a
সংগৃহীত ছবি
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ভারতে আঘাত হানার দুই দিনের মাথায় আরেকটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। যার প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়াসহ টানা বর্ষণ চলছে।
লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয় এবং এটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটি ৫.২ মাত্রার হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির তেমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে ৬ বা তার অধিক কম্পন হলে খুদ ঢাকা শহরেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতো বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
ভূতাত্ত্বিকদের মতে, রাজধানী ঢাকা শহর মাঝারি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিল্ডিং কোড না মানা এর অন্যতম বড় কারণ। ইতিপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আকতার ও অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমানসহ অনেকের মতে, ভূমিকম্পের উৎসগতভাবে ঢাকা 'মধ্য' ঝুঁকিতে রয়েছে। আর ঝুঁকিটা বাড়ার অন্যতম কারন অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে। এই ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির অন্যতম কারন সেদেশগুলোতেও যথাযথ বিল্ডিং কোড না মানার কারণে। আর এবিষয়গুলো সামনে এসেছিল বড় আকারের দুর্ঘটনা ঘটার পর। আর আমাদের দেশে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড না মানার ব্যাপকতর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি সংস্থাকে ম্যানেজ করে বেশিরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলো গড়ে উঠেছে।
আবার সেসব সংস্থার লোকজন পরিবর্তন হলে তাদের স্থলে আসীন ব্যক্তিদেরও সেসব দুর্বল ভবনগুলো থেকে বছরকে বছর ম্যানেজের উপর দিয়েই চলে যাচ্ছে। আর বেশিরভাগ ডেভোলপার কোম্পানিগুলো থাকে সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা কোন রকম বিল্ডিং তৈরি করে বিক্রি করে হয়ে যায় উধাও। আর এসব লক্ষ্য করা যায় যখন কোন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না।
এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, ঢাকাসহ অন্যান্য ঘনবসতি শহরগুলোতে ভূমিকম্প বা বড় আকারের কোন দুর্যোগ দেখা দিলে দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধারকার্য চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। ফলে এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়।
এমনিতেই ঢাকার বেশির ভাগ ভবনগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা একেবারেই দূর্বল। অন্যদিকে পুরান ঢাকার ভবনগুলো গা ঘেঁষাঘেষি করে তৈরি করা এবং রাস্তাগুলোও সরু। ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করা দূরুহ ব্যাপার। তাই সামান্য দুর্ঘটনাতেও সেখানে উদ্ধারমূলক কর্মকান্ড চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বসিলা, বনশ্রী, আফতাবনগরসহ ঢাকা শহরের বেশীরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলো জলাভূমি ভরাট করে বালি বা কাদামাটির উপর তৈরি করার কারণে ঝুঁকির মাত্রা এক্ষেত্রে অনেক বেশি।
২০০৯ সালে জাইকা ও সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী(সিডিএমপি) এক জরিপে উল্লেখ করেছে যে, ঢাকায় ৭ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে শহরের প্রায় ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়বে এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। প্রায় ১৪ বছরে নিয়ম না মেনে তৈরি করা আরও অনেক বিল্ডিং হয়েছে, সেসব যোগ করলে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন সংখ্যা কত দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয়। সুধীজন ও বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগ সময়গুলোতে যাতে ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় থাকে সে ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা ও টক-শোতে পরামর্শ দিলেও দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন চোখে পরেনি।
বিশেষত: এসব বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও একজন মানুষের নাম না বললেই নয়, তিনি হচ্ছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও ঠোঁটকাটা প্রিয় মানুষটি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
লেখকঃ মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ও নির্বাহী পরিচালক: হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভে. সোসাইটি(হিডস)।
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষিধের মেয়াদ আবারও ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবো, কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না বলে জানানো হয়।