a উপ-নির্বাচন ৩ শূন্য আসনে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন
ঢাকা সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

উপ-নির্বাচন ৩ শূন্য আসনে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ০৯:০৭
উপ-নির্বাচন ৩ শূন্য আসনে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন

ফাইল ছবি

সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ সংসদীয় তিন শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে আইইডিসিআর ও স্থানীয় পর্যায়ে সুপারিশের প্রেক্ষিতে। আগামী ২৮ জুলাই এসব শূন্য আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায় কমিশন। 
 
তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ সিলেট-৩ আসনে ১৪ জুলাই ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন হলেও অন্যান্য কার্যক্রম তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। 

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, উপনির্বাচনে শূন্য হওয়া তিন আসনের মনোনয়ন পত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ জুন। ১৭ জুন যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৩ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। 
 
কুমিল্লা-৫ এ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক এবং সিলেট-৩ এ মাহমুদুস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আসন ৩টি শূন্য হয়।

জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত তিনটি আসনের উপনির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত ৯৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে । কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের ৩৫ জন, ঢাকা-১৪  আসনে ৩৪ জন এবং সিলেট-৩ আসনে ২৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফরম বিরতণ ও জমা নেয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের স্রষ্টা’



শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১, ১০:০২
শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের স্রষ্টা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের স্রষ্টা। কাজেই তার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একযোগে উদযাপন করছি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামের সেই মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। তার জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা নিজস্ব দেশ, ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ২৪ বছরের নিরন্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল। আর এই সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওয়াশ সেবার দাবী


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ০৮:৩৮
সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওয়াশ সেবার দাবী

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওযাশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত। জোর দাবী জানানো হয় যেন সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওযাশ সেবা নিশ্চিত করা হয়। সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

পিপিআরসি, ওযাটারএইড, এমএইচএম প্লাটফর্ম, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং সংস্থাসমূহের নেটওয়ার্ক অফ ওয়াশ নেটওয়ার্ক্স যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পিপিআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এটা সর্বজনস্বীকৃত যে একটা দেশের নাগরিকদের পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবার প্রাপ্তি একটি জন্মগত অধিকার। এই সেবাগুলো নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, সামাজিক উন্নয়ন টেকসই করে এবং জলবায়ু সহনশীল পেশা নির্বাচন ও উদ্ভাবনী ওয়াশ সমাধানের মাধ্যমে পরিবেশগত অবক্ষয় রোধ করে। বাংলাদেশ সরকার ওযাশ খাতে একাধিক নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে—যেমন, সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (SDP) ২০১১–২০২৫ এবং ২০২১ সালের জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র।

তিনি আরও বলেন যে, ২০১৬–১৭ অর্থবছর থেকে ওয়াশ খাতে বরাদ্দে যে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিযেছিল, তা ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে ব্যাহত হয় এবং ২২.৪৬% হ্রাস পায়। এই নেতিবাচক প্রবণতা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ (SDG) এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা (NPTs ১৭–১৮) অর্জনের ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওযাশ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৮২.২৮ বিলিয়ন টাকা, যা ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ২৩% হ্রাস পেয়ে ১৩৯.৭২ বিলিয়ন টাকায় দাঁড়ায। যদিও সংশোধিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ কিছুটা বেড়ে ৭.২২% বৃদ্ধিসহ ১৪৯.৮১ বিলিয়ন টাকা হয়, এরপর ২০২৪– ২৫ অর্থবছরে তা ২২.৪৬% হ্রাস পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন যে, এই ধারাবাহিক নিম্নগামী প্রবণতা এদেশের নাগরিকদের নিরাপদ পানি এবং নিরাপদ স্যানিটেশন সেবার অধিকার নিশ্চিতকরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে এডিপি- ভিত্তিক ওয়াশ খাতে বরাদ্দের নেতিবাচক প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে। ওযাশ খাতে বিনিযোগে শহর ও গ্রামের মধ্যে যে ব্যবধান ছিল, তা এখনো প্রকট, যা সমতার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। এডিপি বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য এখনো অব্যাহত রয়েছে।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি এন্ড এডভোকেসি লিড ফাইয়াজউদ্দিন আহমদ এডভোকেট বলেন যে, বাজেটে পাহাড়ি, উপকূলীয ও হাওর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দে কোন ধারাবাহিকতা নেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকূলীয অঞ্চলের বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি পায় নতুন প্রকল্পের কারণে, তবে এসকল এলাকার মধ্যে ন্যায্যতা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এই ধারা সরকার ঘোষিত সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানি ও নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের (NPTs ১৭ ও ১৮) প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

ক্লাইমেট জাস্টিস এলায়েন্সের সুমাইয়া বিনতে আনোয়ার বলেন যে, ২৫টি মন্ত্রণালয জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (CCTF) এবং এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ওযাশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও মাত্র ১৩টা মন্ত্রণালয ওযাশ খাতে বিনিযোগকে অগ্রাধিকার দেয় দিয়ে আসছে। তবে প্রশংসনীযভাবে, জলবায়ু-সম্পর্কিত ওযাশ বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিছু মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও অন্যান্য অভিযোজন কর্মসূচি সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার এলায়েন্সের মোহাম্মদ যোবাযের হাসান জানান যে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারি সামর্থ্যের অভাবে দেরি হয়েছে, ফলে সংশোধিত বাজেটে আংশিক বরাদ্দ প্রত্যাহার করা হয়। গত ৮ অর্থবছরেও পূর্ণ বাজেট ব্যবহার সম্ভব হয়নি। ২০২৩-২৪ বছরের সরকারী এডিপি প্রকল্পের বাস্তবায়ন দক্ষতা ও সচেতনতার অভাবে পূর্ণ বরাদ্দ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

পিপিআরসি'র মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট সম্প্রদাযের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। চর, হাওর, পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং নগরগুলোর মধ্যকার বরাদ্দ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ওয়াশ খাতের জন্য এডিপি'র বরাদ্দ ওঠানামা এবং কম আনুপাতিক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাতে (এমডিজি) ওয়াশ খাতের তুলনায় এসডিজি যুগের ওয়াশ খাতের লক্ষ্যমাত্রা আরও জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং।

সম্মেলনে নেটওয়ার্ক অফ ওয়াশ নেটওয়ার্ক্স এর পক্ষ থেকে উপস্থাপিত প্রধান দাবীগুলো হচ্ছেঃ

১। শহর-গ্রাম, মাধ্যমিক ছোট শহর ও দুর্গম অঞ্চলে বৈষম্যহীন ওয়াশ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। এডিপি-তে ওযাশ উপ-খাতসমূহ (পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি) এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহ (এফএসএম, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পসমূহ) সঠিক অনুপাতে ও ন্যায্যভাবে বাড়াতে হবে।

২। অন্তর্ভুক্তিমূলক ওয়াশ বিনিযোগকে উৎসাহিত করতে হবে যাতে তা নারীর অধিকার এবং প্রান্তিক ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য (চা-শ্রমিক, বেদে, দলিত, হরিজন, জলদাস/জেলেরা প্রভৃতি) ন্যায্য বরাদ্দ নিশ্চিত করতে পারে।

৩। প্রকল্প বাস্তবাযননে সক্ষমতা বাড়াতে হবে যাতে সমযমতো বাজেট ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমে যাওয়া কমানো যায়।

৪। ওয়াশ বাজেট বাড়ানো ও এডিপি বৃদ্ধির সম্প্রসারণের মধ্যে সামঞ্জস্য করতে হবে যাতে হুট করে ওয়াশ বাজেট ওঠানামা এড়ানো যায়।

৫। জলবায়ু অর্থায়নের আওতায় সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে (মোট ২৫টি) ওযাশ-কেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ঝুঁকি অবহিতকরণ এবং জনগোষ্ঠীকে সংযুক্ত (আরসিসিই) করণ বিষয়ক মেথড যথাযথভাবে প্রযোগ করতে হবে, যার মধ্যে জনগণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ থাকবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়