a গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা-ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩২, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা-ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ০৩:০৫
গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা-ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি: ম্যাথিউ মিলার

 

নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বাংলাদেশের পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যে বিবৃতি দিয়েছে সে বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন আপত্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।
   
ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্নীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বিবৃতি জারি করেছে। যদিও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় এসব খবর গণমাধ্যমে খুব কমই প্রকাশিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ওসব দুর্নীতির খবর প্রায়শই উপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে। এর আগে একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তারা পরিচিত দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারছে না। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে। সূত্র: মানবজমিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দেশের ডাকের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০১১:০০
দেশের ডাকের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: গতকাল ৩০ জুলাই ঢাকায় বাশিকপ মিলনায়তনে সাপ্তাহিক দেশের ডাক পত্রিকার ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দেশের ডাক সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

অত্র পত্রিকার সম্পাদক এটিএম,মমতাজুল করিম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উদ্বোধক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান, প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন, প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি  বীরমুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের সভাপতি আবদুল আহাদ নুর। 

বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ আজমী, কবি নজরুল বাঙালি, প্রিন্সিপাল খন্দকার মোঃ শামছুল আলম, সালেহ আহমেদ, কবির আহমেদ, মুহাম্মদ ইউছুফ, মুরশিদুর রহমান সোহেল প্রমুখ। 

সভায় প্রধান আলোচক বীরমুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন,৭১ কে বাদ দিয়ে যারা দেশ পরিচালনা করতে চায়, তারা  দেশ ও জাতীয় শত্রু। জুলাই বিপ্লবে যে সকল তরুণ- যুবকেরা আত্মাহুতি দিয়েছে তাদের অবদানও দেশবাসী ভুলবে না। আর যে কোটা ও বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন হলো জাতি তা থেকে এখনো মুক্ত নয়। শকুনের সেই হিংস্র থাবা আজও দেশবাসীকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। আর এ থেকে মুক্তি পেতে অতিশীঘ্রই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানান।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাংবাদিক সমাজের এক পথিকৃৎ শরচ্চন্দ্র পন্ডিত


অমৃতরায়, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৪০
সাংবাদিক সমাজের এক পথিকৃৎ শরচ্চন্দ্র পন্ডিত

ফাইল ছবি

শরচ্চন্দ্র পণ্ডিত বাংলা সাহিত্যের পাঠক সমাজে দাদাঠাকুর নামেই পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কথাশিল্পী ও সাংবাদিক৷ যিনি মুখে মুখে ছড়া, হেঁয়ালী ও হাস্য কৌতুক রচনা করতেন। তার রচিত নানান হাসির গল্প বাঙলা সাহিত্যের অমর কীর্তি৷ তার প্রকাশিত বিখ্যাত গ্রন্থ বোতল পুরাণ।

জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৮৮১ সিমলাদ্দি, বীরভূম জেলা , বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, বৃটিশ ভারত আর মৃত্যুবরণ করেন ২৭ এপ্রিল ১৯৬৮। অবস্থান করেছেন  জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গে। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা, বিদ্রূপাত্মক সাহিত্য রচয়িতা, কবি, সামাজিক সমালোচক, গীতিকার। তবে  কৌতুক ও কবিতা রচয়িতা, সামাজিক সমালোচক হিসেবে ভালো পরিচিত ছিলেন।

শরচ্চন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দফরপুর গ্রামে বাস করতেন। তাঁর জন্ম মাতুলালয়ে বীরভূম জেলার নলহাটি থানার অন্তর্গত সিমলাদ্দি গ্রামে। পিতা দরিদ্র ব্রাহ্মণ হরিলাল পণ্ডিত। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতাকে হারান। কিন্তু তাঁর পিতৃব্য রসিকলাল তাঁকে কোনদিনই তাঁদের অভাব বুঝতে দেননি। তাঁর স্নেহ-ভালবাসা বেড়ে ওঠা দরিদ্র পরিবারের সন্তান শরচ্চন্দ্র জঙ্গিপুর হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে বর্ধমান রাজ কলেজে এফ.এ. ক্লাসে ভর্তি হন কিন্তু আর্থিক কারণে পড়া শেষ করতে পারেননি।

জঙ্গীপুরে তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন কিন্তু অত্যন্ত তেজস্বী মানুষ ছিলেন। চারিত্রিক দৃঢ়তায় ছিলেন আধুনিক কালের বিদ্যাসাগর। মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 'পণ্ডিত প্রেস' নামে একটি হস্তচালিত ছাপাখানা রঘুনাথগঞ্জে স্থাপন করেন তিনি। তার একক প্রচেষ্টায় 'জঙ্গীপুর সংবাদ' নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। এই পত্রিকা বাংলার বলিষ্ঠ মফস্বল সাংবাদিকতার প্রথম উদাহরণ। পণ্ডিত প্রেসে তিনিই ছিলেন কম্পোজিটর, প্রুফ রিডার, মেশিনম্যান। সমস্ত কিছুই একা হাতে কর‍তেন।

পরবর্তীকালে তিনি তাঁর ছাপাখানার বিবরণ দিতে গিয়ে বলতেন " আমার ছাপাখানার আমিই প্রোপাইটর, আমি কম্পোজিটর, আমি প্রুফ রিডার, আর আমিই ইঙ্ক-ম্যান। কেবল প্রেস-ম্যান আমি নই। সেটি ম্যান নয় - উওম্যান অর্থাৎ আমার অর্ধাঙ্গিনী। ছাপাখানার কাজে ব্রাহ্মণী আমাকে সাহায্য করেন, স্বামী-স্ত্রীতে আমরা ছাপাখানা চালাই।"

এছাড়া তার প্রকাশিত 'বিদুষক'পত্রিকায় বেরতো তার নিজের রচিত নানা হাসির গল্প ও হাস্য কৌতুক। বিদূষক পত্রিকা রসিকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দাদাঠাকুর নিজে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে বিক্রি করতেন এই পত্রিকা। প্রাক স্বাধীনতার সময় কলকাতার রাস্তায় গান গেয়ে 'বোতল পুরান' পুস্তিকাটি ফেরি করতে গেলে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে আসে, তাদের জন্য তৎক্ষণাৎ বানিয়ে ইংরেজিতে গান ধরলেন তিনি।

শ্বেতাঙ্গ পুলিশ খালি গা ও খালি পায়ের এমন এক হকারকে ইংরেজিতে গান গাইতে দেখে হতবাক হয়ে যায় এবং শুধু উৎসাহ জোগাতেই আট কপি বখশিস দেয়। তার কাব্যপ্রতিভা, রসবোধ ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ছিল সহজাত। ইংরেজি ভাষাতে যে প্যালিনড্রোম বা উভমুখী শব্দ আছে সেরকম বাংলায় শব্দ সৃষ্টি করেছেন। হিন্দি ও ইংরেজিতেও কাব্য লিখেছেন তিনি। তার ব্যাঙ্গাত্বক কবিতাগুলি ছিল সমাজের অত্যাচারী কুপ্রথার বিরুদ্ধে জলন্ত প্রতিবাদ স্বরূপ। স্বয়ং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তাকে শ্রদ্ধা করতেন।

সাংবাদিক সমাজের জন্য তিনি এক প্রেরনার উৎস। তার কাজের ধারাকে যদি সত্যিকার অর্থে বহন করে নেওয়া যায় তবে সাহিত্য, শিল্পকর্মই নয় জীবনের এক নিদারুণ মর্মার্থও উঠে আসবে সকলের সামনে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - গণমাধ্যম