রাজধানীর ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক এসি। এতে আগুনের সঙ্গে প্রচণ্ড ধোঁয়া তৈরি হয়েছে। বাইরে থেকেও শোনা যাচ্ছে এসি বিস্ফোরণের শব্দ। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য এখন কোনও ব্যবসায়ীকে মার্কেটের ভেতর প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ২৮টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার জানান, খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া ব্যবসায়ীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহায্য করছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে একের পর এক আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় মন্ত্রী ও প্রার্থীর একাধিকার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব ঘটনায় বিব্রত কমিশন ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লাকে নির্বাচন কমিশনে তলব করেছে।
আজ রবিবার বেলা ৩টায় সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুই দফা আচরণবিধি তিনি ভঙ্গ করেছেন বলে গণমাধ্যমের ফুটেজ দেখে আমাদের প্রতীয়মান হয়েছে। সেজন্য তাকে আমরা নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলেছি। এক্ষেত্রে তিনি যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আর যদি না দিতে পারেন, তবে কিছু না কিছু শাস্তি তো হবেই। কী শাস্তি হবে তা নির্ভর করবে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায়। তিরস্কার যেমন শাস্তি তেমনি জেল-জরিমানা এবং প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও আছে আইনে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পাঁচ সিটির ভোট সুষ্ঠু করতে বেশ তৎপর নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই ভোটে বিএনপি অংশ না নিলেও ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্য কোনো কমতি নেই কমিশনের।
ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় পার্টি-জাপার মহাসচিব বরাবর আচরণবিধি প্রতিপালনে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ সিটির আগে অনুষ্ঠিত গাজীপুরে বিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের কারণে গত ৩০ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিল ইসি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ইসিতে তলব করা হয়। এরপরও আরেকদফা বিধিভঙ্গ করেন সংশ্লিষ্ট তিন জনই।
গত বৃহস্পতিবার ছুটি রিসোর্টে গাজীপুর বাড়ীয়া ইউনিয়নের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লা অংশ নেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্টরা প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করেন। ঐ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জরুরি বৈঠকে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য আজমত উল্লা খানকে ফের তলবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইসি।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন; যেখানে প্রার্থী নিজে উপস্থিত ছিলেন। এটি সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) ২০১৬ বিধি-৫-এর পরিপন্থি বলে জানিয়েছে ইসি। এজন্য বিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান। একান্ত সচিবের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পুনরায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে। সূত্র: ই্ত্তেফাক
আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালেবান। দেশটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান’। শিগগিরই দখল করে নেওয়া কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে এই ঘোষণা দেবেন তালেবান নেতারা।
এদিকে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তালেবানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
রাজধানী কাবুল ‘পতনের’ মুখে তিনি পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নেন। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আশরাফ গনি। অবশ্য, তিনি দাবি করেছেন, রক্তবন্যা এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে গনি লেখেন, ‘রক্তবন্যা এড়ানোর জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ভালো বলে মনে হয়েছিল।’
এদিকে, আফগান রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালানোর পরই কাবুলে ঢুকে পড়ে তালেবান। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির দুই শীর্ষ কমান্ডার দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের দখল নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, মধ্যরাতের কাছাকাছি যে আল-জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে যে ফুটেজ দেখানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে যে কাবুলে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে ভিড় করে আছে অসংখ্য তালেবান নেতা।
একটি সংবাদসংস্থা তালেবানদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শিগগিরেই রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ থেকে ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এর ঘোষণা করা হবে।