করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
করোনা মহামারীতে পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই ঢাকা শিক্ষা বোর্ড উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে। আগামী ২৯ জুন থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফরম পূরণ করতে হবে বলে আজ শুক্রবার শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এবার নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে সেজন্য ফি আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। ফরম পূরণের জন্য বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা ফি দিতে হবে। এর অতিরিক্ত ফি আদায় করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও খুলতে না পারলেও এবার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রকাশ করা হয়েছে।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক রিসোর্ট কান্ডের পর হঠাৎ ধাক্কা খেয়েছে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম। পাশাপাশি সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা আটক হয়েছেন। অনেকে গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন। এমতাবস্থায় সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটাতে নানা ধরণের উদ্যোগী নিচ্ছেন হেফাজত ইসলাম।
ধরপাকড়, মামলা, গ্রেফতার ও সরকারের চাপ মোকাবিলায় নানা তৎপরতা শুরু করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তারা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন, জেলায় জেলায় আইনি সহায়তা সেল গঠন এবং বিভিন্ন দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে। এছাড়া সমমনা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে বলে জানা গেছে।
রবিবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে হেফাজতের কমিটি রয়েছে। এর বাইরে সারাদেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করাসহ সংগঠনকে এগিয়ে নিতে ‘সাংগঠনিক সেল’ গঠিত হয়। এই সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসেনকে। তাদের মধ্যে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পর গ্রেফতার হন।
জুনায়েদ আল হাবিব বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, সাংগঠনিক সেলের মাধ্যমে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সারা দেশের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এ জন্য রোববারের সভায় তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।