ঢাকা শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে রাজী ওয়াশিংটন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৩
ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে রাজী ওয়াশিংটন

ফাইল ছবি

ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহারে অবশেষে বাধ্য হল আমেরিকা। এ বিষয়ে বাগদাদ ও ওয়াশিংটন দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। বুধবার এক যৌথ বিবৃতির দ্বারা বাগদাদ ও ওয়াশিংটন তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। মার্কিন সরকার মনে করছে, ইরাকি সেনারা বর্তমানে যুদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের আমলে ইরাক ও আমেরিকার প্রথম কৌশলগত আলোচনার পর সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা হয়।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরাকে শুধুমাত্র অল্প কয়েকজন সেনা থাকবে যারা শুধু প্রশিক্ষণ দেবেন।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ইরাক থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল কিন্তু ২০১৪ সালে ইরাকে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আবারও আমেরিকান সেনা ইরাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

ইরাকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য ব্যাপক আন্দোলন ও চাপ ছিল। বিশেষ করে গত বছরের জানুয়ারিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মার্কিন বাহিনী ইরাকের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ করার পর এই চাপ 
আরও তীব্র হতে থাকে। 

মার্কিন সৈন্যদের ইরাক ত্যাগের চাপ বাড়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে মার্কিন সৈন্যদের সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও জেনারেল কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে শহীদ হন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পবিত্র আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজে ইসরাইলের বাধা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৩
পবিত্র আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজে ইসরাইলের বাধা

ফাইল ছবি

জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় শুক্রবার জুমার নামাজে ফিলিস্তিনিদের বাধা দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরাইলি বাহিনী আল-আাকসা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা ফিলিস্তিনিদের বাধা দিয়েছে। তারা বলেছে, পশ্চিমতীর ও জেরুজালেম থেকে আসা মুসল্লিদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি নেই।’

এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইলের পুলিশ। তারা বলেছে, আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ফিলিস্তিনিদের জুমার নামাজ পড়তে দেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনের প্রাচীন এই শহরটিতে শুক্রবার একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে মুসল্লিদের আল-আকসায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। তারা ফিলিস্তিনিদের বাসে উঠিয়ে দিয়ে পশ্চিমতীরে ফেরত পাঠায়। অনুরূপভাবে অবরুদ্ধ গাজা থেকেও কোনো মুসল্লিকে আল-আকসায় প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরাইলি পুলিশ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুদ্ধ থেমে গেলেও আতঙ্কে আছে ইসরায়েল


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২৪ মে, ২০২১, ১১:০২
যুদ্ধ থেমে গেলেও আতঙ্কে আছে ইসরায়েল

ফাইল ছবি

 

গোলাগুলি নেই, বোমবর্ষণও নেই। তারপরও আতঙ্ক কাটছে না। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষত মিশ্র অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক ভয় কাজ করছে ইসরায়েলের মধ্যে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের দোকান থেকে রুটি পর্যন্ত কিনছেন না ইসরায়েলি নাগরিক। ইসরায়েলির দোকানে যাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। একের অপরের প্রতি নতুন করে বিশ্বাস গড়তে অনেক সময় লাগবে।

ইসরায়েলের মিশ্র অঞ্চলের বহু মানুষ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী সমাধান নয়। মূল সমস্যার সমাধান না হলে ফের লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। সহিংসতার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেয়া যায়না।

রাজধানী তেল আবিবের প্রান্তে বহু ফিলিস্তিনি থাকেন। সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, রাস্তায় নামলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। জেরুজালেমের পূর্ব অংশের ছবিও একই রকম। সেখানেও বহু ফিলিস্তিনি বাস করেন। কিছুদিন আগে সেখান থেকে হাইফা শহরে গেছেন সামাহ।
 
সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, জেরুজালেমে নিজের কৌমের মধ্যে থাকার সুযোগ থাকলেও, হাইফাতে সেই সুযোগ নেই। হাইফার জনগণকে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয়।

অভিযোগ, পুলিশও বিদ্বেষপূর্ণ মনোবভাব দেখায়। রাস্তায় বের হলেই নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বস্তুত, লড়াইয়ের সময় এই অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীই একে অপরের উপর আক্রমণ করেছিল।

এদিকে, দুই দিন যুদ্ধবিরতির পর খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির মাউন্ট। ওই মন্দিরের পাশেই আল আকসা মসজিদ। পুলিশ দর্শনার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছে মন্দিরে। এই অঞ্চলটিতে গত সপ্তাহে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল এবং মসজিদ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

মুসলমানদের কাছে এই অঞ্চলটি অনেক পবিত্র। তাই নতুন করে মসজিদ খুলে দেওয়ার ফলে সেখানে সামান্য উত্তেজনা হয়েছিল। তবে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি দুই অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক