a
ফাইল ছবি
একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন আগামী ১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৫টায় শুরু হবে। সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
ষাট দিনের সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতা পূরণে এ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন বসতে হবে। সে হিসেবে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আসন্ন অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় সংসদের সর্বশেষ ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশন গত ২ জুন শুরু হয়ে গত ৩ জুলাই শেষ হয়।
ওই অধিবেশনে ২০২১-’২২ অর্থ বছরের বাজেট পেশ ও পাস করা হয়। মোট ১২ কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটসহ মূল বাজেটের ওপর মোট ১৫ ঘন্টা ৩২ মিনিট আলোচনা হয়েছে। এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন ৮৫ জন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্য।বাজেট পাসসহ সেই অধিবেশনে ৭টি সরকারি বিল পাস হয়।
আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনেই বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয় একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। লাল সবুজের এ দেশটির স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী আজ।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি এই কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি বাঙালি জাতির সংগ্রামমুখর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। ১৯৭১ সালের এই দিন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। এবার তাই উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে আসছেন। অংশ নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর যৌথ অনুষ্ঠানে। গত ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিন ব্যপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে শুরু করে নির্বিচারে গণহত্যা। এই গণহত্যা শুরু হওয়ার পরপরই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুধু এ দেশের জনগণই নয়, আক্রান্ত জাতি ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র, আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সহায়তা করে ভারত। এই সময় আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশাল ভূমিকা রাখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)।
সোভিয়েত ইউনিয়নের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আরও ত্বরান্বিত করে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্তিকামী ও গণতন্ত্রকামী মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী ও বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় লাভ করে।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে সব ধরনের স্থায়ী বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বিস্তারিত ...