a
সংগৃহীত ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের শিক্ষাসমগ্রী ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে টিএসসির জনতা ব্যাংকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় টিএসসিতে অসহায়দের মাঝে খাবার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করার কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকনে। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর।
এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমানসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
হামলার বিষয়ে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, খাবার ও ত্রাণ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরুর আগে আমাদের নেতাকর্মীরা টিএসসি এলাকায় একত্রিত হলে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিজানুর পিকুলের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে ২০ জনের বেশি চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
এই ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিছিল করেছে বলে জানা গেছে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি:মুক্ত সংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করানোকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের টিএসসিতে এ ঘটনা ঘটে। শুরুতে ১৫ ব্যাচের মধ্যে মারামারি সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে বড়রাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই গ্রুপের ৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করাকে কেন্দ্র করে সভাপতি গ্রুপের ১৫ ব্যাচের একজনকে টিএসসিতে মারধর করে। পরে সভাপতি প্যানেলের সিনিয়র কয়েকজন নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের দুইজনকে মারধোর তরে। ঘটনাটির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লে পুরান ঢাকার মালিটোলা পার্কে দুই গ্রুপ অবস্থান নেয় এবং তাদের মধ্যে আবার মারামারি শুরু হয়।
এতে সভাপতি গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গাজী মো. শামসুল হুদা ও খাইরুল আমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বারেক, ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. সাঈদ গুরুতর আহত হয়।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ গ্রুপের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেরাজ হোসাইন আহত হয়। সবাইকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের লাঠি হাতে শোডাউন দিতে দেখা যায়।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বারেক জানান, আমরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে মালিটোলা পার্কের সামনে সভাপতির জন্য অপেক্ষা করার সময় ১২ ব্যাচের ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত, শিশির ও মারুফের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, যারা মারামারি করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো অবগত নই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মারামারিতে জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করা হয়েছে, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনার পর প্রথমবারের মত দুই গ্রুপের এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। এনিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিরূপ মন্তব্য করেছে।
ফাইল ছবি
নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। পাইপ লাইন পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান এন্তসোগ নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। খবর আল জাজিরার।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ইউরোপে মন্দা দেখা দেওয়া এবং অঞ্চলটির ধনী কিছু দেশে গ্যাসের রেশনিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম জানায় তারা তিনদিনের জন্য নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইন দিয়ে গ্যাস পাঠানো বন্ধ করে দেবে। ৩১ আগস্ট থেক ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাইনে রক্ষণাবেক্ষণ চালানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
আর গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউরোপে ইলেকট্রিসিটির বাজারে আরও সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ বাজার দুরঅবস্থার মধ্যে আছে। সূত্র: আল জাজিরা