a দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:৫৮
দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!

ফাইল ছবি

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে পালাক্রমে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হেমন্ত কাল। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং প্রকৃতির খেয়ালে বাংলাদেশে কয়েক দশক থেকে ষড়ঋতুর মধ্যে চারটি ঋতু উপলব্ধি করা যাচ্ছে। হেমন্ত এবং বসন্তের প্রকৃত রুপ প্রকৃতি থেকে হারিয়েই যেতে বসেছে। তাই উত্তরে হেমন্তেই শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।

হেমন্তের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় শীতকালের। আনুষ্ঠানিকভাবে শীতের বাকি রয়েছে দুই মাস থাকলেও তা আগেই কড়া নাড়ছে প্রকৃতিতে। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতি সিক্ত হচ্ছে। ফুটপাত থেকে আরম্ভ করে অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতে এখন শোভা পেতে শুরু করেছে শীতের পোশাক। ভোরে ধানের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।

শুধু ধানের ডগায় শিশির বিন্দু নয় ফুলের রাজ্যে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি,বকফুলসহ আরও অনেক প্রজাতির ফুল হেমন্তের প্রকৃতিকে মুগ্ধ করছে। সব মিলিয়ে বলা যায় হেমন্ত ঋতুতে চলছে শীত-গরমের লুকোচুরি খেলা। মফস্বল শহরের অনেকেই মধ্যরাতে ফ্যান বন্ধ রাখছেন। এদিকে ভোরে কুয়াশার কারণে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সবমিলিয়ে বলা যায় উত্তরাঞ্চলের অনেক স্থানেই হেমন্তে শীতের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বিভিন্নস্থানে শীতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কার্তিকেই শীত জেকে বসতে পারে উত্তরাঞ্চলে। প্রতিদিন কমতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা।

আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং এর আগের দিন রবিবার ছিল ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনা পদত্যাগে ঘটে যাওয়া আদ্যপান্ত ঘটনা তুলে ধরলেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২৪, ০৯:৫২
শেখ হাসিনা পদত্যাগে ঘটে যাওয়া আদ্যপান্ত ঘটনা তুলে ধরলেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা

ছবি সংগৃহীত: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়া ও গণভবনে ছাত্র/জনতার আগমন

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও গত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা একজন সেনা কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে তুলে ধরেছেন। তার অনুরোধেই পোস্টটি হুহহু নিচে তুলে ধরা হলো-


সমগ্র বাংলাদেশী মানুষদের বিজয়ের শুভেচ্ছা!
আমি একজন সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিটের কর্মকর্তা।  আমি আমার প্রকৃ্ত আইন্ডেন্টি হাইড করছি যাতে করে ভবিষ্যতে আমার বিরুদ্ধে কোনো সম্ভাব্য স্টেপ না গ্রহণ করা হয়।।

গত কয়েক সপ্তাহ যাবত আপনারা সেনাবাহিনীর কর্মকান্ডে ব্যাথিত হয়েছেন বলে আমি জানি। তবে আপনি কি জানেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে খোদ সেনাবাহিনীই বড় ভূমিকা রেখেছিলো। এখন বলি ভিতরে কিছু ঘটনা, গত কয়েকদিন যাবত আন্দোলন যখন বেগবান হয় তখন থেকেই সরকার মহলের উপরের কিছু মন্ত্রীর ভিতরে ভয় ঢুকে যায় এবং তারাও নড়েচড়ে বসে। এতে করে শেখ হাসিনা যখন কেউকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তখন তিনি সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ভেবেছেন কারফিউ দিলে হয়তো আন্দোলন থামবে। কিন্তু থামেনি উলটো মানুষ প্রচন্ড রেগে গিয়েছিলো। সেনাবাহিনীর ভিতরের বিভিন্ন ব্রিগেডে ক্ষোভ বেড়ে যায় সরকারের প্রতি। দেশের মানুষের বিপক্ষে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করানোই সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো শেখ হাসিনার। এটি তার কয়েকটি ভুলের একটি। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেডে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যখন বেড়ে যাচ্ছিলো তখনই সেনাপ্রধান সাহেব মতবিনিময় সভার ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে সরকার পক্ষের গুটি কয়েকবাদে বাকি সবাই শেখ হাসিনার বিপক্ষে দাঁড়ান। সরকার পক্ষে দাঁড়ানো কয়েকজনের একজন হলো ব্রিগেডিয়ার ইমরান হামিদ। আগে আদমজী স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন। মতবিনিময় সভায় যখন সেনাপ্রধান সাহেব আঁচ করতে পেরেছেন যে সেনাবাহিনীকে যদি দেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করার চেষ্টা আরো বেড়ে যায় তবে যেকোনো মুহূর্তে মিলিটারির ক্যুর সম্ভাবনা আছে। তাই তিনি ওইদিন থেকে আন্দলোনকারীদের উপর গুলি চালানো নিষেধ করেন পাশাপাশি আইজিপির সাথেও কথা বলেন কারন পুলিশেও প্রায় একই অবস্থা চলছিলো। তখন আইজিপি এবং সেনাপ্রধান সাহেব একমত হলেন যে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী অর্থাৎ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্যদের দেশের সার্বিক অবস্থা বোঝানো হবে, যাতে করে তারা ক্ষমতা-ত্যাগ করে।  এই নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ এবং অতি গোপনীয় ইউনিট তৈরি করা হয় যার সাথে আমি জড়িত। ওই ইউনিটের অফিসাররা এবং আমি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও উপদেষ্টাদের সাথে বহুবার আলোচনা করি তাতে কয়েকজন সায় দিয়েছেন যে তারা শেখ হাসিনাকে বোঝাবেন পদত্যাগের জন্য। কয়েকজন সদস্য উলটো আতংকিত হয়ে দেশ ত্যাগ করে ফেলেন। তারা ভেবেছেন সেনাবাহিনী তাদের আটক করবে মার্শাল ল' জারি করবে। আসলে এমনটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো না।

আমরা চেয়েছি গণতান্ত্রিক উপায় সরকার পরিবর্তন হবে। প্রধান বিচারপতির রায়ের ভিত্তিতে। এরপর শেখ হাসিনাকে ওই সভাপতি মন্ডলীর বিভিন্ন সদস্য এবং উপদেষ্টা বোঝাতে চেষ্টা করেন পদত্যাগের জন্য। এর মধ্যে একজন হলেন সালমান এফ রহমান। মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তিও তাকে বুঝিয়েছেন। তবে এটা সত্য যে, যখন উনাকে সবাইকে পদত্যাগের জন্য বলেতেছিলো তিনি তখনই ভেঙ্গে পড়েছিলেন। কেননা তিনি কাউকে পাশে পাচ্ছেন না এবং বিশ্বাসও করতে পারছেন তখন আমরা শেখ হাসিনার কাছে যাই এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। যখন তিনি শুনতেছিলেন না তখন আমরা উনার বোন শেখ রেহনার সাথে যোগাযোগ করি। উনাকে দেশে আসতে বলি। আমাদের বিশ্বাস ছিলো অন্তত একমাত্র বোনকে তিনি বিশ্বাস করবেন। উনার বোন আমাদের কথায় ৪ তারিখ সকালে বাংলাদেশে আসেন। শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনা ৪ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকেই নিজেদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা করেন।

আমরা শেখ হাসিনার প্রোটোকল অফিসারদের (যারা সেনাবাহিনীতে কর্মরত) বলে দিয়েছিলাম, যেন তাদের গতিবিধির উপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখে। আমাদের সূত্র জানিয়েছে যে, শেখ হাসিনা তখনও মানতে নারাজ ছিলেন। উনি ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে চাচ্ছিলেন না। তিনি উলটো কারফিউ কড়াকড়ি করতে সেনাবাহিনীর উপর জোর দেন। যখন দেখছি কাজ হচ্ছে না তখন আমরা সেনাপ্রধান সাহেবকে জানাই। পরের দিন,  আইজিপি ও তিন বাহিনীর প্রধান নিজেই অর্থাৎ সোমবার সকালে শেখ হাসিনার বাসা গণভবনে যান।সেখানে সালমান সাহেবও উপস্থিত ছিলেন।  শেখ হাসিনা তার বিভিন্ন ক্ষোভ ঝাড়েন সেনাবাহিনীর উপর। পুলিশদেরকে বাহবা দেন। কিন্তু আইজিপি সাহেব শেখ হাসিনাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে দেশের পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। তিনি তখন দেশে জরুরী অবস্থা জারি করতে নির্দেশ দিলে সেনাপ্রধান তা মানতে নারাজ ছিলেন। ওই সভা ছিলো শেখ হাসিনার ইতিহাসের প্রথম সভা যেখানে কেউই তার হুকুম পালন করতে রাজি হোননি। শেখ হাসিনা তখন বুঝে যান যে, তার পক্ষে এখন আর কেউ নেই। তিনি তখন পাশের রুমে শেখ রেহানার কাছে যান , তার সাথে আলোচনা করেন এবং বিদেশ থেকে ভিডিও কলে পুত্রসন্তান জয়ের সাথে আলোচনা করেন। জয় নিজের মাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলেন যতদ্রুত সম্ভব।

বলে রাখা ভালো, আমরা শেখ রেহানার মাধ্যমে জয়ের সাথেও আলাপ করার চেষ্টা করেছিলাম। শেখ হাসিনা তখন ফের সভায় এসে সেনাপ্রধানের কাছে পদত্যাগের জন্য দুইদিন সময় চান যাতে করে তার সহযোগীরা দেশ ছাড়তে পারে এবং একটি জাতির উদ্দেশ্যে রেকর্ডেড ভাষণ দিতে চান পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ের শর্ত দেন। তখন সেনাপ্রধান নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে রাজি হোন কিন্তু বাকি দুইটিতে রাজি ছিলেন না। কেননা ততক্ষণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মানুষ জড় হয়ে গেছেন এবং তারা যেকোনো মুহূর্তে গণভবনে ঢুকে যাবেন। সেনাপ্রধানসহ তিনবাহিনীর প্রধান শেখ হাসিনাকে  আশ্বস্ত করেন যে তারা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিরাপদে ভারতে পাঠিয়ে দিবেন। শেখ হাসিনা হতাশ হন কিন্তু রাজি হয়ে যান। তখন আমি এবং আমার ইউনিট আমাদের সবচেয়ে পরিশ্রমী একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে খুব কম সময়ে। তখন বাজে ১২.৩০ মিনিট। সময় ছিলো মাত্র ৪৫ মিনিট। এক ঘন্টাও না! আমরা প্রথমে  হেলিকপ্টারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা, শেখ রেহনা এবং সালমান সাহেবকে বঙ্গভবনে নিয়ে যাই। সেখানে প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে উনাকে নিয়ে কুর্মিটোলা এয়ারব্যাসে চলে যাই। এর মাঝখানে ভারতের সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করি যাতে করে তারা শেখ হাসিনাকে  গ্রহন করে। ক্লিয়ারেন্স চাই। তারা সম্মতি জানায়। তখন তারা শেখ হাসিনাকে ভারতের আগরতলায় পাঠাতে বললে আমরা কুর্মিটোলা এয়ারব্যাস থেকে ২.৩০ মিনিটে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অতি সতর্কতার শেখ হাসিনা, তার বোন, সালমান সাহেব এবং তার কিছু বিশস্ত অফিসারকে আগরতলা পাঠাই।

এর মাঝখানে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। উনি রাজনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্টের সাথে আলাপ করেন। এর জন্য আলাদা একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। ভারতের আগরতলা থেকে থেকে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সি-১৩০জে উড়জাহাজ করে উনাকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বলে রাখা ভালো, এই পুরো সময়েই শেখ হাসিনা স্তব্দ, নিশ্চুপ, হতাশ এবং কাঁদো কাঁদো ভাব। মনে হচ্ছিলো তিনি এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বিমানবাহিনীর বিমানটি প্রথমে দিল্লিতে নামার কথা থাকলেও পরবর্তীতে দিল্লির কাছাকাছি গাজিয়াবাদের হিন্দোন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে ৫.৩০ মিনিটের দিকে। তবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে উড়জাহাজটি সেখানেই রাখা হয় সারাদিন। যদি পরবর্তীতে কোনো দেশে যেতে চান তবে। তখন থেকেই শেখ হাসিনার সাথে আমাদের বর্তমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তিনি যেসব অফিসার সাথে করে নিয়েছেন তারা নিয়মিত বিমানবাহিনীকে আপডেট দিচ্ছেন। আজ সকালে বিমানবাহিনী থেকে জানা হলো সি-১৩০জে বিমানটি ফিরত চলে আসবে। ইতেমধ্যে হয়তো সেটি উড্ডয়ন করে ফেলেছে।

আমরা বারবার শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্ত তার অফিসাররা আর সায় দিচ্ছেন না। তবে আপাতত শুনেছি যে তিনি লন্ডনে যেতে পারেন। এর কারন শেখ হাসিনা আর দেশীয় কেউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। ইতেমধ্যে ভারত থেকে আমাদের জানানো হচ্ছে যে সেখানের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলোয় সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করছে।

আমার এই সব কিছু বলার কারন একটাই যে আপনারা বিভিন্ন মানুষ যারা অনলাইনে গুজব রটাচ্ছেন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা সত্যটা জানুন। সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে। সেটা আগামী যেই সরকারই আসুক। আমাদের নীতি একটাই থাকবে সেটা হলো দেশের মানুষদের সুরক্ষা। আপনাদের কেউ কেউ দাবি করছেন যে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে  দেশ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা করে। আসলে ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত না, আমাদের প্ল্যানে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়ার কথাও ছিলো না। উনি শর্ত দাবি করেছেন নিরাপত্তার জন্য। উনাকে নিরাপত্তা দিলে, উনি পদত্যাগ করবেন। তাই আমরাও সেটি মেনে নিয়েছি।

ইতেমধ্যে আমাদের বিভিন্ন ইউনিট তৈরি হচ্ছে বা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় মোতায়েনের জন্য। আপনারা আবারও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন বলে আশা করছি। কিন্তু সব অতি স্বল্প সময়ে হওয়ার কারনে সেনাবাহিনীর অরগানাইজড হতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।

গতকালের রাতে সেনাবাহিনীর উপর গুলির যে আতংক সেই প্রসঙ্গে,
আমরা সেনাসদস্য আহত হওয়ার খবরটি পেয়েছি। পুলিশ গতকাল আতঙ্কিত হয়ে সেনাসদস্যদের উপর গুলি চালিয়েছেন। এই ব্যাপারটি তদন্ত করা হয়েছে। গতকাল হঠাত সরকার পতনের পর বিরোধীরা তাদের ১৫ বছরের ক্ষোভ একদিনেই নিয়ে ফেলছেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে করে আপনারা বিভিন্ন মানুষদের বাসাবাড়িতে বা কার্যালয়ে হামলা করছেন। এতে বহু পুলিশ আহত ও নিহত হয়েছে। এখন পুলিশরা এজন্য আতঙ্কিত। আরো একটি কথা, আপনারা সবাই জানেন দেশে এখনো কিছু এমপি বা রাজনীতিবিদরা আটকে আছেন এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেনা দফতর থেকে এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর অনেকেই পালাতে পারেননি।তাতে পুলিশও রয়েছে। তারা সবাই আইজিপির কাছে নিরাপত্তা চান বিকালে। আইজিপি তখন সিদ্ধান্ত নেন যে  গভীর রাতে পুলিশের বিশেষ কয়েকটি ইউনিটকে রাতে ফাঁকা আওয়াজ দিতে বলেন। তারা সারা ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় ফাঁকা আওয়াজ দেওয়ার জন্য নিজেদের বহর নিয়ে বের হয় যাতে করে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে না বের হোন। তারা ফাঁকা আওয়াজ দিতে দিতে সেনানিবাসে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নেয় এবং আত্মসমর্পণ করেন। এই ফাকে এম্পি-মন্ত্রী-পুলিশ কর্মকর্তারা  নিজেদের আস্তানা খুঁজে নেয়। তাই ওইসময় তারা পালাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু আফসোসেস বিষয় হচ্ছে তারা এয়ারপোর্টের দিকে রওনা হোন। এইদিকে আগে থেকেই সেনাবাহিনীর তুর্কী ড্রোন দিয়ে আমরা সারা ঢাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলাম। তাদের গতিবিধি দেখে এয়ারপোর্টে সেনাবাহিনী পাঠানো হয় এবং কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার হয়। তাদের মধ্যে কেউ এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন না।  যদিও এই কথাটি সায়ের ভাই আগেই বলে দিছেন গতকাল।

পাশাপাশি আপনাদের অনেকেরই মনে খুব উদ্বেগ জেগেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ নিয়ে। আপনাদের জানিয়ে রাখছি যে এটা নিয়ে একটুও বিচলিত হবেন না। হ্যাঁ এটা সত্য ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কিছু সদস্য বাংলাদেশে আছেন। এটা প্রায় সবদেশেই হয় অন্যদেশের উপর নজরদারির জন্য। আমাদের সেনাবাহিনীর ডিজিএফআইও অনেক দেশে মোতায়েন রয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বাংলাদেশে যতজন র’এজেন্ট বা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সবাই সেনাবাহিনীর নজরদারিতে আছে। তাদের সেনাবাহিনী শেখ হাসিনা সরকার থাকার সময়ই আইডেন্টিফাই করে ফেলেছিলো এবং তখন থেকেই তাদের উপর নজরদারি করে আসছি অতএব এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না। সূত্র: ফেসবুক/ Mir Kamruzzaman Moni

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৭ দফা


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:১৯
সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৭ দফ

ছবি সংগৃহীত

সাইফুল আলম , ঢাকা:  দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা প্রত্যেকটি নাগরিকের কর্তব্য হলেও দীর্ঘদিন ধরে এই দায়িত্ব পালন করে আসছে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই স্বার্থান্বেষী মহল নানা অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের ভেতরে ও সীমান্তে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের দিকে ধাবিত করা হচ্ছে সুপরিকল্পিত ভাবে। দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নাগরিকদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।

এরই প্রেক্ষিতে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ -এর উদ্যোগে আজ শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের ১নং হলে "সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা" শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায-এর সঞ্চালনা ও সমন্বয়ক মো: সাইফুল আলম সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আব্দুস সালাম মামুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মো: হাবিবুর রহমান হাবিব। 

প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিজিপি'র ভাইস চেয়ারম্যান মতিন, ক্যান্সার গবেষক ডা. সরওয়ার, মেজর জেনারেল আমছা আমিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, লেঃ কর্ণেল ফরিদ আকবর (অব), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মফিজুর রহমান, ড. আরিফ শাকি, ফয়েজ আহম্মেদ, প্রফেসর শাহজাহান সাজু, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র এডভোকেট মহসিন রশিদ, ডক্টর মালেক ফরাজি, এড. নূর মোহাম্মদ কীরণসহ জাতীয় রাজনীতিবিদ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধি, ছাত্রপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবিবৃন্দ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, আমরা ইতিপূর্বে দেখেছিলাম, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলো। কিন্তু চলমান পরিস্থিতি উপলব্ধি করলে তা কার্যকর হয়েছে বলা যাবেনা। আছিয়ার করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমাদের এ জনপদ শিশুদের জন্যেও অনিরাপদ। এমন ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজে ও মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। অবক্ষয় হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা একান্ত প্রয়োজন। 

এই সময় বক্তাগণ আরও বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রের বীজবপন করছে ভারত, ছড়ানো হচ্ছে প্রতিহিংসা। ভারতীয়রা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এবং ঐ অঞ্চলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে একটি প্রক্সি যুদ্ধ লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা গত কিছুদিন যাবৎ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা সমূহে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে দৃশ্যমান হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আরাকান আর্মির সুসম্পর্ক থাকায় আরাকান আর্মির মাধ্যমেও বাংলাদেশের সাথে প্রক্সি যুদ্ধ করানোর ষড়যন্ত্র করছে ভারত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে আহবান জানান। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের নির্মূলে একটি সামরিক কমিশন গঠন ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার আহবান জানান। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাত দফা দাবি সমূহ:
১. পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্রিটিশ কোম্পানি ১৯০০ শাসনবিধি বাতিল করে, পার্বত্যাঞ্চলে স্বাধীন সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতির স্ব-স্ব সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা রক্ষায় আলাদা কমিশন গঠন করা।

২. বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের  লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে পার্বত্যাঞ্চলে ভূমি জরিপ চালু করে ভূমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি/বাঙালিদের পার্বত্যাঞ্চলে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

৩. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সকল জাতিসত্তাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি তথা বাংলাদেশী বাঙালি/চাকমা/ত্রিপুরা/মারমা/ অন্যান্য  হিসাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তিকরণ। 

৪. "শান্তি চুক্তি" নামক কালো চুক্তি বাতিল করে সংখানুপাতিক ভিত্তিতে সকল জাতিসত্তার সম-অধিকার নিশ্চিতকরণে সম্প্রীতি কমিশন গঠন। 

৫. ১৯৮৯ সালে প্রবর্তিত পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা।

৬. পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদ নির্মূলে সামরিক কমিশন গঠন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী হতে অদ্যাবধি গণহত্যা সমূহের বিচার কার্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে সম্পন্ন করা।

৭. ২০১৮ সালের আদিবাসী শব্দ ব্যবহার বন্ধে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের পূর্ণ বাস্তবায়ন ও আদিবাসী স্বীকৃতির ষড়যন্ত্র স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ