a
সংগৃহীত ছবি
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২১২ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৩২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬০৩৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন।
উল্লেখ্য, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন পর্যন্ত একদিনের এটি সর্বোচ্চ মৃত্যু।
সংগৃহীত ছবি
সম্প্রতি দেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। একদিকে কোভিড অন্যদিকে ডেঙ্গু, অনিশ্চিত আতঙ্ক এখন মানুষের মাঝে। তবে বিচলিত হলে চলবে না। জানতে হবে কখন কোন সময়টাতে ডেঙ্গুরোগের বাহক এডিস মশা সক্রিয় থাকে অর্থাৎ বেশি কামড়ায়। প্রচলিত তথ্যগুলো বলে, এডিস মশা মূলত দিনের বেলায় কামড়ায়।
ডেঙ্গুরোগ বাহক এডিস মশা কখন কামড়ায় তা নিয়ে প্রাণিবিজ্ঞানী ও কীটতত্ত্ববিদদের মধ্যে সামান্য মত-পার্থক্য দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত তথ্য হচ্ছে, দিনের বেলায় এডিস মশা কামড়ে থাকে। এর মধ্যে ভোর বা সূর্য ওঠার তিন চার ঘণ্টা পর এবং বিকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। তবে সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণের পর তারা জানিয়েছেন, শুধু দিনের বেলায় নয়, এডিস মশা সক্রিয় থাকে আলোয়। ফলে ঘরে আলো থাকলে তা রাতেও কামড়াতে পারে।
সকালবেলার শুরু মানে যখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করে তখন থেকে পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এডিস মশা তুলনামূলক বেশি সক্রিয় থাকে। আবার সন্ধ্যার আলো-আঁধারির মাঝেও বেশ শক্তিশালি থাকে এডিস মশা। মানুষ দেখলেই তেড়ে আসে। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে যেখানে উজ্জল আলো থাকে, সেখানেও এডিস মশা সক্রিয় থাকতে পারে। মানে খুব পরিষ্কার, রাতের বেলা ঘরের কৃত্রিম আলোতেও এডিশ মশা কামড়াতে পারে। তাই দিনের বেলা, সকাল-সন্ধ্যা বলে কথা নয়, যেকোনো সময়েই এডিস মশা কামড়াতে পারে।
এডিস মশা দেখতে কেমন:
এডিস মাশা সাধারণত অন্য মশাদের তুলনায় কালো ধরনের হয়ে থাকে। এর পায়ে এবং পাশে সাদা ডোরাকাটা থাকে। এডিস মশার মাথার পেছনে ওপরের দিকে কাস্তে ধরনের সাদা দাগ থাকে। বাকি মশাদের মাঝ বরাবর সাদা দাগ থাকে। এই দুটি বিষয় দেখেই চিহ্নিত করা যায় প্রাণঘাতী এডিস মশাকে।
সতর্কতাগুলো অবলম্বন করবেন যেভাবে:
এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলায় বেশি কামড়ায়। তাই এ সময় শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। মানে ফুলহাতা জামা পরুন। দিনের বেলা পায়ে মোজা ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ কোথাও বসে থাকলে অধিকাংশ সময়েই আমরা পায়ের দিকে খেয়াল করি না। মশা কামড়ে দেওয়ার পর টের পাই।
ডেঙ্গু: এডিস মশা কখন কামড়ায়, সতর্ক থাকবেন যেভাবে:
শিশুদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পরাতে হবে। যখনই ঘুমাবেন সেটা দিনে হোক বা রাতে, অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। দরজা-জানালায় নেট লাগাতে হবে। মশাকে বধ করতে পারে এমন স্প্রে, লোশন, কয়েল ও ম্যাট ব্যবহার করুন। মশা যেনো না কামড়াতে পারে এজন্য মশাবিরোধী ক্রিম বা তেল শরীরের খোলা স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
বাড়ির ছাদে বাগানের টবে বা পাত্রে যেনো পানি জমে না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখুন। এমনকি ঘরের ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, বাড়িঘরের আশপাশে যেকোনো পাত্রে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন। ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো পানি ৫ দিনের বেশি যেনো না থাকে।
প্রাণিবিজ্ঞানদেন সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ অনুসারে, শুধু দিনের বেলাতেই নয়; এডিস মশা সক্রিয় থাকে উজ্জ্বল আলোতেও। তাই ঘর আলোকিত থাকলে রাতেও কামড়াতে পারে এডিস মশা।
ফাইল ছবি
প্রথমবার নিজেদের উদ্ভাবিত রকেট উৎক্ষেপণে সফলতা অর্জন করলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবার কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এমনটাই জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি, তবে প্রথম পরীক্ষায় এটি অসাধারণ অর্জন। আমাদের এখনও অপূরণীয় লক্ষ্য রয়েছে, তা হলো কক্ষপথে নিরাপদে একটি ডামমি স্যাটেলাইট স্থাপন করা।
বিবিসি জানায়, নুরি নামের এই স্যাটেলাইটি ভেহিক্যাল-২ এ করে উপক্ষেপণের পর তা নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। ২০২৭ সাল নাগাদ নুরি রকেট আরও পাঁচ বার উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
পরবর্তী উৎক্ষেপণ হবে আগামী মে মাসে। উল্লেখ্য, নুরি তৈরিতে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় দুই লাখ কোটি ওন (স্থানীয় মুদ্রা) ব্যয় হয়েছে। ৪৭.২ মিটার দীর্ঘ এবং দুইশ’ টন ওজনের রকেটটিতে ছয়টি তরল জ্বালানি চালিত ইঞ্জিন রয়েছে।