a পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪
পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে

ফাইল ছবি

কোলেস্টেরল মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। তৈরি হয় যকৃত (লিভার) থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে কোলেস্টেরল। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এই কোলেস্টেরল।

কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং কোনও রকম শরীরচর্চা করা না হয়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

কিভাবে জানা যাবে শরীরে এর মাত্রা বেড়েছে?
কোলেস্টেরলের মাত্রা যতক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ শরীরে কোনও রকম লক্ষণই দেখা দেয় না। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর নজর রাখা নেহায়েত প্রয়োজন। কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। পায়ের ধমনীগুলো সরু হয়ে গেলে পায়ের নিচের অংশ অনেকটা অক্সিজেন-সহ রক্ত পৌঁছতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। উরু বা পায়ের হাঁটুর নীচে পিছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে। অল্প দূরত্ব হাঁটলেও এই ব্যথা হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখলেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।

ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় বা আঙুলে হঠাৎ টান ধরা যাওয়াও উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত বহন করে। রাতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। পা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তাতে পায়ের টান ধরার যন্ত্রণা কমতে পারে।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে পায়ের আঙুলের রঙেও অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে। পায়ের নখের রং বদলে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

একজন দেশপ্রেমিক চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহ একটা ইতিহাস


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৯:২২
একজন দেশপ্রেমিক চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহ একটা ইতিহাস

ছবি সংগৃহীত

কয়েক বছর ধরে পরেন একটা শার্ট, ওপরের বোতাম তার ছেঁড়া। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন, "নষ্ট না হলে আমি কি করব, ফেলে তো দিতে পারি না !"

অথচ বাবা তার রাউজানের জমিদার। লন্ডনে পড়তে গিয়ে তার যে গাড়ি ছিল, দেশ থেকে  বড়ো কেউ গেলে সে গাড়িই ধার দেয়া হতো তাদের। তিনি যে দর্জির কাছে কাপড় সেলাই করতেন, সে দর্জি ছিলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লসের ব্যক্তিগত দর্জি৷ দেশে ফিরে দেশের মানুষের জীবদ্দশা দেখে সেই বিলাসী জীবন ত্যাগের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন জাফরুল্লাহ, আমৃত্যু তাই পালন করেছেন। 

লন্ডনের প্রকাশ্য রাস্তায় নিজেদের পাসপোর্টে আ'গুন ধরিয়ে দিলো কয়েকজন বন্ধু। এরা সবাই এবারের এফআরসিএস পরীক্ষার্থী৷ পরীক্ষা আর দেয়া হলো না, রাষ্ট্রহীন নাগরিক হিসেবে লন্ডন থেকে ফেরত পাঠানো হলো ভারতে৷ দেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্ট পোড়ানো সে বন্ধুদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

ভারতে এসে আগরতলা ক্যাম্পের একপাশে চট-বেড়া দিয়ে গড়ে তুললেন ৪৮০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। দিনরাত এক করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ চলল তাতে। যুদ্ধ শেষ হলে এ হাসপাতালই হয়ে উঠল গরিবের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র৷ 

 আজ ৫০ বছর পরেও, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নর্মাল ডেলিভারি বা ডায়ালাইসিস খরচ ২৫০০ টাকা৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভদ্রলোকের জন্য ভিআইপি কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আনা হচ্ছিল দামী ওষুধ৷ দুটোকেই 'না' করে জাফরুল্লাহ বললেন, ' নিজের হাসপাতালের ওপর নিজে ভরসা না রাখলে মানুষ কি করে রাখবে? যে ওষুধ গরীবে কিনে খেতে পারবে না, সে ওষুধ আমি নেব না।'

১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাফরুল্লাহ। স্বপ্নবাজ এ লোকটির হাত ধরেই ৯০ শতাংশ ওষুধ আজ দেশেই তৈরি হয়। বিনামূল্যে বিলি হয় গণস্বাস্থ্যের ওষুধ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশের করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিল যে টিকা, পায়নি কেবল বাংলাদেশে। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরির কয়েকটা বাঁধাধরা নিয়ম তিনি করেছিলেন। কর্মরতদের ধূ'মপান নিষিদ্ধ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিঞার চাকরির ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে নেত্রী নিজেই ফোন করেন জাফরুল্লাহকে। তিনি  শেখ হাসিনাকে তখনই সাফ জানিয়েছিলেন, ' ধূ'মপান ছাড়তে না পারলে চাকরি হবে না। ' বাধ্য হয়ে একমাসেই ধূ'মপান ছাড়েন ডা. ওয়াজেদ। 

দোর্দণ্ড প্রতাপে যখন ক্ষমতায় এসেছেন জিয়াউর রহমান, জাফরুল্লাহকে মেজর জিয়া হাতে একটা ফাঁকা চেক ধরিয়ে আদেশ দিলেন, মন্ত্রী হও৷ সেদিন গরিবের ডাক্তার ৪ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে জবাব দিয়েছিলেন, একজনও স্বাধীনতাবিরোধী থাকলে সে মন্ত্রীসভায় তিনি যাবেন না৷ ৮-১৮'র তরুণরা যখন নির্লিপ্ত, তখন ৮০ বছর বয়সেও হুইল চেয়ারে রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মানুষটি৷ দাঁড়িয়েছেন বিচারের কাঠগড়ায়,পেয়েছেন অর্থদন্ডও। 

নিজ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের সম্পদ আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার।পেয়েছেন ম্যাগসেসে পদকের মতো অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা। অথচ সমস্ত জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে কপর্দকহীন হয়ে চলে গেলেন একগুঁয়ে মানুষটি। একেকটা হাসপাতাল যখন হয়ে উঠছে মানুষ মারার কল, তখন গরিব যাতে কম খরচে ক্যানসার চিকিৎসা পায়, ওষুধ পায়,  তার বন্দোবস্ত করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল গড়েছেন মানুষটি।  

জীবন-মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শেষবার জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, কিছু হলে দেশেই হোক, বিদেশে চিকিৎসা তিনি কিছুতেই নেবেন না।
সারাজীবনের মতো একবারই এই মৃত্যু সাজ,
এতদিন প্রাণ ছিলো, অমরত্ব শুরু হলো আজ.. 

এই জেদ, এই উদ্যম,এই দেশপ্রেমকে কুর্নিশ। আপনি জিতে গেছেন ১৬ কোটি হৃদয়৷ অভিবাদন, মহামানব জাফরুল্লাহ চৌধুরী!

  -ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‎চিত্রনায়িকা আঁখি চৌধুরীর জন্মদিনে লাবণ্য মিডিয়ার বিশেষ আয়োজন


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৫১
‎চিত্রনায়িকা আঁখি চৌধুরীর জন্মদিনে লাবণ্য মিডিয়ার বিশেষ আয়োজন

ছবি সংগৃহীত



সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁখি চৌধুরীর জন্মদিন পালিত হলো আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে। আজ লাবণ্য মিডিয়া হাউজের প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানে কেক কেটে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন লাবণ্য মিডিয়া হাউজের কর্ণধার, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মোঃ হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী, যিনি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও নাট্যকার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে সুপরিচিত।  

‎চলচ্চিত্র ও নাটকে উজ্জ্বল উপস্থিতি: 
‎আঁখি চৌধুরী মোহানা টেলিভিশন প্রযোজিত দেবাশীষ সরকার পরিচালিত - 'রুখে দাঁড়াও', সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। এরপর তিনি রিয়াজুল রিজুর 'প্রেমের কবিতা', ডায়েল রহমানের 'শাহাজাদা' এবং আনোয়ার সিরাজীর 'ক্যামেরা' সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন। তাঁর অভিনীত শতাধিক নাটকের মধ্যে 'বয়রা শশুর', 'প্রবাসীর বউ', 'গরীবের ভাই', 'ভাইয়ের ঋণ', 'শশুরবাড়ীর তালাক' এবং 'গার্লফ্রেন্ডের বাইক' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব নাটকে তাঁর স্বাভাবিক ও প্রাণবন্ত অভিনয় তাঁকে করে তোলে হৃদয়ের কাছাকাছি।  

‎আগামী প্রজেক্ট নিয়ে উৎসাহ: লাবণ্য মিডিয়া হাউজ প্রযোজিত নতুন ধারাবাহিক নাটক 'ঘরের শত্রু বিবিজান'-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন আঁখি। ইতিমধ্যেই তিনি এই নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, যা তাঁর ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।  

‎দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দোয়ার আহ্বান: জন্মদিনের বিশেষ মুহূর্তে আঁখি চৌধুরী দেশবাসীর কাছে তাঁর জন্য দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, "আমার জন্মদিনে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে এত ভালোবাসা দিয়েছেন। আপনারাই আমার শক্তি। দোয়া করবেন, যেন আমি আরও ভালো কাজ করতে পারি এবং আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে যেতে থাকি।

‎সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা:
‎আঁখির জন্মদিন উপলক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভক্তরা ব্যাপক শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। #HappyBirthdayAakhi ট্রেন্ড করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে তাঁর ভক্তরা প্রকাশ করছেন অকুণ্ঠ ভালোবাসা।  

‎আঁখি চৌধুরী শুধু একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রীই নন, তিনি তাঁর মিষ্টি ব্যবহার ও বিনয়ী স্বভাবের জন্য সহকর্মী ও দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। জন্মদিনে তাঁর জন্য রইলো অফুরান শুভকামনা। আগামী দিনেও যেন তিনি এভাবেই দর্শকদের হৃদয়ে রাজত্ব করেন—সেই কামনা সবাইয়ের।  

‎আঁখি চৌধুরীর মতো মেধাবী ও পরিশ্রমী শিল্পীরা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নাটক জগতকে সমৃদ্ধ করছেন। তাঁর জন্মদিনে আমরা আবারও দেখলাম, কীভাবে একজন শিল্পী সত্যিকার অর্থে মানুষের ভালোবাসা পেতে পারেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ