a
ফাইল ছবি
সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ সংসদীয় তিন শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে আইইডিসিআর ও স্থানীয় পর্যায়ে সুপারিশের প্রেক্ষিতে। আগামী ২৮ জুলাই এসব শূন্য আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায় কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ সিলেট-৩ আসনে ১৪ জুলাই ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন হলেও অন্যান্য কার্যক্রম তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, উপনির্বাচনে শূন্য হওয়া তিন আসনের মনোনয়ন পত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ জুন। ১৭ জুন যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৩ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
কুমিল্লা-৫ এ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক এবং সিলেট-৩ এ মাহমুদুস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আসন ৩টি শূন্য হয়।
জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত তিনটি আসনের উপনির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত ৯৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে । কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের ৩৫ জন, ঢাকা-১৪ আসনে ৩৪ জন এবং সিলেট-৩ আসনে ২৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফরম বিরতণ ও জমা নেয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ছবি সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় এক যুগ পর রংপুর যাচ্ছেন। তার আগমন ঘিরে রংপুর মহানগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রংপুরবাসী।
বুধবার বেলা ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আয়োজকরা বলছেন। ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে জনসভায় নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। নগরীতে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশপথগুলোয় সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। ২১টি পয়েন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পুরো নগরী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। নগরীর বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ-কোথাও ফাঁকা নেই। রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইডার ধুয়ে-মুছে চকচক করা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় নৌকার আদলে সভামঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশে মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্নার। জনসভাস্থলে এসএসএফসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সোমবার আফগানিস্তানে চূড়ান্তভাবে শেষ হয় মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর।
এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।
এদিকে, তালেবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়া করে কাবুল ত্যাগের ফলে সব সামরিক বিমান নিজ দেশে ফেরত নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ত্যাগের আগে সেখানে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৭৩টি সামবিক বিমান মার্কিন বাহিনী এমনভাবে নষ্ট করে রেখেছে, যাতে তালেবানরা আর এগুলো ব্যবহার করতে না পারে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য যেসব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল, সামরিক বিমানগুলোর মতো সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
কেনেথ ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, ফেলে আসা মার্কিন সামরিক বিমানগুলো আর কখনও আকাশে উড়বে না।
এছাড়া ৭০টি সামরিক যান এবং ২৭টি হামরি টহল যান নষ্ট করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য এক মিলিয়ন ডলার।
৩০ আগস্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ফ্লাইটটি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ