a
ফাইল ফটো
মেগান-কেলি প্রেম কাহিনী সারা দুনিয়া জানে এমন একটি ঘটনা। প্রচন্ড প্রেম এক আগুনের দুটি শিখার ন্যায় ।বহুল আলোচিত ট্রান্সফরমার ছবির অভিনেত্রী মেগান ফক্সেরআঙুলে হীরার আংটিটা তাদের সম্পর্কের গভীরতা জানান দেয়।
বাস্তবে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা ।গায়ক মেশিন গান কেলির সাথে তিনি অভিনয় করছেন মিডনাইট ইন দ্য সুইচগ্রাস ছবিতে। অপরাধ ও থ্রিলার ঘরানার এ ছবি পরিচালনা করছেন র্যান্ডাল এইমেট। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এর জন্য মহড়াতেও অংশ নিয়েছেন দুজন। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটিতে গাড়ি থেকে নামার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন মেগান। বাঁ হাতের আঙুলে দেখা গেছে হীরার একটি বড় আংটি। ছবিটি অনলাইনে ছড়িতে পড়তেই সবাই বুঝে নিয়েছেন, মেগান-কেলির সম্পর্ক পরিনতির দিক যাচ্ছে । প্রথম দেখার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মেগান বলেছিলেন, ‘আমার ভেতর এক রকম বুনো হাওয়া বয়ে গিয়েছিল। কী হয়েছিল, তা আমি নিজেও বলতে পারব না।’
গেল বছর ট্রাভিস বার্কারের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে মেশিন গান কেলি গেয়েছেন ‘ব্লাডি ভ্যালেনটাইন’ গানটি। সেই গানের সংগীতচিত্রে মডেল হয়েছিলেন মেগান। ট্রান্সফরমার চলচ্চিত্রের সিরিজসহ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন মেগান। ৯ বছরেরও অধিক সময় আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল মেগানের। সেই সময়ই তাঁর প্রেম হয়ে যায় গায়ক কেলির সঙ্গে। যদিও নভেম্বর পর্যন্ত স্বামী ব্রিয়ান অস্টিন গ্রিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়াছাড়ি হয়নি মেগানের। তাঁদের তিন সন্তান নোয়া, বধি ও জার্নি।
কেলিও ক্যাসি নামের এক কন্যাসন্তান এর জনক।কেলি অভিনীত ছবির নাম হলো প্রজেক্ট পাওয়ার, দ্য ডার্ট, নার্ভসহ।এ ছাড়াও আরো বেশ কিছু হলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি । তাঁর বেশ কিছু গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে ।
ফাইল ফটো
অনন্য রূপের অধিকারিণী বলিউড এর আইটেম গার্ল মালাইকা অরোরা। তিনি রূপে ,গুনে ,প্রাচুর্যে অনন্য। হাজারো তরুণীর ঈর্ষার কারণ এই অপুরূপা। কয়েক কোটি রুপির মালিক এই নায়িকা রুপচর্চায় বেছে নিয়েছেন ঘরোয়া স্ক্রাব। নিজেই বানিয়ে নেন তিনি এই স্ক্রাব। মা এর কাছ থেকে শেখা এই পদ্ধতি টি তিনি সেই টিন এইজ থেকে ব্যাবহার করা আসছেন। তার ত্বকের জন্য এটি ম্যাজিক এর মতো কাজ করে।
চল্লিশোর্ধ্ব মালাইকা তার সৌন্দর্য এবং ফিটনেসে মোহিত করেছে হাজারো তরুণ তরুণী কে। সৌন্দর্যের উষ্ণতা ছড়ানো এই অপরূপা শুরু থেকেই সচেতন তার সৌন্দর্য্যের বিষয়ে। তার মায়ের শেখানো পদ্ধতিতে তিনি বাড়িতেই তৈরী করে প্রতিদিন গোসলের আগে ব্যবহার করেন এই সস্তা কিন্তু কার্যকর এই স্ক্র্যাব।
লুফা আর প্যুমিস স্টোনের সাহায্যে মালাইকা ত্বক পরিষ্কার করতেন। কারণ, এর সাহায্যে ত্বকের মৃত কোষগুলো ঝরে যায়, আর ত্বক প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারে।
রূপসচেতন এই রমণী এক সময় বাজার থেকে নামীদামি ব্র্যান্ডের স্ক্র্যাব কিনতেন। কিন্তু এখন তিনি এ ব্যাপারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিশ্বাসী। আর বাসায় তিনি নিজের ক্র্যাবার নিজেই বানিয়ে নেন। এই বলিউড অভিনেত্রীর মতে, এই ঘরোয়া স্ক্র্যাব ত্বককে মাখনের মতো মোলায়েম রাখে। আর ত্বকের মৃত কোষকে সাফ করে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। অত্যন্ত কম খরচে মালাইকার এই ঘরোয়া স্ক্র্যাব বাসায় বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আপনিও। আর এটা বানানোর উপাদানও অত্যন্ত সহজ পাওয়া যায় । এবার এটা বানানোর রেসিপি জেনে নিন।
মালাইকার ম্যাজিক্যাল বডি স্ক্র্যাব বানাতে প্রয়োজন তিনটি উপকরণ । কফি পাউডার, ব্রাউন সুগার আর আমন্ড তেলের সাহায্যে সহজে এই স্ক্র্যাব বানানো যায়। তবে বাসায় ব্রাউন সুগার না থাকলে তার পরিবর্তে সাধারণ চিনি ব্যবহার করা যায়। আর আমন্ড তেলের জায়গায় নারকেল তেল অনায়াসে নেওয়া যেতে পারে।
ম্যাজিক্যাল এই স্ক্র্যাব কীভাবে ব্যবহার করবেন, তার পরামর্শও মালাইকা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে হাতের আঙুলের ডগায় স্ক্র্যাব নিয়ে তা হালকাভাবে গোল করে ম্যাসাজ করতে হবে। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ সাফ হয়ে যাবে। ত্বক ঝকঝকে লাগবে। আর তেল ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে ত্বককে আর্দ্র রাখবে।
কফি ত্বকের জন্য এক অত্যন্ত ভালো স্ক্র্যাব হিসেবে কাজ করে। বিশুদ্ধ কফি পাউডারে বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। কফির দানা দানা উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেয়। আর এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা পটাশিয়াম ত্বককে পুষ্টি জোগায়। আর ত্বকের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।
কফি পাউডারের সঙ্গে তেল ও চিনি মেশালে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চিনিও ত্বকেতে পুষ্টির জোগান দেয়। আর পাশাপাশি কোষের ম্যাসাজও করে। তেল ত্বকের ছিদ্রের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করে। আর ত্বককে নমনীয়তা দেয়।
কফি, চিনি আর তেলের মিশ্রণ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ত্বককে সতেজ আর ঝকঝকে রাখে। সকালে গোসলের সময় এই স্ক্র্যাব ব্যবহার করলে সারা দিন আপনার ত্বক উজ্জ্বল আর নরম থাকবে। তাই আর দেরি না করে বাসায় চটপট বানিয়ে নিন মালাইকার এই ম্যাজিক্যাল স্ক্র্যাব।
ফাইল ছবি
করোনা মহামারির বিধি-নিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এতে শতভাগ মুসল্লিতে আবারও মুখরিত হতে যাচ্ছে পবিত্র কাবা শরীফ। ইতিমধ্যে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আগের মতো মুসল্লিদের দিয়ে জমায়তের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। খবর সৌদি গেজেটের।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশক্রমে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী রবিবার থেকে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করা মুসল্লিরা স্বাভাবিক পরিস্থিতির ন্যায় মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে আসতে পারবেন।
তবে মুসল্লিদের ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে ‘তাওক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া মসজিদের ভেতর মুসল্লি ও কর্মীদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আগের মতোই থাকবে বলে জানা যায়। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. খোলা জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবদ্ধ স্থানে মাস্ক পরা জরুরি।
২. করোনা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য করোনা বিষয়ক বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তা হলো :
ক. মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির পূর্ণ ধারণক্ষমতা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানকার কর্মী ও দর্শনার্থীদের সব সময় মসজিদের সর্বত্র মাস্ক পরা থাকতে হবে। এদিকে মসজিদুল হারামে ওমরাহ ও নামাজ এবং মসজিদে নববির রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য ‘ইতামারনা’ বা ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে আগের মতো নিবন্ধন করতে হবে।
খ. সরকারি অফিস, বিবাহের হল, রেস্তোরাঁ, গণপরিবহন, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন কেন্দ্র ও সিনেমা হলে সামাজিক দূরত্ব পালন না করে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।
গ. বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিতির সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় সতর্কতামূলক বিধিনিষেধ পালনের অনুরোধ করা হয়।
৩. ২নং ধারায় উল্লিখিত সব সুযোগ-সুবিধা ও কার্যক্রমের অংশ নিতে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। আর ‘তাওায়াক্কালনা’ অ্যাপে যাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বা বাদ দেওয়া হয়েছে তারা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব কার্যক্রমে অংশ নেবে।
৪. যেসব স্থানে অ্যাপের সাহায্যে যাচাই-বাছাই করা যাবে না সেখানে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা অব্যাহত থাকবে।
৫. ২নং ধারায় উল্লিখিত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধমূলক সব প্রটোকল প্রস্তুত করতে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর মধ্য দিয়ে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারির দীর্ঘ দেড় বছর পর তা শিথিল করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর কারফিউ জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন