a
সংগৃহীত ছবি
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বেশ কয়েকটি বজ্রপাতের ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে, এবছর বজ্রপাতে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এদিকে ৬ জুন রবিবার একদিনে সারাদেশে বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বজ্রপাতে মৃত্যু বা হতাহতের ঘটনা এড়াতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ বিষয়ে বলেন, "বজ্রপাত একটি আকস্মিক ঘটনা, যা প্রতিরোধ করা বর্তমানে অত্যন্ত কঠিন। যদি (বজ্রপাত) হয়ে যায় তাহলে অনেকের মৃত্যু হতে পারে।"
তিনি আরো বলেন, খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ হলে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এই সময়ে চলাফেরা বেশ কিছু সতর্ক অবলম্বন করলে এই ভয়ানক বিপদ থেকে নিজেকে সুরক্ষা সম্ভব হবে তিনি মনে করেন।
এই সময়গুলোতে মৃত্যু ও আক্রান্ত এড়াতে তিনি কিছু সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনাগুলো হলঃ
১। বজ্রঝড় সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাবেন, এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে অনেকটা সুরক্ষা দেবে।
২। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে যদি থাকেন তাহলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।
৩। বজ্রপাতের আশংকা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া ঠিক না।
৪। বজ্রপাতের সময় যে কোন ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে এবং ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।
৫। খালি জায়গায় উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ারের কাছে থাকা যাবে না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক ।
৬। বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়াই উচিৎ হবে। সমুদ্রে বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
৭। যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ রাখা যাবে না।
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব ও সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে গতকাল থেকে ঢাকায় অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত আজও অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক তথ্যে জানান, গতকালের মতো আজও বৃষ্টি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হবে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আকাশে মেঘ জমা থাকবে। তবে, সন্ধ্যার পর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে অফিসগামী মানুষের চরম ভোগান্তি বেড়েছে। এছাড়াও দুর্ভোগের শিকার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। রাস্তায় মানুষ ও গণপরিবহনে উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়নি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি । ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা আশা করছি সময় মতো হবে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে আমরা তারিখ ঠিক করছি। মধ্য নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের শেষের দিকে এইচএসসি পরীক্ষা হবে।
শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিউশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'করোনা সংক্রমণ নিয়ে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরী হয়নি, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে; সংক্রমণের ঘটনাগুলোতে স্কুলের সবার পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি মনিটরিং করছে।'
করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও এসময় জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম শুরু নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।