a
সংগৃহীত ছবি
আজ (শুক্রবার) নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। অন্যান্য বছর বাংলাদেশে দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়ে থাকে। এবার করোনার কারণে দিবসটি সীমিত আকারে পালন করা হবে। ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি দেশে পালিত হয়ে আসছে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সকল নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশ ম্যাটারনাল মর্টালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস), স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসভিআরএস) এবং ইউএন (ইউনাইটেড নেশন) ইস্টিমেট সূত্রে জানা গেছে, দেশে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। ৯০-এর দশকে প্রতি এক লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ৫৭৪ জন সন্তানসম্ভবা নারীর মৃত্যু হতো। ২০১৯ সালে যা কমে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে দাঁড়ায়। সে হিসাবে ৯০-এর দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যু ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।
আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু কমলেও এখনও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি বছর চার হাজার ৭২০ জন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ জন অর্থাৎ প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যু হার লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গর্ভবতী মায়ের সেবা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের। একইসাথে গর্ভবতী মায়েদের ভারী জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টিকা নেয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান অধিদফতরের।
ফাইল ছবি
কোভিড আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে ২/৩ দিন ভর্তি থাকতে হবে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ দলটির নেতৃবৃন্দ সেখানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে অনেক ছবির মধ্যে একটি ছবি সবার নজর কাড়ে।
তাতে দেখা যাচ্ছে হলুদ পোশাকে হুইল চেয়ারে বসা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাশে হাঁটু গেঁড়ে বসে আছেন এক নারী। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মী।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মাথায় পরম মমতায় হাত রেখে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যকর্মীর মাথায় খালেদা জিয়ার আশির্বাদের ওই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবির প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
ভাইরাল হওয়া ছবিটি বিএনপির ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা হয়। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়- ‘মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া চেকআপের জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে একজন স্বাস্থ্যকর্মীর ফটো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল কনটেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেই স্বাস্থ্যকর্মীর মাথায় হাত রেখে দোয়া করছেন।’
এই পোস্টের নিচে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মহানুভবতার প্রশংসা করে অনেক কমেন্ট করেছেন। নেত্রীর দ্রুত সুস্থতার জন্য অনেকে দোয়া করেছেন।
তায়েফ হাসনাত নামের একজন লিখেছেন, ‘মানুষ দেশনেত্রীকে কতটা ভালোবাসে, এ ছবি তার প্রমাণ। ম্যাডাম করোনায় আক্রান্ত, তারপরও একজন নার্স উনার হাত মাথায় নিয়েছেন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে।’
পার্থ হালদার নামের একজন লিখেছেন, ‘ভগবানের কাছে আকুলভাবে প্রার্থনা করছি। ভগবান দেশমাতাকে সুস্থ করে দাও।’
ফাইল ছবি: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট এবং আইন অমান্য করে ভাংচুর ও আক্রমণ করা হলে সরকার অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দেখাচ্ছে না।
আজ রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আয়োজিত ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা উদ্ধোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে 'নতুন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ'। ভৌগলিক অবস্থান, সহজলভ্য, উৎপাদনশীল ও সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি এবং পরিমিত উৎপাদন ব্যয়ে এশিয়া এমনকি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষণীয় ক্ষেত্র।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির বক্তব্য রাখেন। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন