a পি কে হালদার জেরার মুখে দফায় দফায় কাঁদছেন
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পি কে হালদার জেরার মুখে দফায় দফায় কাঁদছেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৫ মে, ২০২২, ০৭:৪৭
পি কে হালদার জেরার মুখে দফায় দফায় কাঁদছেন

ফাইল ছবি: পি কে হালদার

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) পি কে হালদারকে জেরা করছে। পি কে হালদারের কান্নার তথ্য ইডি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আজ রোববার দুপুরে এক ইডি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করার আগে থেকেই জেরা শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর ২ ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। এরপর আবারও ম্যারাথন জেরা শুরু হয়েছে। জেরার মুখে তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পি কে হালদার।

আজ রোববার সকালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এর ফলে তাকে রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।

এর আগে গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার। শনিবার ইডি আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এছাড়া প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। প্রণব সেখানে সরকারি চাকরি করেন। পরে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। সঞ্জীব বাংলাদেশ গ্রেপ্তার সুকুমার মৃধার জামাই।

ইডির অভিযানে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ২০টি বাড়িসহ পি কের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি জব্দ করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হস্তাক্ষরে অপরাধীদের আচরণ নির্ণয় করা যাবে


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২, ০৫:০০
হস্তাক্ষরে অপরাধীদের আচরণ নির্ণয় করা যাবে

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে "অপরাধপ্রবণ ব্যক্তির হাতের লিখার বৈশিষ্ট্য" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাতের লেখার মধ্যে মানুষ তার অজান্তেই নিজের চেতন ও অবচেতন মনের আচরণ বা অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক বা গ্রাফোলজিস্ট হাতের লেখার গঠনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে মানুষ এর আচরণ বা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলতে পারে।

"হ্যান্ড রাইটিং ট্রেইটস অফ ক্রিমিনাল টেন্ডেন্সিস" - এই শিরোনামে ১২ই জুন (সোমবার) রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি  এর সহযোগিতায় একটি তথ্যবহুল ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার  মনিরা নাজমি জাহান।

উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশ ক্রিমিনোলজি অ্যাসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক  হিসেবে যুক্ত আছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর সভাপতি ফারিয়া আনজুম খান ধ্রুবা, সহ -সভাপতি  তানভির হাসান তালুকদার শাওনসহ অন্যান্য সদস্য।

আজকের প্রোগ্রামের ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মিরাজ হোসাইন।  তিনি একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক। এর পাশাপাশি তিনি একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবেও কর্মরত আছেন।  

হাতের লেখার ধরণ পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে কিভাবে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত করা যায় তা ছিল আজকের কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য। মোঃ মিরাজ হোসাইন বলেন, "প্রায় ৫০ এর বেশি হাতের লেখার বৈশিষ্ট্যের চিহ্নিত করা হয়েছে  অপরাধীদের হাতের লেখা গবেষণা করে। এরমধ্যে  কারো কারো হাতের লেখায় যখন ৭-৮ টি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে গ্রাফোলজিস্টরা শনাক্ত করেন"।

মনিরা  নাজমি জাহান বলেছেন, "প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন করে গ্রাফোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন যাতে করে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ ও মানসিক অবস্থা  শনাক্ত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কর্মচারী নিয়োগ এর ক্ষেত্রে হাতের লেখা বিশ্লেষণ  করে ব্যক্তিত্ব অনুধাবন করে নিয়োগ দিলে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে"।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা বাংলা হাতের লেখার উপর গবেষণা করা এবং দেশে গ্রাফোলজিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া  আরো জোরদার করার আহবান জানায়। অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে একাংশ পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এবং আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে প্রধান অতিথি ও আজকের ট্রেইনার কে ক্রেস্ট দ্বারা সম্মান জানানোর মাধ্যমে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি


খোরশেদ আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২৪, ০৯:৫২
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি

ফাইল ছবি


নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথে অন্তরায় যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি’।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভা থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

আজ শুক্রবার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামিনা লুৎফা নিত্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির গঠনের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে নিবর্তনমূলক ও জনবিরোধী আইন বাতিল করতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, শ্রমিক ও কৃষকের অধিকার রক্ষা করতে এবং দখলদারত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক দাবিতে এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে যাবে।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, প্রতিটি গণ–অভ্যুত্থানের পর পুনরায় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়। মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। এবারের গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব শক্তির একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জরুরি। তাই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সীমা দত্ত, মাহা মীর্জা ও কল্লোল মোস্তফা।

সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক মামুন আল রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা রিতু, স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, আশরাফ কায়সার, বিধান রিবেরু, আনিস রায়হান, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, এ এস এম কামাল উদ্দীন, আফজালুর বাসার, মযহারুল ইসলাম বাবলা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও শিল্পী মোস্তফা জামান, শিল্পী অরুপ রাহী, মফিজুর রহমান লাল্টু, বিথী ঘোষ, সুষ্মিতা রায় সুপ্তি, আজিমুন নুজহাত মণিষা, ওমর তারেক চৌধুরী, জামশেদ আনোয়ার তপন, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, কামার আহমাদ সাইমন, অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, বাকী বিল্লাহ, জয়দীপ ভট্টাচার্য, নাসিমুল খবির ডিইক, তসলিমা আক্তার লিমা, জলি তালুকদার, আমেনা খাতুন, সুনয়ন চাকমা, হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া, মানস নন্দী, শামীম ইমাম, সত্যজিৎ বিশ্বাস, ইকবাল কবীর, আফজাল হোসেন, রাশেদ শাহরিয়ার, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, রাগিব নাঈম, সালমান সিদ্দিকী, দিলীপ রায়, সৈকত আরিফ, সায়েদুল হক নিশান, অঙ্কন চাকমা, তাওফিকা প্রিয়া প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - অপরাধ