a বঙ্গের বন্ধু, আমাদের বঙ্গবন্ধু
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বঙ্গের বন্ধু, আমাদের বঙ্গবন্ধু


আবু হানিফ, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১১ আগষ্ট, ২০২২, ০৪:১৪
বঙ্গের বন্ধু, আমাদের বঙ্গবন্ধু

ফাইল ছবি

১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার পর প্রায় দীর্ঘ ১৯০ বছরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও পূর্ব বাংলার বাঙালির উপর নেমে আসে কঠিন অন্ধকার । ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত জিন্নাহর ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান নামের একটি অসম রাষ্ট্রর জন্ম হয়! এর মধ্য দিয়ে শুরু থেকে বাঙালির জীবনে আবারও নেমে আসে শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন। ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীন হলেও এই ভূখণ্ডের বাঙালি আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে থেমে থাকেনি বাঙালি জাতি। ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালি জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নামে। পাকিস্তানের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসতে ধাপে ধাপে আন্দোলন গড়ে ওঠে।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০- এর নির্বাচনসহ দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি ৭১ সালে এসে উপনীত হয়। অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হয়। আর বাঙালির এ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

পাকিস্তানের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের এক পর্যায়ে এ স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। ধারাবাহিক আন্দোলনকে স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর করে নিয়েগিয়ে, শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি ভূষিত হন বঙ্গবন্ধু উপাধিতে।

"বঙ্গবন্ধু" শব্দের অর্থ, বাংলার বন্ধু। বাংলাদশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে থেকেই, বাংলা তথা বাঙালীর অধিকার রক্ষায় নিজের জীবন কে সমপর্ণ করেছিলেন "শেখ মুজিবর রহমান"। তাঁর এই আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ ১৯৬৯ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, লক্ষ জনতার সমাবেশে এই মহান নেতাকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলা তথা বাঙালীকে যিনি আজীবন নিজের হৃদয়ে আগলে রেখেছিলেন, সেই মহান ব্যক্তিত্ব বাস্তবিকভাবেই ছিলেন বাংলার এবং বাঙালীর বন্ধু।"বঙ্গবন্ধু" উপাধি প্রদানের মাধ্যমে যথার্থ ভাবেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে এবং সার্থক করে তোলা হয়েছে "বঙ্গবন্ধু" শব্দটিকে আক্ষরিক অর্থেই।

শ্রদ্ধেয় শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি তথা ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। "পূর্বপাকিস্তান" কে "বাংলাদেশ" নামে স্বাধীন দেশে রূপান্তরিত করার সংগ্রামে, তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলাদেশে, "জাতির পিতা" সম্মানেও ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে।

সোহেল তানভীর, শিক্ষার্থী, রসায়ন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ঈদ সামগ্রী নিয়ে ৬০ অস্বচ্ছল পরিবারের পাশে বন্ধন যুব কল্যাণ ফাউন্ডেশন


হানিফ,মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১, ১২:৫১
 ঈদ সামগ্রী নিয়ে ৬০ অস্বচ্ছল পরিবারের পাশে বন্ধন যুব কল্যাণ ফাউন্ডেশন

ছবি: এম.এস প্রতিদিন

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানাধীন আরশীনগর ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে গতকাল বুধবার ১২মে (২৯ রমজান) ৬০টি অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে  ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন বন্ধন যুবকল্যাণ সংগঠন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।   

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ রাসেল গাজী, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান উকিল, উপদেষ্টা সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া বাচ্চু, যুগ্ন- সাধারণত সম্পাদক,  কিরন উকিল, দপ্তর সম্পাদক, আবু সুফিয়ান বালা, প্রচার সম্পাদক,  মোঃ মামুন ফকির, সহ- ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক,  মিলন উকিল, সজিব বেপারিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদারের সুযোগ্য সন্তান জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার চৌকস কর্মকর্তা মোঃ ফয়সাল আহমেদ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোহাম্মদ রাসেল গাজি,কিরন উকিল, সায়মন হাসান, মামুন ফকির সহ সবার সহযোগিতায় বন্ধন যুব কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের একটি মানবিক সেবামূলক সংগঠন গড়ে তোলা হয়। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত থেকে সমাজের কল্যাণমূলক কাজে নিরলসভাবে আত্ননিয়োগ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবারের ঈদে ৬০টি অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদের খাদ্য সামগ্রী হিসেবে (সেমাই  চিনি, গুঁড়া দুধ, মসলা) প্রদান করা হয়।

বন্ধন যুব কল্যান ফাউন্ডেশন সামাজিক ও মানবিক কাজে ভিন্নমাত্রা যোগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। সংগঠনটি উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে সকলের সাহায্য, সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

আমি কাদম্বরী ========


ফেসবুক ডেস্ক:
বুধবার, ০৫ মে, ২০২১, ০৫:০১
আমি কাদম্বরী

শীলা ঘটক । ফাইল ছবি


ঠাকুরবাড়ির বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলীর তিন নম্বর মেয়ে__
রবির আদরের নতুন বৌঠান।
রবি ডাকতোও খুব মিষ্টি করে, নতুন-বৌ-ঠান ___
কথায় বলে জন্মদিনে বিয়ে দিতে নেই___
নয় বছরে জ্যোতির সঙ্গে বিয়ে হলো ঐ তারিখেই___
বিধাতা হয়তো এটাই চেয়েছিলেন!
আমি কাদম্বরী_____
কোন ছেলেপুলে হলো না____
‘বাঁজা’ বলে ঠাকুরবাড়ির মানুষের দুচোখের বিষ,
সারাক্ষণ আমায় নিয়ে চলত ফিসফাস।
আমার বাবাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো গাজীপুরের জামিদারি দেখতে।
বেয়াইমশাই মেয়ের বাড়িতে থাকবে!
সেটা আবার হয় নাকি!
নয় বছর থেকে একেবারে একা!
আমি কাদম্বরী____
ঊর্মিলা আমার ননদ স্বর্ণকুমারীর মেয়ে
দু বছর বয়স ওর
আমার বড় আদরের
ওকে খাওয়ানো, স্নান করানো, ঘুম পাড়ানো __
সব করতুম আমি।
বাড়ির পেছনের ঘোরানো লোহার সিঁড়ি দিয়ে
পড়ে গেল একদিন___
বাঁচলো না___চলে গেল চিরতরে।
আমার ভালোবাসার প্রান পাখীটি চলে গেল___
আমি একেবারে একা......
জ্যোতির উপযুক্ত বউ হতে পারিনি আমি!
বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলীর তিন নম্বর মেয়ে আমি।
শ্বশুরমশায়ের ইচ্ছেতে বিয়েটা হয়েছিল,
মেজজা-ভাসুর কারোর ভালো লাগেনি আমায়......
গায়ের রঙ কালো ......
জ্যোতির মতো রাজপুত্তুরের এই বৌ!
ঠাকুরবাড়ির দমবন্ধ ঘরে____
খোলা জানালা দিয়ে দক্ষিণা বাতাসের মতো___
রবি আসতো আমার ঘরে।
আমার রবি।
যাকে আমি খুব ভালোবাসতুম খু-ব।
রবি আমার চেয়ে দুবছরের ছোটো।
রবির এই আসা-যাওয়া নিয়েও অ-নে-ক খোঁটা!
আমি কাদম্বরী ____
কবিতা লিখতুম, একা থাকতে থাকতে
লিখে ফেলেছিলুম অনেকগুলো কবিতা।
রবি তা নিয়ে হাসিঠাট্টা করতও খুব।
দুজনে মিলে ঘরের সামনে গড়েছিলুম নন্দনকানন।
রবির বিয়ে হয়ে গেল___
আবার আমি একা।
অবসাদে ভ’রে থাকতো মন___
বেশ কদিন হলো রবি আর আসে না।
নতুন বৌ এসেছে যে, তার ঘরে......
আমাকে সময় দেবার সময় কই তার!
আমি কাদম্বরী___
একদিন জ্যোতিকে বললুম, আজকের রাত টা আমার কাছে থাকো না......
জ্যোতি চলে গেল_____
শুনলে না আমার কথা।
বেঁচে থাকার ইচ্ছে গুলো এক এক করে শেষ হয়ে গেল
এই বিশাল বাড়িতে আমি একেবারে একা।
মা কে মনে পড়ে না____
মা থাকলে হয়তো জন্মের তারিখে বিয়ে দিত না আমায়......
আমি তো সত্যিই সুখী হলুম না,
চারদিকটা অন্ধকার---ঘন অন্ধকার___
চোখের জল আর কবিতা লেখা____
একদিন জ্যোতির পকেট থেকে পেলুম একটা চিঠি____
প্রেমের চিঠি, ভালোবাসার চিঠি, সোহাগের চিঠি...
গোপন কিছু কথার চিঠি________ এক নটীর চিঠি!
জ্যোতির জীবনে আমি একেবারেই শূন্য____
বুঝলুম সেইদিন___ খুব বেশী করে ......
বেঁচে থাকার শেষ ইচ্ছেটুকুও রইল না আর ___
বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলীর তিন নম্বর মেয়ে
আমি কাদম্বরী।

------শীলা ঘটক, এফবি/দেশ পত্রিকা, কোচবিহার

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অন্যান্য

সর্বোচ্চ পঠিত - অন্যান্য

অন্যান্য এর সব খবর