a কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলার আবেদন আদালতে
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলার আবেদন আদালতে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১, ১০:৪৯
কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলার আবেদন আদালতে

ফাইল ফটো: কার্টুনিস্ট কিশোর

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দশ মাস ধরে কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।

বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি এই আবেদন করেন।

কিশোরের বড় ভাই আহসান কবির বলেন, ২০২০ সালের ২ মে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার ভাইকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তিন দিন নির্যাতনের পর তাকে ৫ মে র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি বলেন, কিশোরকে ২ মে কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তী তিন দিন কারা নির্যাতন করেছিল, তা যেহেতু তারা জানেন না, তাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন তারা।

গত বছর ৫ মে কার্টুনিস্ট কিশোর এবং অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‌্যাব। পরদিন ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় আরও দু’জন গ্রেপ্তার হন। তবে তারা জামিনে মুক্ত হলেও কিশোর আর মুশতাকের জামিন মিলছিল না।

ছয়বার জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে মারা যান মুশতাক। এর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে ৩ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে জামিন মেলে কিশোরের। পরদিন কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে ছাড়া পান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে আইনমন্ত্রীর সম্মতি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
সোমবার, ০৮ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৮
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে আইনমন্ত্রীর সম্মতি

ফাইল ফটো:খালেদা জিয়া

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ফের ছয় মাস বাড়ছে।  খালেদার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বৃদ্ধির এই মতামত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে গত বছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি দেওয়া হয়।

শর্তগুলো:
 ১। খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।

২। পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।

৩। নিজ বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও সাজা মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম কে আলম

যে কোনো সাফল্যের পেছনে ঐক্য একান্তভাবে অপরিহার্য


কর্নেল আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৫৩
যে কোনো সাফল্যের পেছনে ঐক্য একান্তভাবে অপরিহার্য

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ঐক্য জীবনের প্রতিটি স্তরে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি এবং এটি একটি ক্লাব থেকে শুরু করে একটি জাতিরাষ্ট্র পর্যন্ত সাফল্যের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। যে কোনো সাফল্যের জন্য ঐক্য অপরিহার্য। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছি।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের মধ্যে এক নতুন ঐক্যের জন্ম দিয়েছে। আমরা আবারও ১৯৭১ সালের মতো জাতীয় ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছি এবং এটি জাতির জন্য মহান বিজয় এনেছে, যার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে।  

ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন সহজ ছিল না, কিন্তু জনগণ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শক্তি ও জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ইসলামী শক্তি অত্যন্ত আন্তরিক ও সংকল্পবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।  

বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কখনোই ফ্যাসিস্ট সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছাড়া ছেড়ে দেয়নি এবং গত পনেরো বছরে তাদের অনেক নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ছিল এবং তারা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিসর দেওয়া হয়নি; বরং পুরো ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তারা বাড়িতে বন্দী থাকতে বাধ্য হয়েছেন। বিনা কারণে কয়েকজন শীর্ষ নেতা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন।  

হেফাজতে ইসলামের অনেক নেতা-কর্মীকে ফ্যাসিস্ট সরকার হত্যা করেছে। অন্যান্য ইসলামী সংগঠনের আলেমগণও এই সময়ে অত্যন্ত কষ্ট ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।  

তবে কোনো কিছুই জনগণের মনোবল ধ্বংস করতে পারেনি এবং পুরো জাতি ধৈর্যের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের অপেক্ষায় ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে এটি সম্প্রতি ঘটেছে এবং তিনি আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছেন যাতে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অত্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং এটি জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে গতি পায়। এরপর রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দেয় এবং ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন সম্ভব হয়।  

আমরা জাতি হিসেবে সম্প্রতি অর্জিত জুলাই-আগস্ট বিজয়কে হারানোর সামর্থ্য রাখি না। বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র সমাজ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার— সকলের উচিত এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকা, যা ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত এই বিজয়কে নষ্ট করতে পারে।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণা যত দ্রুত সম্ভব দেওয়া উচিত ছিল এবং সবকিছু সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা যেত। এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি, এবং এখনই সময় নষ্ট না করে এটি করা উচিত।  

তবে এই ঘোষণা অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে হওয়া উচিত এবং জাতীয় সিদ্ধান্তে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।  

সমস্ত রাজনৈতিক বিষয় এবং সংস্কারের ব্যাপারগুলো পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। কারণ, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক শত্রুরা আমাদের ঐক্য ধ্বংস করার জন্য সক্রিয় রয়েছে। ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য আমাদের নিজেদের ভুলের কারণে যেন ভবিষ্যতে নষ্ট না হয়।  

লেখক: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আইন