a
ফাইল ফটো:
ইন্দোনেশিয়ায় গিরিখাতে শিক্ষার্থীবাহী বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২৭ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ মার্চ) দেশটির জাভা দ্বীপের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উদ্ধারকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পশ্চিম জাভায় ৬৫ ফুট নিচু গিরিখাতে বাসটি পড়ে এবং উক্ত হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্পুত্নিক নিউজ ও জাকার্তা গ্লোবাল নিউজপেপার তথ্য অনুযায়ী, বাসটিতে শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষক মিলিয়ে মোট ৫৮ জনকে নিয়ে প্রদেশের সুবাঙ শহর থেকে তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্যে তাসিকমালায়া যাচ্ছিল।
স্থানীয় জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে যে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কী কারণে বাসটি গিরিখাতে পড়ে গিয়েছে তা জানা যায়নি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে গাড়িটির ফিটনেসের কাগজ হালনাগাদ করা ছিল না বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
ফাইল ছবি
তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে যাত্রা করেছে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার (২৮ আগস্ট) এমন ঘটনা ঘটলো। এ নিয়ে চরম আপত্তি জানিয়ে আসছে চীন। পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ গুলোকে পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে চীন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবার যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা জানিয়েছে মার্কিন নৌ বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ‘ইউএসএস অ্যান্টিটাম’ এবং 'ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল' রুটিন অনুযায়ী তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রণালি দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে মাত্র। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা পরিচালনা করা হয়েছে।
চীনের হুঁশিয়ারি উপক্ষে করে চলতি মাসে তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর জেরে তাইওয়ানকে ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করে চীনা সামরিক বাহিনী। এতে অঞ্চলটিতে যুদ্ধাব্স্থা তৈরি হয়। এদিকে তাইওয়ানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সম্প্রতি নিয়মিত তাইওয়ান প্রণালিতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডার মতো দেশগুলোর যুদ্ধজাহাজ। যদিও এসব এলাকা নিজেদের দাবি করে আসছে বেইজিং। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
কবিতার ছুটি
কবি শহীদুল্লাহ আনসারী
ভাষা আর আশা নিয়ে আজ বড় দৌড় ঝাঁপ বর্ণের
হাতে মহা—ধন ইমিটেশন চকচকে ঠিক যেন স্বর্ণের।
কেউ দেখেন স্বপ্নের বালিহাঁস বালিঘাটে সারারাত
নিঘুর্ম—ভাবনায় হিরে—মতি—জহরত পাওয়া যেন ডালভাত।
ডিম পাড়ে হিমশীতে ঘর বাঁধে বালুময় নির্জলা ব—দ্বীপে
সুর বাজে জাহাজের মাস্তুলে মগ্নতায় রংময় সে শিপে,
রাতারাতি বড় হবার অসম মাতামাতি দেখে কাঁপে বুকটা
চারিদিকে হানাহানি কানাকানি কীভাবে সারাবে এ রোগটা!
কারও আজ মন নেই, সত্য ও সুন্দর পুজারির ধন নেই
কবিতারা মার খায় সবখানে, কোথাও বা পারখায় শুরুতেই,
সত্য ও সুন্দরের কথা বলে। বিবেকের দংশনে রাতারাতি
মরে কেউ। আবার মতের বিভেদ নিয়ে লেগে যায় হাতাহাতি।
কবিতার রাজ্যে অরাজকতা দেখে কেউ মরে যায় লজ্জায়
কেউ কেউ মানসিক রোগি হয়, পঁচে গলে মিশে রোগ—শয্যায়,
ছন্দের দ্বন্দ্বে কাঁটাঘার গন্ধে কবিতাকে কবিতাই চেপে ধরে টুটি
দেখে শুনে গদ্যের বীজ বুনে মঞ্জুর করে দিলাম কবিতার ছুটি।