a দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!
ঢাকা রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩২, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:৫৮
দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!

ফাইল ছবি

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে পালাক্রমে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হেমন্ত কাল। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং প্রকৃতির খেয়ালে বাংলাদেশে কয়েক দশক থেকে ষড়ঋতুর মধ্যে চারটি ঋতু উপলব্ধি করা যাচ্ছে। হেমন্ত এবং বসন্তের প্রকৃত রুপ প্রকৃতি থেকে হারিয়েই যেতে বসেছে। তাই উত্তরে হেমন্তেই শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।

হেমন্তের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় শীতকালের। আনুষ্ঠানিকভাবে শীতের বাকি রয়েছে দুই মাস থাকলেও তা আগেই কড়া নাড়ছে প্রকৃতিতে। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতি সিক্ত হচ্ছে। ফুটপাত থেকে আরম্ভ করে অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতে এখন শোভা পেতে শুরু করেছে শীতের পোশাক। ভোরে ধানের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।

শুধু ধানের ডগায় শিশির বিন্দু নয় ফুলের রাজ্যে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি,বকফুলসহ আরও অনেক প্রজাতির ফুল হেমন্তের প্রকৃতিকে মুগ্ধ করছে। সব মিলিয়ে বলা যায় হেমন্ত ঋতুতে চলছে শীত-গরমের লুকোচুরি খেলা। মফস্বল শহরের অনেকেই মধ্যরাতে ফ্যান বন্ধ রাখছেন। এদিকে ভোরে কুয়াশার কারণে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সবমিলিয়ে বলা যায় উত্তরাঞ্চলের অনেক স্থানেই হেমন্তে শীতের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বিভিন্নস্থানে শীতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কার্তিকেই শীত জেকে বসতে পারে উত্তরাঞ্চলে। প্রতিদিন কমতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা।

আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং এর আগের দিন রবিবার ছিল ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন উচ্চ শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০১ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৪৮
পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন উচ্চ শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা

ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার পবহাটি গ্রামের শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা। আব্দুল খালেক ও আলেয়া বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। পিতার ৮ শতক জমির উপর বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই ছিলো না। শহরের পবহাটি সিটি মোড়ে একটি মুদি দোকান আছে তাদের। সেই আয় দিয়ে ৭ সদস্য’র সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন পিতা আব্দুল খালেক।

টানা পোড়েন সংসারে ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও অসচ্ছলতার কারণে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে বিএসএস কোর্স ও ২০১৮ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করেন।

পিতাকে সহযোগিতা করতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১২ সালে গ্রামের মাঠে ১০০ শতক জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন পেঁপে চাষ। ৬ মাসের মধ্যে পেতে শুরু করেন সফলতা। ৩ বছরে ভালো ফলন পান তিনি। কিন্তু টাকার জন্য আবাদ বৃদ্ধি করতে পারছিলেন না। ২০১৫ সালে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পুরোদমে শুরু করেন পেঁপের আবাদ। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কয়েক বছরে ভালো লাভ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ৭৫০ শতক জমিতে পেঁপের আবাদ করছেন। উৎপাদিত পেঁপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাচাবাজারে পাঠান তিনি। আবাদ করে যা লাভ হয়েছে তা দিয়ে করেছেন বাড়ি, বোনদের বিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি স্বাবলম্বী। বর্তমানে প্রতিবছর তিনি ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন।

সোহেল রানা বলেন, ‘আমি এক সময় খুবই কষ্ট করেছি। অভাবের সংসারে ভালোমত লেখাপড়াও করতে পারিনি। তারপরও অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছি। এর মাঝেই পেঁপের আবাদ করি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আজ আমি পেঁপে চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে চাষাবাদ করলেও ভাগ্য ফেরানো সম্ভব।’

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, সোহেল রানা বিভিন্ন জাতের পেঁপে আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে বিভিন্ন ভাবে আমরা সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে আসেন, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরী


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:০১
রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরী

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অবস্থা কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার, অডিট আপত্তি এবং বিব্রত সংবাদ প্রচার, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যদের নিয়োগ, টিএলআর ও প্রকল্পভুক্ত গেট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণ, রেলওয়ে ইঞ্জিন ও কোচ সংকট, সকল কর্মচারী সহ নিরাপত্তা কর্মীদের রেশনিং ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান, আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল শীর্ষক সংলাপ এবং সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সম্মানিত সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আজকের জাতীয় সংলাপ এবং সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।  
বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলওয়ে এখনো সবচেয়ে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও গণমুখী মাধ্যম। তবু নানা সময়ের অব্যবস্থাপনা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অদক্ষ নেতৃত্ব, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে রেলপথ আজও তার সম্ভাব্য শক্তিতে পৌঁছতে পারেনি। সম্প্রতি দেশে ঘন ঘন ট্রেন লেট, ট্রেন লাইনচ্যুত, ইঞ্জিন বিকল, টিকিট ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, যাত্রীসেবায় অবনতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক টানা-পোড়েন রেলওয়ের প্রতি মানুষের আস্থাকে আবার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ
• ইঞ্জিন ও কোচ সংকট: নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং যন্ত্রাংশ সরবরাহে দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে ঘন ঘন ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে, কোচের সল্পতায় যাত্রী চাহিদা মেটাতে পারছেনা বাংলাদেশ রেলওয়ে ।
• প্রশাসনিক বিভক্তি ও জবাবদিহির অভাব: রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তরের দ্বৈত-নেতৃত্ব কাঠামো কার্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে জটিল করে তুলেছে।
• কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার উপেক্ষা: তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং তাদের পরিবার আজও ন্যায়সংগত নিয়োগ, পদোন্নতি ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।
করণীয় বিষয়গুলো হলো - 
ভূমি ও সম্পদ অপব্যবহার: রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি নানা অজুহাতে বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে, অথচ রেল নিজেই অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যর্থ হচ্ছে, বেকার রেলওয়ে পোষ্যদের কর্মসংস্থানে জমি বরাদ্দ চাইলেও কর্তৃপক্ষ দিতে পারে না।
১. একক নেতৃত্ব কাঠামো নিশ্চিত করা- রেলওয়ে মহাপরিচালকের (ডিজি) দপ্তরকে পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
২. ইঞ্জিন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে- প্রতিটি ব্যর্থ ইঞ্জিন/কোচের জন্য তদন্ত ও দায় নির্ধারণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার সংরক্ষণ- নিয়োগ নীতিতে “ডিপেন্ডেন্ট কোটাকে” আইন দিয়ে সংরক্ষিত
করতে হবে।
৪. টিকিট ও যাত্রীসেবা ডিজিটাল মনিটরিং- অনলাইন টিকিটিং অপারেটরদের চুক্তিতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. রেলভূমি সুরক্ষা ও নিজস্ব বাণিজ্যিক ব্যবহার- হাসপাতাল, মার্কেট, পার্কিং, রেলওয়ে পোষ্য সুপার মার্কেট ইত্যাদি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনে আয় বাড়াতে হবে।
রেল শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি, প্রশাসন ও জন-মানুষের আস্থার প্রতীক। এখন সময় এসেছে “প্রকল্পভিত্তিক রেল” থেকে “সরকারি দায়িত্বশীল রেল” প্রতিষ্ঠার।

উক্ত বক্তব্যে সভাপতি আরো বলেন, রেলওয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা - রাষ্ট্রের দায়িত্ব, উপহার নয়"। বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি বিষেশায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সরকারী দপ্তরের মত নয়- এটি হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকার কেন্দ্রবিন্দু। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক দশক ধরে রেলওয়ের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন, যাদের ঘাম আর শ্রমে রেল চলে- তাদের কণ্ঠ সবচেয়ে কম শোনা হয়।
যে অধিকারগুলো এখনো বঞ্চিত-
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য পদোন্নতি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে ।
• অবসরপ্রাপ্তদের পরিবার ও পোষ্যদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা নীতি নেই । • নিয়োগে ডিপেন্ডেন্ট কোটা আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয় - ফলে পোষ্যরা হয়রানির শিকার হন । রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও হাসপাতালগুলো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ও পোষ্যরা প্রকৃত সুবিধা
পান না ।
• নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যমূলক আচরণের মুখোমুখি হন, কিন্তু তাদের স্বর উচ্চপর্যায়ে পৌঁছায় না ।
ন্যায্যতার দাবি- কোনো দয়া নয়, এটি আইনি ও মানবিক অধিকার
• ডিপেন্ডেন্ট কোটা আইন করে সংরক্ষণ করতে হবে- পোষ্যদের নিয়োগ আর কোনো “অনুগ্রহ” নয়, এটি হতে হবে “আইনসিদ্ধ অধিকার”
প্রতি গ্রেডে স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। 
• রেলওয়ে কল্যাণ তহবিলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে পোষ্যদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও আবাসনে সহায়তা দিতে হবে
• রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে- সবাই এক রেলের মানুষ
• ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দলীয়করণ নয়, প্রকৃতভাবে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে
রেলওয়ে বাঁচাতে হলে, আগে রেলকর্মীর অধিকার বাঁচাতে হবে।
রাষ্ট্র যদি রেলওয়েকে বাঁচাতে সত্যিই আন্তরিক হয়- তবে তাকে প্রথমে রেলকর্মী ও তাদের পরিবারের ন্যায্য দাবিগুলো স্বীকার করে আইনি কাঠামোতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ