a
ফাইল ছবি
আগামী মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে যুক্তরাষ্ট্র। চির বৈরি দুই দেশের ফুটবল টিম মাঠে নামার আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ নিয়ে রোববার ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু সেই পোস্টে তারা ইরানের জাতীয় পতাকা বিকৃত করেছে।
ইরানের আসল পতাকার বদলে— ইরানের পতাকার মাঝে থাকা প্রতীকটি বাদ দিয়ে বিকৃত ছবি প্রকাশ করে। এ নিয়ে ফিফার কাছে সরাসরি নালিশ জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পতাকা হিসেবে যে ছবি দেওয়া হয়েছে তাতে ‘আল্লাহ’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ নেই। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিকৃত এই পতাকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে ফিফায় অভিযোগ করেছে তেহরান।
প্রেসটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল দলের ফেসবুক পেইজেও একই কাজ করা হয়েছে।
ইরানের জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন মার্কিন ফুটবল দলের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা’র কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বকাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ফিফার কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরানের জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচিতির ওপর আঘাত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানে যেসব নারী হিজাববিরোধী বিক্ষোভ করছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে ইরানের পতাকা থেকে ইসলামিক প্রতীক বাদ দিয়েছিল তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের একজন মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, তারা ওই পোস্ট মুছে দিয়েছেন এবং ইরানের সঠিক পতাকা দিয়ে পরবর্তীতে পোস্ট করেছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘ইরানের নারী আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।’
ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন যে কাজ করেছে সেটি ফিফার নিয়ম অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে একটি দল বা ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন দশ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।
ইরান এখন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছে। যদিও ফিফা এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে না বলেই মনে করছেন সবাই। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু'দল। ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে লিড এনে দেন জোস্কো গার্দিওল। তবে ম্যাচের ৯ মিনিটে গোল শোধ করে মরক্কোকে সমতায় ফেরায় আশরাফ দারি।
এরপর ম্যাচের ৪২ মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। মিসলাভ ওরাসিচের করা গোলে ২-১ গোলের লিড পায় ক্রোয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া। বিরতি থেকে ফিরে একাধিক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হয় দু'দল। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ক্রোয়েশিয়া। ফ্রি কিক থেকে বাড়ানো বলে ইভান পেরিসিচ হেড করে বল দেন জোস্কো গার্দিওল। সেই বলে অসাধারণ হেডে বল জালে জড়ান জোস্কো গার্দিওল। তার গোলে ম্যাচে লিড পায় ক্রোয়েশিয়া।
তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটে গোল শোধ করে মরক্কো। ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে হেড করে বল জালে জড়ান আশরাফ দারি। তার গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে মরক্কো। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু'দল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ইভান পেরিসিচ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে বাম দিকে থেকে বাড়ানো বলে হেড করেন আন্দ্রেজ ক্রামরিক। তবে তা নিজের আটকে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বৌউনো। এরপর ম্যাচের ২৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শট করেন লুকা মড্রিচ। তবে তা আবারও অসাধারণ সেভ করেন ইয়াসিন বৌউনো। ম্যাচের ২৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে বাম দিক থেকে ক্রস করেন আশরাফ হাকিমি। তবে তাতে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় ইউসুফ নাছেরি।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। তবে ডি বক্সের ভেতরে সোফিয়ান বাউফলের নেওয়া শট আটকে দেন জোসিপ স্ট্যানিসিচ। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কর্নার পায় মরক্কো। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন নাসেরি। তবে তা চলে যায় পোস্টের সামান্য বাইর দিয়ে। এরপর ম্যাচের ৪২ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। সাজানো আক্রমণ থেকে বাম দিক থেকে অসাধারণ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান মিসলাভ ওরাসিচ। তার ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। সূত্র: ইত্তেফাক
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে আসন্ন বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্রুয়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসন্ন অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু করা হবে।
ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন।
মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সব মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।