a
ফাইল ছবি
চীনের মহড়ার জবাব দিতে এবার হাউইটজার কামান নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কীভাবে চীনের সেনা বাহিনীকে মোকাবেলা করা যায় তা নিয়েই মঙ্গলবার থেকে তাইওয়ান মহড়া শুরু করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সামরিক মহড়ায় ‘লাইভ ফায়ার ড্রিল’ অর্থাৎ আসল গোলা ছুঁড়ে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির গোলন্দাজ বাহিনী।
এ ব্যাপারে তাইওয়ানের সেনার অষ্টম আর্মি কোরের মুখপাত্র লউ ওয়েই জাই জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিংটাং প্রদেশে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন চীনের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হবে।
তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪০টি হাউইটজার কামান ও এক হাজারেরও বেশি সেনা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসার পর তাইওয়ানকে ঘিরে ছয়টি স্থানে সামরিক প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে চীন।
সাবমেরিন দিয়ে কিভাবে হামলা করা হবে এবং সমুদ্রে কিভাবে হামলা করা হবে সোমবার এ বিষয়ে মহড়া দিচ্ছে চীনের সেনারা। পিপলস লিবারেশন আর্মি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পর্যায়ে সব ধরনের আলোচনা স্থগিত করে দিয়েছে চীন। এ বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আটলান্টিক মহাসাগরে ইরানের নৌবহরের উপস্থিতিতে শত্রুরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সোমবার তেহরানে এক সামরিক অনুষ্ঠানের অবকাশে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাদি এমন মন্তব্য করেছেন। খবর পার্সটুডের
তিনি বলেন, এমন সময় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যখন আটলান্টিক তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইরান ওই মহাসাগরে নৌবহর পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের আওতায় ইরান নিজের কৌশলগত অধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে এ তৎপরতা চালাচ্ছে এবং এ কাজ অব্যাহত থাকবে।
সোমবারের ওই সামরিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ডেস্ট্রয়ার ‘দেনা’ এবং মাইনহান্টার ‘শাহিন’ আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ইরান সম্প্রতি আটলান্টিক মহাসাগরে পোর্ট শিপ ‘মাকরান’ এবং ডেস্ট্রয়ার ‘সাহান্দ’ পাঠিয়েছে।
ফাইল ছবি: মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বৈঠক
কোটাবিরোধী আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে স্থবির হয়ে পড়ছে পুরো ঢাকা শহর ।
অপরপক্ষে, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অনুমান করা হয় এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন সরকারের পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সামছুন্নাহার চাঁপা এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
কী বিষয়ে আকস্মিক এই বৈঠক হয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বৈঠকে কোটা আন্দোলন মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বলে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বের হন। তবে তিনি এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারাও বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি৷ এটা রুটিন মাফিক কথাবার্তা।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচলা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। আমরা নিয়মিতই বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো নিয়ে এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার মতো বিষয় নয়।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করব না। সেটা আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইনা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন