে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, সাধারণত ৬০ দিনের জ্বালানি মজুতকে আদর্শ ধরা হয়। কিন্তু আমাদের ডিজেল ৬১ দিন, অকটেন ১৯ দশমিক ৬ দিন, পেট্রোল ৩৮ দশমিক ৪ দিন, ফার্নেস ওয়েল ২৭ দশমিক ৯ দিনের মজুত আছে। বিপিসির হাতে ২৩ হাজার কোটি টাকা আছে। টাকা একদম নেই বিষয়টা তেমন নয়। এ জন্য জ্বালানি তেলের দর পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তারা। জ্বালানি তেলের ঘাটতি মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খাদ্যসংকটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের ৪২টি দেশে খাদ্যসংকট হতে পারে। এই তালিকায় বাংলাদেশও আছে। এই আশঙ্কা শুধু আমাদের নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থারও। এজন্য মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক বছরের মধ্যে পরিত্রাণ পাব এটা আশা করা যায় না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি বেশি। এর বড় কারণ হলো বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জ। সরকারকে এই ক্যাপাসিটি চার্জভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র থেকে সরে আসতে হবে। আইএমএফের যে শর্ত, তাতে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর কথা বলা হয়েছে। ক্যাপাসিটি চার্জভিত্তিক বিদ্যুত্ থেকে নো ইলেক্ট্রিসিটি নো চার্জ—এই ব্যবস্থায় আসতে হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
দ্বিতীয় বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। গত ২৭ মে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে সে খবর জানানো হলো প্রায় ২ মাস পর।
পূর্ণিমার স্বামীর নাম আশফাকুর রহমান রবিন। এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামীর নাম আহমেদ ফাহাদ জামাল। সে সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামে পূর্ণিমার একটি মেয়ে সন্তান আছে।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে পূর্ণিমার যে বিচ্ছেদ হয়েছে তার খবর গণমাধ্যমে আসেনি। তার আগেই দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ পেল গণমাধ্যমে। এদিকে দাবি করা হয় পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতেন না তার সাবেক স্বামীও।
গণমাধ্যমকে প্রাক্তন স্বামী বলেন, পূর্ণিমার বিয়ের খবর আমিও জানতাম না। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এখন জানতে পেরেছি। আমার পক্ষে তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। আর আমার সন্তানের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সাবেক স্বামীকে নতুন বিয়ের খবর না জানানের কারণ জানাতে পূর্ণিমা বলেন, যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়েটা স্কুলে পড়ে। সব বিবেচনা করে আমরা বিষয়টি জানাতে চাইনি।
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ ফাহাদ জামালকে ভালোবেসে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি।
তিন বছর আগে প্রথম স্বামী ফাহাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় পূর্ণিমার। বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের একমাত্র সন্তান আরশিয়া উমাইজা উভয়ের কাছেই থাকেন।
এদিকে দুই মাস পর বিয়ের খবর প্রকাশের কারণ জানালেন পূর্ণিমা নিজেই। বলেন, ‘বিয়ের পরেই তিনিসহ পরিবারের অন্যরা অসুস্থ ছিলেন। কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এ জন্য বিয়ের খবর জানাতে দেরি হয়েছে।’
পূর্ণিমার দ্বিতীয় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন একটি বহুজাতিক কোম্পানির বিপণন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লেখাপড়া করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্র: যুগান্তর