a
ফাইল ছবি
মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনে আজ রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান।
রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় বিকেলে। অভিযান চলাকালীন কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনে সেটব্যাক ও ভয়েড দখল করে ইমারতের নির্মাণ কাজ করায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক জোন-৬/১) এর মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করে। কয়েকটি ভবনের মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে তারা পরবর্তীতে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ না করে।
মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার সাব্বিরুল ইসলাম , প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমরান হোসেন, বেলাল হোসেন ও মোঃ মোত্তালিব হোসেন ও রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া ও তার পরিবার
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শুক্রবার বিকেলে জানান তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তিনি পরিবারকে নিয়ে আশ্রয়ের জন্য আমেরিকান দূতাবাসে অবস্থান করছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হাজির হয়েছি। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরে যেতে দেননি। মূল ফটকের পাশে একটি কক্ষে আমাদের বসতে দিয়েছেন।
এরপর বিকাল পাঁচটার দিকে আবারও ফোন দিলে এমরান জানান, এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। শুক্রবার সকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২–এর ৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগ আদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এ বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’
শতাধিক নোবেলজয়ীর ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে- এমন দাবি করে এমরান আহম্মদ বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’
এর পরদিন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি।
ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতির কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্য কোনো পক্ষকে খুশি করার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এটা বলেছেন। নিশ্চয়ই এখানে তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল।
এরপর বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশনা আসে।
এদিকে পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে জানান, তিনি আশ্রয়ের জন্য আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই সুযোগকে অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, এই সুযোগ অর্থ পাচারের মতো অপরাধকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার নামান্তর। এতে অর্থ পাচারসহ সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা প্রদান। অথচ অর্থ পাচার রোধ আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার গুরুতর অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচার করা অর্থ বাজেয়াপ্ত এবং তার দ্বিগুণ জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
পাচার করা অর্থ বৈধ করার সুযোগকে কালোটাকা সাদা করার বেআইনি সুযোগের ধারাবাহিকতা বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, বারবার সুযোগ দিয়েও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি। যাঁরা অর্থ পাচার করেছেন, তাঁরা এ ধরনের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত নিয়ে আসবেন, এ রকম দিবাস্বপ্নের কোনো ভিত্তি নেই। অর্থ পাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার আরও বিস্তৃতি পাবে। সূত্র: প্রথম আলো