a লেবুর শরবতে নানাবিধ উপকারীতা
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

লেবুর শরবতে নানাবিধ উপকারীতা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ১২:৩৬
লেবুর শরবতে নানাবিধ উপকারীতা

ফাইল ছবি

গরমে লেবুর শরবত ক্লান্তি দূর করবে। এছাড়া নিয়মিত লেবু পানি খাওয়া শুরু করলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, লেবু শরবত লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে। ফলে লিভারের যে কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম। যা দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।

ক্ষত সারাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হজমে সাহায্য করে, ত্বক পরিষ্কারক, ওজন কমাতে, লিভার পরিষ্কার, মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে, ক্যানসার প্রতিরোধ, রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, শ্বাস কষ্টসহ বিভিন্ন ঔষধিগুণে সমৃদ্ধ লেবুর শরবত। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বুনো হাওয়া বইছে মেগানের মনে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০২ ফেরুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩০
বুনো হাওয়া বইছে মেগানের মনে

ফাইল ফটো

মেগান-কেলি প্রেম কাহিনী সারা  দুনিয়া জানে এমন একটি ঘটনা। প্রচন্ড প্রেম এক আগুনের দুটি শিখার ন্যায় ।বহুল আলোচিত  ট্রান্সফরমার ছবির অভিনেত্রী মেগান ফক্সেরআঙুলে  হীরার আংটিটা  তাদের সম্পর্কের গভীরতা জানান দেয়।  


 বাস্তবে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা ।গায়ক মেশিন গান কেলির সাথে তিনি  অভিনয় করছেন মিডনাইট ইন দ্য সুইচগ্রাস ছবিতে। অপরাধ ও থ্রিলার ঘরানার এ ছবি পরিচালনা করছেন র‍্যান্ডাল এইমেট। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয়  মার্কিন  টিভি অনুষ্ঠান ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এর জন্য মহড়াতেও অংশ নিয়েছেন দুজন। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটিতে গাড়ি থেকে নামার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন মেগান। বাঁ হাতের আঙুলে দেখা গেছে হীরার একটি বড় আংটি। ছবিটি অনলাইনে ছড়িতে পড়তেই সবাই বুঝে নিয়েছেন, মেগান-কেলির সম্পর্ক পরিনতির  দিক যাচ্ছে । প্রথম দেখার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মেগান বলেছিলেন, ‘আমার ভেতর এক রকম বুনো হাওয়া বয়ে গিয়েছিল। কী হয়েছিল, তা আমি নিজেও বলতে পারব না।’


গেল বছর  ট্রাভিস বার্কারের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে মেশিন গান কেলি গেয়েছেন ‘ব্লাডি ভ্যালেনটাইন’ গানটি। সেই গানের সংগীতচিত্রে মডেল হয়েছিলেন মেগান। ট্রান্সফরমার চলচ্চিত্রের সিরিজসহ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন মেগান। ৯ বছরেরও অধিক সময়  আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল মেগানের। সেই সময়ই  তাঁর প্রেম হয়ে যায় গায়ক কেলির সঙ্গে। যদিও নভেম্বর পর্যন্ত স্বামী ব্রিয়ান অস্টিন গ্রিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়াছাড়ি হয়নি মেগানের। তাঁদের তিন সন্তান নোয়া, বধি ও জার্নি।

কেলিও  ক্যাসি নামের এক কন্যাসন্তান এর জনক।কেলি অভিনীত ছবির নাম হলো  প্রজেক্ট পাওয়ার, দ্য ডার্ট, নার্ভসহ।এ ছাড়াও আরো  বেশ কিছু হলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি  ।  তাঁর বেশ কিছু গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম এ

মোদি অসত্য কথা বলেছেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার, ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:২৩
মোদি অসত্য কথা বলেছেন

লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুই দিনের বাংলাদেশ সফর সফল না ব্যর্থ? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে একমাত্র দিল্লির সাউথ ব্লক এবং ঢাকার সেগুনবাগিচা। কিন্তু ভারতে মোদিবিরোধী প্রতিক্রিয়া এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অবিজেপি-শাসিত সব রাজ্যের নেতারা ধিক্কার জানিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং লিখিত বিবৃতি দিয়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, মোদির বক্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, যার সহযোদ্ধা ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী- এ কথা বিশ্ব জানে, জানে বাংলাদেশ, জানে ভারতবর্ষ। সেখানে বিজেপির আরেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির কোনো ভূমিকাই ছিল না। তিনি কোনো সংগঠনও তৈরি করেননি, আর বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তান-আমেরিকা বিরোধী কোনো আন্দোলনও করেননি। 

মোদি তাঁর বক্তব্যে শুধু ইন্দিরাজিকেই অপমান করেননি, অটলজিকেও অপমান করেছেন। মোদি ঢাকায় বলেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনি সত্যাগ্রহ করেছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এমন অসত্য বিবৃতি দেওয়া দেশের পক্ষে অপমানজনক বলে মনমোহন সিং মনে করেন। মোদির তখন বয়স ছিল আঠারো কি উনিশ। তখন তিনি আরএসএস স্কুলের ছাত্র। ভারতের ইতিহাস বিকৃত করার কোনো অধিকার তার থাকা উচিত নয়। ঢাকায় তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্যে যে এ ধরনের বজ্জাতি করবেন তা ঢাকা সফরের চার দিন আগেই জানা গিয়েছিল। কারণ ঢাকা সফরের এক সপ্তাহ আগে থেকেই বিজেপি অফিস প্রচার করে মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সত্যাগ্রহ করেছিলেন। 

মনমোহন সিং তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেছেন, এ অসত্য বিবৃতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। ঢাকায় তাঁর উক্তির পরে ভারতের আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার), যে আইনটি মনমোহনের আমলেই হয়েছিল, সে আইনটিও তুলে দেওয়ার জন্য মোদি এবং অমিত শাহ আদাজল খেয়ে উঠেপড়ে লেগেছেন।

Bangladesh Pratidinমনমোহন সিং মোদির ঢাকা সফরের বিকৃতি নিয়ে এতই ক্ষুব্ধ যে তিনি মোদির উদ্দেশে বলেছেন, দোহাই আপনার, দেশের বর্তমান প্রজন্ম তো বটেই নবীন প্রজন্মের কাছেও ইতিহাস বিকৃত করবেন না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, আপনাকেও করবে না। ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ইন্দিরাজি লোকসভায় যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করছিলেন তখন অটলজি দাঁড়িয়ে বলেছিলেন (সংসদের রেকর্ড দেখতে পারেন), আপনি দেবী দুর্গা। আপনি এক অসাধারণ কাজ করেছেন। 

মোদি আপনার বিবৃতিতে তো সে কথাটি বলেননি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর আপনি বলেছিলেন আর এখনো বলছেন, আপনি গান্ধী পরিবারকে ইতিহাস থেকে পুরোপুরি মুছে দেবেন। মনমোহন সিং বলেছেন যারা ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেন তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করেন। ইতিহাস ইতিহাসই। আপনার জানা উচিত গুজরাট দাঙ্গায় শত শত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হওয়ার সময়ে সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলজি বলেছিলেন, আপনি রাজধর্ম পালন করেননি। তিনি আপনাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আপনি লালকৃষ্ণ আদবানির বদান্যতায় সেদিন গুজরাটের ক্ষমতায় থেকে গিয়েছিলেন। 

বাজপেয়িজি আমাদের সবার শ্রদ্ধার পাত্র, তাই তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে অসত্য কথা বলা শুধু অন্যায় নয়, অপরাধ। এ অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই। আপনি বাংলাদেশে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ভোটে জেতার জন্য মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। পুজো দেওয়ার অধিকার আপনার আছে, কিন্তু সে পুজো পুঁজি করে ভোটব্যাংক তৈরি বা ক্ষমতা দখলের চেষ্টার কোনো অধিকার আপনার নেই।

মোদির বাংলাদেশ সফরের এক দিন পর নিখিল ভারত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা সাংবাদিকদের ডেকে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা, ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর পুত্র এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার ইতিহাস আপনার অজানা থাকার কথা নয়। অথচ আপনি এ ব্যাপারে একটি শব্দও ঢাকায় উচ্চারণ করেননি। 

সুরজেওয়ালা আরও বলেছেন, বাজপেয়িজির প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে সংসদে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার সময় অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রথম ফোনটি পান তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে। সোনিয়া গান্ধী ফোন তুলেই অটলজিকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোথায় আছেন? কেমন আছেন? সে বছরই সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে অটল বিহারি বাজপেয়ি সাংবাদিকদের এ গোপন কথাটি উল্লেখ করে বলেছিলেন, নীতিগতভাবে আমাদের মধ্যে যত বিভেদই থাক, আমরা ভারতবাসী হিসেবে এক এবং ঐক্যবদ্ধ। দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই সংসদ হামলার সময় বিরোধী দলের নেত্রী হয়েও সোনিয়াজি আমার কুশল জিজ্ঞেস করেছিলেন। এই হলো সৌজন্য। 

রাজীব গান্ধী হত্যার পর তাঁর শোকসভায় দাঁড়িয়ে অটল বিহারি বাজপেয়ি বলেছিলেন, রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে যাবেন, তখন তিনি খবর পেলেন অটলজি খুব অসুস্থ, তাঁর বিদেশে চিকিৎসা দরকার। রাজীব অটলজিকে বললেন, আপনাকে আমার সঙ্গে নিউইয়র্কে যেতে হবে। আপনার চিকিৎসা দরকার। রাজীব গান্ধী কোনো দিন কাউকে এ কথা বলেননি। তিনি অটলজিকে সঙ্গে নিয়ে নিউইয়র্কে যান এবং তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু এ কথাটি ফাঁস করে দেন অটলজি, রাজীব গান্ধীর হত্যার পর তাঁর স্মরণসভায়। এটাই ছিল ভারতের গণতন্ত্র ও সৌজন্য।

মোদির ঢাকা সফরের পর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন বিদেশ সচিবের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা দেখেছেন নেহরু থেকে নরসীমা রাও বা মনমোহন সিং সবাই এক অসামান্য সৌজন্যবোধ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি পেশাগত কারণে নয় মাসের প্রতিদিনের বড় বড় ঘটনার সাক্ষী ছিলাম এবং আনন্দবাজারে তার রিপোর্টও করেছি। কিন্তু কোনো দিন দেখিনি জনসংঘের কোনো নেতা বা কর্মী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রাস্তায় বেরিয়েছেন। 

মোদির এ আত্মপ্রচার এবং ক্ষমতার দম্ভে ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ সবাই উদ্বিগ্ন। সবার একটাই শঙ্কিত প্রশ্ন- এ দেশটাকে মোদি-শাহরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? ক্ষমতা দখলই কি শেষ কথা? মনুষ্যত্ববোধ বলে কিছু থাকবে না? থাকবে না সৌজন্যবোধ?

লেখক : প্রবীণ সাংবাদিক [ভারত]। সংগৃহীত:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ