a
ফাইল ছবি
টানা চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদের নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা এবং উপনেতা হয়েছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল এ সিদ্ধান্ত নেয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদ নেতা ও উপনেতার নাম প্রস্তাব করেন। সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।
এদিকে সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। স্পিকারের নাম প্রস্তাব করেন চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন এবং তাতে সমর্থন দেন সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া বর্তমান সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবেও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে
উপমহাদেশের দুই মহান নেতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী স্মরণে ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যৌথভাবে শুক্রবার এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের পর এ প্রদর্শনী যাবে জাতিসংঘে। এরপর ২০২২ সালে কলকাতায় প্রদর্শিত হবে।
প্রদর্শনী উদ্বোধনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উভয় প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন।
ফাইল ছবি
আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা।।
আজ সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ বাঙালির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে পান। সূত্র: ইত্তেফাক