a
ফাইল ছবি
হরমুজ প্রণালি ও ওমান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরান ও ওমান। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে এই নিয়ে ৯ বার যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হল।
ইরান ও ওমানের মধ্যকার যৌথ সামরিক কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
ওমান ও ইরানের যৌথ নৌ-মহড়ায় উভয় দেশের কয়েকটি রণতরী, বেশ কিছু হেলিকপ্টার এবং ইরানে তৈরি ড্রোন অংশ গ্রহণ করে। এ সময় ইরান এবং ওমানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
দু’দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা, সাগরে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং দু’দেশের নৌবাহিনীর সদস্যদের কার্যক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করাকে চলতি মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য বলে অভিহিত করে।
ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার মঙ্গলবার জানান, তার দেশ ওমানের নৌবহরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তিনি ওই আমন্ত্রণ জানান এবং তার আমন্ত্রণের দু’দির পর হরমুজ প্রণালিতে ওমান ও ইরানের নৌবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন হল। সূত্র: প্রেসটিভি
ফাইল ছবি
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ আগস্ট। এর আগেই দেশটি থেকে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন ও স্পেন। অন্যান্য দেশগুলোও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বাহিনী সরিয়ে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এএফপি ও সিএনএন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাতে কাবুল থেকে যাত্রীদের নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ ফ্লাইটটি ছেড়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানে তাদের আর কোনো নাগরিক নেই বলে জানানো হয়। তবে কাবুলে আরও কয়েকজন রয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে কিউই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তারা আর কোনো বিমান পাঠাবে না।
আজ শুক্রবার প্রত্যাহার কার্যক্রম সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন। তিনি বলেন, কাবুল থেকে চার হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে তারা। এ জন্য অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
শুক্রবার সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন লিন্ডে জানিয়েছেন, কাবুল থেকে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এক হাজার ১০০ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
আজ সকালে স্পেনের সর্বশেষ দু'টি ফ্লাইটও কাবুল থেকে ছেড়ে গিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আফগান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’
‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’
‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’
‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’
‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি