a
ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থগিত করা হয়েছে সব পরীক্ষাও।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্র্রার মো. সোহরাব আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জবিতে আগামী ১০ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০ই জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের কিছু সমস্যার জন্য এবং লকডাউন এর জন্য অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য- কে জানানো হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হবে। তবে কত তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি, কিন্তু সময় বাড়ানো হবে এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি অফিসের পরিচালক।
সংগৃহিত ছবি
হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানী চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রিধারী কোনো ব্যক্তির নামের আগে এখন থেকে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বলে রায় দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। হোমিও ও ইউনানি চিকিৎসা নিয়ে রায়ে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত জারি করা রুল খারিজ করে আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
রায়ে বলা হয়েছে, দুঃখজনকভাবে এটি লক্ষ্যণীয় যে, এখানে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী বিএমডিসি এর নিবন্ধনভুক্ত মেডিকেল বা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (Dr.) পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিগত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তারিখের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার’ (Alternative Medical Care) শীর্ষক অপারেশনাল প্লানের বিভিন্ন পদে কর্মরত হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নামের পূর্বে ডাক্তার (ডা.) পদবি সংযোজনের অনুমতি প্রদান করেছে, যা এক কথায় আইনের কর্তৃত্ব ব্যতিত তথা বেআইনি।
এছাড়াও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃক ইংরেজি ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন শাখায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে তাদের নামের পূর্বে পদবি হিসেবে ডাক্তার (Dr.) ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করাও বেআইনি। এর আগে হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রিধারীরা নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ে করেছিলেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও অ্যাডভোকেট খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।