a
ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, এসএসসির সময় আমরা এটা করেছিলাম। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা দুই বেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে দেরিতে শুরু করলে সমস্যা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি অনেক বেশি ভিড় ও জ্যাম হয়। পরীক্ষার্থীদের অনেক আগে বাসা থেকে বের হতে হয়। দেরি হয়ে গেল কি না, তাদের মধ্যে অ্যানজাইটি কাজ করে। সে জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট করলে ভালো হয়। কিন্তু দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে সেটা আর করা সম্ভব হয়না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা খেয়াল করেছি প্রতি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড়। পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
তিনি বলেন, আগামী বছর চেষ্টা থাকবে এইচএসসি এপ্রিলে করার। এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে। এসএসসি চেষ্টা করব আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
তিনি আরও বলেন, এবার নতুন কিছু সমস্যা হবে না বলে আশা করি। পুরনো যে সমস্যা, তা যাতে না ঘটে, সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাঁচ বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁস নেই। গুজবও কমে এসছে। আশা করি এবারও থাকবে না। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটি উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির পরবর্তী সভায় এ ফলাফল প্রকাশ ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হবে।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ আগস্ট সোমবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোনাজ আহমেদ এসব তথ্য জানান।
উপাচার্য মোনাজ আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক আবেদন থেকে শিক্ষা বোর্ড ও টেলিটকের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নম্বর সমন্বয় করে আমাদের নির্দেশিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত আবেদনের ফলাফল প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। ফলাফল প্রকাশের পরে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির (২০২০-২১) উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটির পরবর্তী সভায় এ ফলাফল প্রকাশ ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হবে।’
ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে, এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, ‘পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকলে শিগগিরই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছি অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার।’
এ বিষয়ে সমন্বিত ভর্তি কমিটি উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সপ্তাহের মধ্যে বা আগামী সপ্তাহে সভা ডেকে প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল, চূড়ান্ত আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
ভর্তি নির্দেশিকা অনুসারে, প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশের পরে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য নির্বাচিত আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আবেদন সম্পন্ন করার আবেদন ফি ৬০০ (ছয় শত) টাকা আবেদনকারীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পছন্দের ক্রমানুসারে কমপক্ষে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র সিলেক্ট করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিকের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো অনলাইনে নয়, সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে।
এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সদ্য গঠিত কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত সরকার । গত (২৪ জুলাই) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সুব্রত সরকার কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নব- মনোনীত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার এর বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া (পশ্চিম) ইউনিয়নের হরিণা বাজার খোলা গ্রামে।
সুব্রত সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। সুব্রত সরকার জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন ছাত্রলীগের কর্মী। আমি সততা এবং নিষ্ঠার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাব।