a
ফাইল ছবি
গতকাল (০৮ মে ২০২১ খিস্টাব্দ, ২৫ রমজান ১৪৪২ হিজরি, রোজ শনিবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের বার্ষিক দোয়া মাহফিল জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও রোভার স্কাউট গ্রুপের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং প্রধান স্কাউট ব্যক্তিত্ব হিসেবে মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান রিপন, জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) বাংলাদেশ স্কাউটস উপস্থিত ছিলেন।
গ্রুপ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান খন্দকার, এলটি এর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র রোভার মেট মোঃ কামরুল হাসান এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবু লায়েক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন সহ বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় উপকমিশনার (আন্তর্জাতিক) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খান মো. পীর-ই-আজম আকমল (পিআরএস), বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভারের সাবেক সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সম্পাদক মোঃ ওমর আলী এলটি ও বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভার এর সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম পিআরএস।
এছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার-ইন-কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সহ গ্রুপের সাবেক এবং বর্তমান রোভার ও গার্ল-ইন-রোভারবৃন্দ।
এসময় ইসলামি আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল হোসাইন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট পরিবারে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং কোভিড সহ বিভিন্ন রোগ যারা আক্রান্ত তাদের আরোগ্য সহ দেশ ও বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ হেমায়েত হোসাইন হিমু, সাবেক সিনিয়র রোভার মেট ও সভাপতি জবি রোভার-ইন-কাউন্সিল।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বার্ষিক দোয়া ও ইফতার মাহফিল একসাথে রোভার ডেনে হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতি , সরকারের বিধিনিষেধ ও সকলের স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে অনলাইনে আয়োজন করা হয়।
ফাইল ছবি
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটি উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির পরবর্তী সভায় এ ফলাফল প্রকাশ ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হবে।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ আগস্ট সোমবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোনাজ আহমেদ এসব তথ্য জানান।
উপাচার্য মোনাজ আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক আবেদন থেকে শিক্ষা বোর্ড ও টেলিটকের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নম্বর সমন্বয় করে আমাদের নির্দেশিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত আবেদনের ফলাফল প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। ফলাফল প্রকাশের পরে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির (২০২০-২১) উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটির পরবর্তী সভায় এ ফলাফল প্রকাশ ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হবে।’
ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে, এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, ‘পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকলে শিগগিরই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছি অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার।’
এ বিষয়ে সমন্বিত ভর্তি কমিটি উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সপ্তাহের মধ্যে বা আগামী সপ্তাহে সভা ডেকে প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল, চূড়ান্ত আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
ভর্তি নির্দেশিকা অনুসারে, প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশের পরে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য নির্বাচিত আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আবেদন সম্পন্ন করার আবেদন ফি ৬০০ (ছয় শত) টাকা আবেদনকারীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পছন্দের ক্রমানুসারে কমপক্ষে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র সিলেক্ট করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিকের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো অনলাইনে নয়, সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে।
এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
ফাইল ছবি
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গতরাতেও বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সঙ্গে সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে আছে সীমান্তবাসীরা। বিদ্রোহীদের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার জান্তা সরকারের ১০৫ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য।
তবে ভোরের দিকে গোলাগুলির শব্দ কিছুটা কমেছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির তেমন শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তবাসীরা।
এদিকে মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান আমি (এএ) বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু সীমান্তের ৬৮ জন এবং ঘুমধুম সীমান্তের ৩৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য। আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধও রয়েছে। গুলিবিদ্ধ আহত দুজনকে কক্সবাজারে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও আনু মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া গুলিতে রোববার দৃই বাংলাদেশী নাগরিক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল সীমিত করেছে প্রশাসন। বিদ্রোহীদের তোপের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু সীমান্তের ওপারের মিয়ানমার ক্যাম্পের ৬৮ জন এবং ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ক্যাম্পের ৩৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরকান আর্মী (এএ) মধ্যে তুমুল সংঘাত চলছে।
গত শনিবার থেকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুটি ক্যাম্প দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে ক্যাম্পগুলোর কিছুটা অংশ দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে মিয়ানমার সরকারি বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে বোমা ছোড়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সতর্কবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বিজিবি। সূত্র: যুগান্তর