a করোনায় (৭জুন) মৃত্যু ৩০, শনাক্ত ১৯৭০ এবং সুস্থ ১৯১৮
ঢাকা বুধবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনায় (৭জুন) মৃত্যু ৩০, শনাক্ত ১৯৭০ এবং সুস্থ ১৯১৮


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৭ জুন, ২০২১, ০৫:৪৮
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

                  
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৮৬৯ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৯৭০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জন।
 
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৯১৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আজ পৌঁছবে ফাইজারের টিকা


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
সোমবার, ৩১ মে, ২০২১, ১১:১৯
আজ পৌঁছবে ফাইজারের টিকা

ফাইল ছবি

 

আজ সোমবার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ বিষয়ে জানান, আজ রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা এসে পৌঁছবে। এসব টিকা পৌঁছার কথা ছিল রবিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে। 

প্রসঙ্গত, গতকাল টিকা আসা নিয়ে কয়েক দফা বিভ্রান্তি চলে। গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে ডা. রোবেদ আমিন হঠাৎই বলেন, ‘টিকা আসছে না, এ জন্য ১০-১২ দিন সময় লাগতে পারে।’ এরপর তথ্যটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারও হয়। কিছুক্ষণ পরই ওই কর্মকর্তা গতকালই টিকা আসার কথা জানান। এরপর সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, টিকা আসবে আজ সোমবার রাতে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকা) ডা. শামসুল হক এ বিষয়ে জানান, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ফাইজারের টিকা নিয়ে একটি ফ্লাইট রওনা দিয়েছে। ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে ঢাকা আসবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১১:১২
সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে

ছবি সংগৃহীত

 

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার অনেক পুরনো কৌশল। সংকটময় পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে। এটি ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন ঘটে, তেমনই জাতীয় জীবনেও দেখা যায়।  

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিএনপির সাত্তার সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন জেনারেল এরশাদ সেই সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন এবং তার শাসনামলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তিনি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কিছু কাজ করেছিলেন, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।  

২০০৭ সালে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ড. ইয়ারুদ্দিনকে সরিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সময়ের সামরিক বাহিনীর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তাকে বঙ্গভবনে প্রবেশে সহায়তা করেন, যিনি এখন নির্দোষ হওয়ার ভান করছেন। এটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ষড়যন্ত্র ছিল, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।  

ব্যক্তিগত স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জেনারেল মইনউদ্দিন ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত মীরজাফরের মতোই তার পরিণতি ঘটে এবং ভারতের নির্দেশে তিনি ক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দেন।  

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র দুই মাস পর, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন—এমন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।  

যে জেনারেল তার অধীনস্থ অফিসারদের জীবন রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের মতোই নিষ্ক্রিয় থাকেন। বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় শুধু ক্ষমতা হারায়নি বরং প্রায় দুই শতাব্দী ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দাসত্ব করতে বাধ্য হয়েছে।  

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর শত বছরের সংগ্রামে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসেও আমরা একের পর এক বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের স্থায়ীভাবে দুর্বল করে রাখার জন্য। তবে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই পরিবর্তনের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।  

বিপ্লবী নেতৃত্বকে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ক্ষমতার জন্য অস্থির হওয়া উচিত নয়। জনগণ সবসময় তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা থাকলেও, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তারা হতাশ।  

এদিকে, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আলাদা পথে এগোনোর চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যখন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, তখন তাদের এই বিভক্তি শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।  

সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান 'শহীদ সেনা দিবস'-এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সামনে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের বিবাদ বন্ধ না করলে এবং দায়িত্বশীল না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।  

তবে তার বক্তব্য নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, তিনি কোনো বিশেষ শক্তির ইঙ্গিতে কাজ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, তার ও ড. ইউনুসের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।  

তবুও, আমরা এখনো তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চাই এবং বিশ্বাস করি যে, তিনি দেশের ও জনগণের স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

 

লেখক: রাজনৈতিক কলাম লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য